ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

হবিগঞ্জে পানিবন্দি ১৪ হাজার পরিবার

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত এ সব অঞ্চলগুলোর ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দুর্গত মানুষদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। অনেকেই তাদের স্বজনদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে শুরু করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে হবিগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়। জেলার সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। ফলে হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই, করাঙ্গি, কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনাসহ অন্যান্য নদীর পানি বেড়ে যায়। গত বুধবার থেকে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।

জেলা সদরের জালালাবাদ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় রিচি, জালালাবাদ, ছোট বহুলা, সুলতান মাহমুদপুর ও নোয়াগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলো। ডুবে যায় হাওরের বিস্তীর্ণ আমন ধানের জমি। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি অনেকেই পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র উঠতে শুরু করেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সুমি রাণী বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আছেন ৫৭ হাজার ৫৬০ জন। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ১২৫টি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

হবিগঞ্জে পানিবন্দি ১৪ হাজার পরিবার

আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত এ সব অঞ্চলগুলোর ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দুর্গত মানুষদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। অনেকেই তাদের স্বজনদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে শুরু করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে হবিগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়। জেলার সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। ফলে হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই, করাঙ্গি, কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনাসহ অন্যান্য নদীর পানি বেড়ে যায়। গত বুধবার থেকে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।

জেলা সদরের জালালাবাদ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় রিচি, জালালাবাদ, ছোট বহুলা, সুলতান মাহমুদপুর ও নোয়াগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলো। ডুবে যায় হাওরের বিস্তীর্ণ আমন ধানের জমি। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি অনেকেই পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র উঠতে শুরু করেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সুমি রাণী বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আছেন ৫৭ হাজার ৫৬০ জন। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ১২৫টি।