ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ২৩ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 67

পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ২৩ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়ে লোকজনকে বের করে জাতিগত পরিচয় জেনে বেছে বেছে ২৩ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মুসাখেলের সহকারী কমিশনার নাজিব কাকারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীরা সোমবার ভোরের দিকে মুসাখেলের রারাশাম জেলায় আন্তঃপ্রাদেশিক মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর বাস থেকে যাত্রীদের নামায়। পরিচয় যাচাই করার সময় তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।

নাজিব বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা পাঞ্জাবের বাসিন্দা। বন্দুকধারীরা অন্তত ১০টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং লাশগুলো হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

এএফপিকে দেওয়া মন্তব্যে তিনি বলেন, পাঞ্জাবমুখী এবং পাঞ্জাব থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয় এবং পাঞ্জাবের লোকজনকে শনাক্ত করে গুলি করা হয়। কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।

বেলুচিস্তান প্রদেশে চলতি বছরে পাঞ্জাব থেকে মানুষের ওপর এটি দ্বিতীয় হামলা। এর আগে গত এপ্রিলে, নোশকির কাছে একটি বাস থেকে নয়জন যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং বন্দুকধারীরা তাদের আইডি কার্ড চেক করার পরে গুলি করে হত্যা করে।

গত কয়েক বছরে একই ধরনের হামলা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বেলুচিস্তানের কেচ জেলার তুরবাতে পাঞ্জাবের ছয় শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ জানায়, টার্গেট করেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহতরা সবাই দক্ষিণ পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। মূলত তাদের জাতিগত পরিচয়ের কারণে বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৯ সালে, বন্দুকধারীরা গোয়াদর জেলার কাছে ওরমারার কাছে একটি বাস থামায় এবং আইডি কার্ড চেক করার পরে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের কর্মীসহ ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৫ সালে বন্দুকধারীরা তুর্বতের কাছে একটি শ্রমিক শিবিরে ২০ জন নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা করে। ভোররাতের ওই হামলায় তিনজন আহত হয়েছিল। নিহতরা সিন্ধু ও পাঞ্জাবের বাসিন্দা।

রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় মূল্যবান প্রাণহানি হওয়ায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তারা নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবিতে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ২৩ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় ০৭:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়ে লোকজনকে বের করে জাতিগত পরিচয় জেনে বেছে বেছে ২৩ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মুসাখেলের সহকারী কমিশনার নাজিব কাকারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীরা সোমবার ভোরের দিকে মুসাখেলের রারাশাম জেলায় আন্তঃপ্রাদেশিক মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর বাস থেকে যাত্রীদের নামায়। পরিচয় যাচাই করার সময় তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।

নাজিব বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা পাঞ্জাবের বাসিন্দা। বন্দুকধারীরা অন্তত ১০টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং লাশগুলো হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

এএফপিকে দেওয়া মন্তব্যে তিনি বলেন, পাঞ্জাবমুখী এবং পাঞ্জাব থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয় এবং পাঞ্জাবের লোকজনকে শনাক্ত করে গুলি করা হয়। কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।

বেলুচিস্তান প্রদেশে চলতি বছরে পাঞ্জাব থেকে মানুষের ওপর এটি দ্বিতীয় হামলা। এর আগে গত এপ্রিলে, নোশকির কাছে একটি বাস থেকে নয়জন যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং বন্দুকধারীরা তাদের আইডি কার্ড চেক করার পরে গুলি করে হত্যা করে।

গত কয়েক বছরে একই ধরনের হামলা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বেলুচিস্তানের কেচ জেলার তুরবাতে পাঞ্জাবের ছয় শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ জানায়, টার্গেট করেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহতরা সবাই দক্ষিণ পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। মূলত তাদের জাতিগত পরিচয়ের কারণে বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৯ সালে, বন্দুকধারীরা গোয়াদর জেলার কাছে ওরমারার কাছে একটি বাস থামায় এবং আইডি কার্ড চেক করার পরে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের কর্মীসহ ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৫ সালে বন্দুকধারীরা তুর্বতের কাছে একটি শ্রমিক শিবিরে ২০ জন নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা করে। ভোররাতের ওই হামলায় তিনজন আহত হয়েছিল। নিহতরা সিন্ধু ও পাঞ্জাবের বাসিন্দা।

রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় মূল্যবান প্রাণহানি হওয়ায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তারা নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।