ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাড়ল বুথের সংখ্যা, ভোটারপ্রতি ১০ মিনিট সময় নিলেও নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ সম্ভব Logo নিরাপত্তাহীনতায় ভিপি প্রার্থী শামীম, আশঙ্কায় শাহবাগ থানায় জিডি Logo রাতে খাবারের পর হাঁটার ৫ উপকারিতা Logo মৌলভীবাজারে নিজ ঘরে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo গাইবান্ধায় বাসর ঘরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী Logo আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: সারজিস আলম Logo জামায়াত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করলে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাবে ২৫ বছর Logo ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল পক্ষে প্রচারণায় রূপসা ছাত্রদলের সেক্রেটারি, ভিডিও ভাইরাল Logo লাশ পোড়ানো ইসলামের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই: ইসলামী আন্দোলন Logo তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন: ডা. জাহিদ

ইসলামী ব্যাংকে ‘ইসলাম’ থাকতে হবে : অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ

ইসলামী ব্যাংকে ইসলাম থাকতে হবে। তাহলেই ইসলামী ব্যাংক ভালো চলবে। আর এ ব্যাংকটি ভালো চললে ইসলামী ধারার অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ভালো চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে শরীআহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারা লাভের আশায় করেননি। এজন্য ব্যাংকটির সম্পদ বেড়ে গিয়েছিলো। আর এই সম্পদ বেড়ে যাওয়াই ব্যাংকটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এস আলম ইসলামি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেছে। আর আমরা সৎভাবে যারা ব্যবসা করেছি, তারা এখন এলসি খুলতে পারছি না। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলার পাচ্ছি না। এতে ব্যবসা ব্যাপকভাবে সংকটের মুখে পড়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ব্যবসায়ীদের ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এসময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো কালো হাতে কিভাবে দেওয়া হয়েছিলো তা তদন্ত করলে উঠে আসবে। তখনকার সময়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে তখন বোঝানো সম্ভব হয়নি। এর পর যা হয়েছে তা সবাই জানেন।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন গভর্নর ইসলামি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন। একইসঙ্গে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, ইসলামি ব্যাংকের পে-স্কেল সুবিধা নিয়ে এস আলম অনেককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। অতি দ্রুত এদের নিয়োগ বাতিল করা উচিত। আমরা এলসিসহ ব্যবসার অনেক কিছু করতে পারি না। ঋণ স্যাংশন করতে পারি না। তবে এস আলমের ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হচ্ছে।

ইসলামী মূল্যবোধ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য এস আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেওয়া হয়। এরপর সব ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাড়ল বুথের সংখ্যা, ভোটারপ্রতি ১০ মিনিট সময় নিলেও নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ সম্ভব

ইসলামী ব্যাংকে ‘ইসলাম’ থাকতে হবে : অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ

আপডেট সময় ০৩:৫২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকে ইসলাম থাকতে হবে। তাহলেই ইসলামী ব্যাংক ভালো চলবে। আর এ ব্যাংকটি ভালো চললে ইসলামী ধারার অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ভালো চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে শরীআহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারা লাভের আশায় করেননি। এজন্য ব্যাংকটির সম্পদ বেড়ে গিয়েছিলো। আর এই সম্পদ বেড়ে যাওয়াই ব্যাংকটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এস আলম ইসলামি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেছে। আর আমরা সৎভাবে যারা ব্যবসা করেছি, তারা এখন এলসি খুলতে পারছি না। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলার পাচ্ছি না। এতে ব্যবসা ব্যাপকভাবে সংকটের মুখে পড়েছে। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ব্যবসায়ীদের ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এসময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো কালো হাতে কিভাবে দেওয়া হয়েছিলো তা তদন্ত করলে উঠে আসবে। তখনকার সময়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে তখন বোঝানো সম্ভব হয়নি। এর পর যা হয়েছে তা সবাই জানেন।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন গভর্নর ইসলামি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন। একইসঙ্গে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার বলেন, ইসলামি ব্যাংকের পে-স্কেল সুবিধা নিয়ে এস আলম অনেককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। অতি দ্রুত এদের নিয়োগ বাতিল করা উচিত। আমরা এলসিসহ ব্যবসার অনেক কিছু করতে পারি না। ঋণ স্যাংশন করতে পারি না। তবে এস আলমের ক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হচ্ছে।

ইসলামী মূল্যবোধ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য এস আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেওয়া হয়। এরপর সব ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে।