ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উপদেষ্টাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিলো মালয়েশিয়া Logo রাজাকার সবগুলোকে ফাঁসি দিছি, আন্দোলনকারীদেরও ছাড়বো না: সাবেক ঢাবি ভিসিকে শেখ হাসিনা Logo দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২,আহত আরও ১৭ বাংলাদেশী Logo লক্ষ্মীপুরে আলোচিত সন্ত্রাসী কদু আলমগীর গ্রেপ্তার Logo কুষ্টিয়ার মিরপুরে সাংবাদিকের উপরে সন্ত্রাসী হামলা Logo প্রথমে ‘অমানবিক’ নির্যাতন করেন, এরপর ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করেন Logo রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলের ডাক Logo সিরাজগঞ্জে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে পাচঁ শতাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে -তারেক রহমান Logo পাথরঘাটায় রহস্যজনক বিষপান: ৫ স্কুলছাত্রী অসুস্থ

ইমামকে চাকরিচ্যুত করা ইউএনওকে রাঙামাটিতে বদলি

মসজিদে নামাজের কাতারে সরে দাঁড়াতে বলায় ইমামকে চাকরিচ্যুত করা ও পানিতে চুবাতে চাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহিকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি রুটিন বদলির অংশ।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে ওই ইউএনওকে রাঙামাটির বরকলে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ইমামের সঙ্গে হওয়া ঘটনার সঙ্গে ইউএনওর বদলির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি রুটিন বদলির অংশ।

১৩ অক্টোবর জুমার নামাজে কাতারে দাঁড়ানো নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে স্থানীয় এক মসজিদের মোয়াজ্জিন ও ইমামের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এরপর ওই ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর ইউএনও ফোরকান এলাহি উপজেলার ভাটরা কাচারি কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশের পুকুরে সকাল থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন। বেলা সোয়া একটার দিকে তিনি জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে আসেন। তখন খুতবা শেষ হয়। এরপর মুয়াজ্জিন পারভেজ হোসেন ইউএনওকে একটু সরে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য বলেন।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামাজ শেষে ইউএনও মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামকে পুকুরের ঘাটলায় ডেকে নেন। এরপর ইউএনওকে তাঁরা চেনেন কি না জানতে চান? তখন ইমাম আবুল বাশার বলেন, ইউএনওকে তিনি চিনতে পারেননি। এ জন্য তিনি দুঃখও প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ইউএনও উত্তেজিত হন। এরপর ইমামকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহকে ডেকে আনেন ইউএনও এবং মসজিদের ইমামকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ইউপির চেয়ারম্যান মসজিদ কমিটিকে বলে তাঁকে আর নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। ১৪ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হয়।

তবে ইউএনও মো. ফোরকান এলাহি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনি ইমামকে চাকরিচ্যুত করেননি।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক তাঁদের ডাকেন। ১৫ অক্টোবর বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ইউএনও এবং ইমামকে ডেকে আনা হয়।

পরে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ইমাম আবুল বাশার ও ইউএনও মো. ফোরকান এলাহির মধ্যকার সমস্যা মিটমাট করে দেন।

ঢাকা ভয়েস/টিআই

জনপ্রিয় সংবাদ

উপদেষ্টাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিলো মালয়েশিয়া

ইমামকে চাকরিচ্যুত করা ইউএনওকে রাঙামাটিতে বদলি

আপডেট সময় ০৫:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

মসজিদে নামাজের কাতারে সরে দাঁড়াতে বলায় ইমামকে চাকরিচ্যুত করা ও পানিতে চুবাতে চাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহিকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি রুটিন বদলির অংশ।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে ওই ইউএনওকে রাঙামাটির বরকলে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ইমামের সঙ্গে হওয়া ঘটনার সঙ্গে ইউএনওর বদলির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি রুটিন বদলির অংশ।

১৩ অক্টোবর জুমার নামাজে কাতারে দাঁড়ানো নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে স্থানীয় এক মসজিদের মোয়াজ্জিন ও ইমামের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এরপর ওই ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর ইউএনও ফোরকান এলাহি উপজেলার ভাটরা কাচারি কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশের পুকুরে সকাল থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন। বেলা সোয়া একটার দিকে তিনি জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে আসেন। তখন খুতবা শেষ হয়। এরপর মুয়াজ্জিন পারভেজ হোসেন ইউএনওকে একটু সরে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য বলেন।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নামাজ শেষে ইউএনও মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামকে পুকুরের ঘাটলায় ডেকে নেন। এরপর ইউএনওকে তাঁরা চেনেন কি না জানতে চান? তখন ইমাম আবুল বাশার বলেন, ইউএনওকে তিনি চিনতে পারেননি। এ জন্য তিনি দুঃখও প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ইউএনও উত্তেজিত হন। এরপর ইমামকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহকে ডেকে আনেন ইউএনও এবং মসজিদের ইমামকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ইউপির চেয়ারম্যান মসজিদ কমিটিকে বলে তাঁকে আর নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। ১৪ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হয়।

তবে ইউএনও মো. ফোরকান এলাহি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনি ইমামকে চাকরিচ্যুত করেননি।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক তাঁদের ডাকেন। ১৫ অক্টোবর বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ইউএনও এবং ইমামকে ডেকে আনা হয়।

পরে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ইমাম আবুল বাশার ও ইউএনও মো. ফোরকান এলাহির মধ্যকার সমস্যা মিটমাট করে দেন।

ঢাকা ভয়েস/টিআই