রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ২য় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
আজ (রোববার) তৃতীয় দিনের খেলায় নামবে।আগেরদিন সফরকারী বাংলাদেশের কাজ সহজ করে দেন বোলাররা,। তৃতীয় দিন সেই দায়িত্বটা পড়বে ব্যাটারদের ওপর। এ নিয়ে গতকাল (শনিবার) নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি জানায়, ‘আসলে লিড নেওয়াটা অনেক জরুরি। উইকেট যথেষ্ট স্পোর্টিং। বোলিং, ব্যাটিং দুইটাতেই সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। স্পিন, পেস দুই ধরনের বোলিংয়েই সাহায্য পেয়েছি আমরা। সেক্ষেত্রে ব্যাটারদের সেট হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আমরা যদি কালকের দিনটা সারাদিন ব্যাট করতে পারি এবং ভালো একটা সংগ্রহ দাঁড় করাই, ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে ইনশা-আল্লাহ।’
তিনি বলেন,এই টেস্টে পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ খুব একটা অভিজ্ঞ নয়। প্রথম টেস্ট খেলা শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ’র মতো পেসাররা আছেন বিশ্রামে। তবুও তাদের সামনে তাসকিন কৌশলী হয়ে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ দিলেন সতীর্থদের, ‘তারা (পাকিস্তান) দারুণ বোলিং ইউনিট। অত দেখা হয়নি এখনও। প্রথম টেস্টে যা দেখলাম তারা বেশ ভালো বোলার। ব্যাটারদের বলব যে, নতুন বলটাকে পুরোনো বানিয়ে ফেলতে। তখনই সাহায্য পাওয়া যাবে।’
দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা প্রসঙ্গে তাসকিন জানায়, ‘অনেকদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে এসে শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল। খেলা তো এখনও শেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংস আছে। জেতাটাই মূল লক্ষ্য। সবার আগে দল, আলহামদুলিল্লাহ খারাপ হয় নাই। ওভারল আমরা বোলিং ইউনিট ভালো করেছি। আরও ভালো করতে পারতাম। সবকিছু নিয়েই কাজ করতেসি। অনেকদিন ধরে খেলতেছি তো, যে ফরম্যাটে যেভাবে মানিয়ে নেওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেনপাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু থেকেই লাইন-লেংথ ধরে রেখে বল করেছেন তাসকিন। যার ফলস্বরূপ পেয়েছেন তিনটি উইকেট, দলের ভালো অবস্থানে এমন অবদানকে নিজের দায়িত্ব মনে করি ‘এটা আমার নিজেরই দায়িত্ব এবং এটাই হওয়া উচিৎ একজন সিনিয়র অভিজ্ঞ বোলার হিসেবে। এখনও অনেক কিছু করা বাকি এই ম্যাচে। আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করতে হবে। জিততে হবে। এখনও কিছুই শেষ হয়ে যায় নাই। মোটামুটি ভালো হয়েছে। আরও ভালো হতে পারত, আরও ভালো হবে ইনশা-আল্লাহ।’
উল্লেখ, রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন খেলা হয়নি। কাল দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তাসকিনের বলে আউট হয়ে ফেরেন পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। এরপর শান মাসুদ–সাইম আইয়ুবরা হাল ধরলেও, তাদের বিদায় করিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেন বাংলাদেশি বোলাররা। মেহেদী মিরাজের পাঁচ, তাসকিনের তিন শিকারে পাকিস্তান ২৭৪ রানেই গুটিয়ে যায়। সফরকারীরা শেষ বিকেলে নেমে ১০ রান করে কোনো উইকেট না হারিয়ে।