ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলীগ নেতা পান্নার মরদেহ ভারত থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তার মরদেহ পরিবহন করা ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আসে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ইমিগ্রেশন পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবারের সদস্যরা ইসহাক আলীর লাশ বুঝে নেয়।

এর আগে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসহাকের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইসহাক আলী দেশ ছেড়ে পালান বলে খবরে প্রকাশ।

ইসহাক আলী খানের লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভারতের মেঘালয় পুলিশ সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইসহাক আলীর লাশ বিজিবি ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই লাশটি ভারত থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের ভাতিজা কামরুজ্জামান খান বলেন, সরকার তাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা লাশ বুঝে পেয়েছেন। ২৪ আগস্ট রাতে হঠাৎ করে সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন চাচার মৃতদেহ ভারত সীমান্তের ভেতরে পাওয়া গেছে।

২৪ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান প্রাণ হারান বলে জানা যায়। পরে ২৬ আগস্ট মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারিবাগানে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি পাওয়ার তথ্য জানা যায়। এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

আওয়ামীলীগ নেতা পান্নার মরদেহ ভারত থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর

আপডেট সময় ০৪:৩১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তার মরদেহ পরিবহন করা ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আসে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ইমিগ্রেশন পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবারের সদস্যরা ইসহাক আলীর লাশ বুঝে নেয়।

এর আগে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসহাকের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইসহাক আলী দেশ ছেড়ে পালান বলে খবরে প্রকাশ।

ইসহাক আলী খানের লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভারতের মেঘালয় পুলিশ সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইসহাক আলীর লাশ বিজিবি ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই লাশটি ভারত থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের ভাতিজা কামরুজ্জামান খান বলেন, সরকার তাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা লাশ বুঝে পেয়েছেন। ২৪ আগস্ট রাতে হঠাৎ করে সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন চাচার মৃতদেহ ভারত সীমান্তের ভেতরে পাওয়া গেছে।

২৪ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান প্রাণ হারান বলে জানা যায়। পরে ২৬ আগস্ট মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারিবাগানে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি পাওয়ার তথ্য জানা যায়। এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।