সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স দখল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবির অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিএনপির তিন নেতাকে।
রোববার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন— জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন ইসলাম খান, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বহুলি ইউনিয়ন বিএনপির স্থগিত কমিটির সভাপতি রেজাউর রহমান ফিরোজ ও জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বহুলি ইউনিয়ন বিএনপির স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন রোকন।
আলাদা তিনটি চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দখল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও চাঁদাদাবির অভিযোগ উঠেছে মিলন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া রেজাউর রহমান ফিরোজ ও তোফাজ্জল হোসেন রোকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাদাবির অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডে দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিতর্কিত এসব কর্মকাণ্ডকে সংগঠন পরিপন্থি হিসেবে উল্লেখ করেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়াও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এখানে কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসের স্থান নেই। আমরা তিন নেতার বিরুদ্ধে দখল ও চাঁদাদাবির কিছু অভিযোগ পেয়েছি। এ কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।