ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ Logo জনপ্রতিনিধিরা শাসক নয় হবে খাদেম: সেলিম উদ্দিন Logo ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হবে’ Logo নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সব ভোটকেন্দ্র Logo সরকারি খরচে বিদেশ সফর বন্ধ, কেনা যাবে না গাড়ি Logo ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে এক পয়সাও দুর্নীতি হবে না: শায়খে চরমোনাই Logo গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লা’ঠিচা’র্জে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থী আ’হ’ত Logo বন্যা পরিস্থিতি খাগড়াছড়ি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত Logo কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

ইসলামী ব্যাংকে ‘ইসলাম’ থাকতে হবে : অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ

ইসলামী ব্যাংকে ইসলাম থাকতে হবে। তাহলেই ইসলামী ব্যাংক ভালো চলবে। আর এ ব্যাংকটি ভালো চললে ইসলামী ধারার অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ভালো চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে শরীআহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারা লাভের আশায় করেননি। এজন্য ব্যাংকটির সম্পদ বেড়ে গিয়েছিলো। আর এই সম্পদ বেড়ে যাওয়াই ব্যাংকটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এস আলম ইসলামি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেছে। আর আমরা সৎভাবে যারা ব্যবসা করেছি, তারা এখন এলসি খুলতে পারছি না। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলার পাচ্ছি না। এতে ব্যবসা ব্যাপকভাবে সংকটের মুখে পড়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ব্যবসায়ীদের ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এসময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো কালো হাতে কিভাবে দেওয়া হয়েছিলো তা তদন্ত করলে উঠে আসবে। তখনকার সময়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে তখন বোঝানো সম্ভব হয়নি। এর পর যা হয়েছে তা সবাই জানেন।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন গভর্নর ইসলামি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন। একইসঙ্গে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, ইসলামি ব্যাংকের পে-স্কেল সুবিধা নিয়ে এস আলম অনেককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। অতি দ্রুত এদের নিয়োগ বাতিল করা উচিত। আমরা এলসিসহ ব্যবসার অনেক কিছু করতে পারি না। ঋণ স্যাংশন করতে পারি না। তবে এস আলমের ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হচ্ছে।

ইসলামী মূল্যবোধ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য এস আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেওয়া হয়। এরপর সব ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংকে ‘ইসলাম’ থাকতে হবে : অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ

আপডেট সময় ০৩:৫২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকে ইসলাম থাকতে হবে। তাহলেই ইসলামী ব্যাংক ভালো চলবে। আর এ ব্যাংকটি ভালো চললে ইসলামী ধারার অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ভালো চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে শরীআহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারা লাভের আশায় করেননি। এজন্য ব্যাংকটির সম্পদ বেড়ে গিয়েছিলো। আর এই সম্পদ বেড়ে যাওয়াই ব্যাংকটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এস আলম ইসলামি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেছে। আর আমরা সৎভাবে যারা ব্যবসা করেছি, তারা এখন এলসি খুলতে পারছি না। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলার পাচ্ছি না। এতে ব্যবসা ব্যাপকভাবে সংকটের মুখে পড়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ব্যবসায়ীদের ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এসময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো কালো হাতে কিভাবে দেওয়া হয়েছিলো তা তদন্ত করলে উঠে আসবে। তখনকার সময়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে তখন বোঝানো সম্ভব হয়নি। এর পর যা হয়েছে তা সবাই জানেন।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন গভর্নর ইসলামি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন। একইসঙ্গে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, ইসলামি ব্যাংকের পে-স্কেল সুবিধা নিয়ে এস আলম অনেককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। অতি দ্রুত এদের নিয়োগ বাতিল করা উচিত। আমরা এলসিসহ ব্যবসার অনেক কিছু করতে পারি না। ঋণ স্যাংশন করতে পারি না। তবে এস আলমের ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হচ্ছে।

ইসলামী মূল্যবোধ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য এস আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেওয়া হয়। এরপর সব ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে।