ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হবিগঞ্জে পানিবন্দি ১৪ হাজার পরিবার

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • 178

হবিগঞ্জে পানিবন্দি ১৪ হাজার পরিবার

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত এ সব অঞ্চলগুলোর ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দুর্গত মানুষদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। অনেকেই তাদের স্বজনদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে শুরু করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে হবিগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়। জেলার সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। ফলে হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই, করাঙ্গি, কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনাসহ অন্যান্য নদীর পানি বেড়ে যায়। গত বুধবার থেকে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।

জেলা সদরের জালালাবাদ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় রিচি, জালালাবাদ, ছোট বহুলা, সুলতান মাহমুদপুর ও নোয়াগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলো। ডুবে যায় হাওরের বিস্তীর্ণ আমন ধানের জমি। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি অনেকেই পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র উঠতে শুরু করেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সুমি রাণী বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আছেন ৫৭ হাজার ৫৬০ জন। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ১২৫টি।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপস্থিত বুদ্ধিতে ডাকাতির কবল থেকে রক্ষা চালকের

হবিগঞ্জে পানিবন্দি ১৪ হাজার পরিবার

আপডেট সময় ০৮:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত এ সব অঞ্চলগুলোর ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দুর্গত মানুষদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। অনেকেই তাদের স্বজনদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে শুরু করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে হবিগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়। জেলার সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। ফলে হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই, করাঙ্গি, কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনাসহ অন্যান্য নদীর পানি বেড়ে যায়। গত বুধবার থেকে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।

জেলা সদরের জালালাবাদ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। বানের পানিতে তলিয়ে যায় রিচি, জালালাবাদ, ছোট বহুলা, সুলতান মাহমুদপুর ও নোয়াগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলো। ডুবে যায় হাওরের বিস্তীর্ণ আমন ধানের জমি। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি অনেকেই পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র উঠতে শুরু করেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সুমি রাণী বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৪ হাজার ৩৪০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আছেন ৫৭ হাজার ৫৬০ জন। তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ১২৫টি।