ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ১২ জেলা, মৃত্যু ৮

এ কেমন বন্ধু ভারত, প্রশ্ন আমীরে জামায়াতের

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান সংবাদ

দৈনিক সংগ্রাম:

এ কেমন বন্ধু ভারত, প্রশ্ন আমীরে জামায়াতের

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ শুকনা মৌসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় সময় একসাথে সব গেট খুলে দেয়। এ কেমন বন্ধু ভারত?’

বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দী দুর্গত বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা শুনে আসছি, প্রতিবেশী ওই দেশ আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। গ্রীষ্মে যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমাদেরকে পানি না দিয়ে পিপাসার্ত করে দেয়। গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দেয়। আমরা অবাক।’

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটা সরকার ছিল সাড়ে ১৫ বছর। তারা বলতো, আমাদের দেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে ছাড়ছে। এ হলো সিঙ্গাপুরের দৃশ্য। তারা বলত, এটা কানাডা। এ হলো কানাডার দৃশ্য। এগুলো সব ছিল মিথ্যা এবং ভোগাছ। তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ তার নিজের বাসায় একটা পর্দা টানালে বলত, এ ঘরে জঙ্গি আছে। ওদের মাথায়, ওদের মগজে সব সময় জঙ্গি জঙ্গি ভাব ছিল। আসল জঙ্গি তারা। তারা মাথায় হেলমেট নিয়ে, হাতে মুগুর নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। এরা আসল জঙ্গি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র, তরুণ, যুব সমাজ তাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে, বুকের মধ্যে গুলি নিয়ে তাদেরকে তাড়িয়েছে বাংলার বুক থেকে। একটা শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করল, তাকে পালাতে হবে কেন? তারা বলত, আমাদেরকে নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠাইছে।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের থেকে জালিম বিদায় করেছেন। চিরতরে যেন এ জালিমের বিদায় হয়। আর কোনো জালিমের আগমন না ঘটে। দেশ যেন সুবিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক মা-বোন, ভাইয়েরা যাতে সন্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। ইজ্জত, দ্বীন, ইমান, ধর্ম নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। আফসোস বাংলাদেশের বেশিভাগ মানুষ মুসলমান, তার জন্য একমাত্র সংখ্যালঘু মুসলমান হচ্ছে বাংলাদেশে। সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে, তাতে বাধা নেই। কিন্তু একজন খতিবকে মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছেমতো বক্তব্য দিতে দেবে না। ওয়াজ মাহফিলের মাইক কেড়ে নেবে। তফসির মাহফিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ১৪৪ ধারা জারি করবে। পুলিশ পাঠিয়ে দেবে, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে। বাংলার মানুষ আর ভবিষ্যতে তা হতে দেবে না। ১৮ কোটি মানুষে ৩৬ কোটি হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেব। এ জন্য আপনাদের, দোয়া, সাহায্য ও ভালোবাসা চাই।’

প্রথম আলো:

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ১২ জেলা, মৃত্যু ৮

● চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ।
● ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অনেক স্থানে পানি।
● সরকারের তথ্য, প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত।
● ফেনী ও খাগড়াছড়ির অর্ধেক মোবাইল টাওয়ার অচল।

ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যা।

উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে দেশের ১০ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। তবে বন্যাকবলিত আরও দুই জেলার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত দুই দিনে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

 

কালের কন্ঠ:

হঠাৎ বন্যায় বিপদে ৩৬ লাখ মানুষ
আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলার ৬৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এসব জেলায় পানিবন্দি পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৪০টি পরিবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫২ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চলমান বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে এসব তথ্য জানানো হয়।

বন্যার পানিতে ডুবে ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে স্থানীয় সূত্রে কুমিল্লা ও কক্সবাজারে আরো পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার ৬৫ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এসব এলাকায় তিন কোটি ৩২ লাখ টাকাসহ পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল এবং ১৫ হাজার বস্তা শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানিবন্দি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুই হাজার ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৬৯৪ জন আশ্রয় নিয়েছে।

সাত হাজার ৭৫৫টি গবাদি পশুকেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১০ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায় ৪৯২টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বন্যাকবলিত বিভিন্ন জেলার আট লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুত্হীন অবস্থায় রয়েছে। এসব জেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

বিতরণকারী সংস্থা দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার কারণে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুরের বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজকের প্রত্রিকা গুলোর সংবাদ

যুগান্তর:

ঘুসের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন দীপু মনি
আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের তিনবারের মন্ত্রী ও একবার সংসদ-সদস্য ডা. দীপু মনি গ্রেফতারের পর ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুস-দুর্নীতির নানা তথ্য বের হতে শুরু করেছে। বিগত সরকারের প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তৃতীয় মেয়াদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চতুর্থ মেয়াদে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। এসব পদ-পদবি পেয়ে গত প্রায় ১৬ বছর তিনি বেশ বেপরোয়া ছিলেন। তার হাত থেকে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও রেহাই পাননি। তারা ছিলেন অনেকটা সংখ্যালঘুর মতো। দীপু মনির দুর্নীতি ও অপকর্মের মূল সহযোগী ছিলেন তার ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপু। এ টিপুর নেতৃত্বে প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। চক্রে চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারও ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন রিমান্ডে আছেন। তবে তার ভাই টিপু ও রতন কুমার এখন পলাতক। দীপু মনির টাকার মেশিন ছিলেন চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম খান ওরফে চোরা সেলিম। তার মাধ্যমে চাঁদপুরে বালুমহাল থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন দীপু মনি ও তার ভাই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চোরা সেলিম ও তার ছেলে শান্ত খান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার গণপিটুনিতে মারা যান। চোরা সেলিমের মৃত্যু নিয়েও চাঁদপুরে নানা আলোচনা আছে। অনেকেই ইঙ্গিত করেছেন-দুর্নীতির পার্টনার চোরা সেলিমকে কৌশলে উত্তেজিত লোকজনকে উসকে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যাতে দীপু মনি বা তার ভাইয়ের অবৈধ টাকার সাক্ষী না থাকে। এদিকে দীপু মনির অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীপু মনি পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কুক্ষিগত করেন। ওই সময় তদবিরের জন্য চাঁদপুরেও চলে আসতে দেখা গেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের। শিক্ষা খাতে ঘুস-দুর্নীতির বিষয় টিপু ছাড়াও স্থানীয়ভাবে দেখতেন চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করে রতন কুমার মজুমদারকে পুনঃপুনঃ পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ চলমান রাখতেন। যদিও সর্বশেষ মহিবুল হাসান নওফেল শিক্ষামন্ত্রী হয়েই ওই পরিপত্রটি বাতিল করে দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু না হয়েও অঘোষিতভাবে দীপু মনির ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপু ও রতন কুমার মজুমদার মিলে সব বদলি, নিয়োগসহ মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনেও বিশাল ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন এ দুজন। এদের ভয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা তটস্থ থাকতেন-জানান একজন কলেজশিক্ষক।

 

নয়াদিগন্ত:

বাঁধ ও বন্যা সৃষ্টি ভারতের আন্তর্জাতিক অপরাধ : হেফাজত
বন্যাকবলিত ফেনী ও নোয়াখালীতে সবাইকে জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতের ছেড়ে দেয়া পানিতে ফেনী ও নোয়াখালী বন্যায় ডুবে গেছে। পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ভারত বাঁধ খুলে দেয়ায় সেখানে নজিরবিহীন মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে তাদের হেলিকপ্টার ও শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত বোটসহ জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। দেশের আরো কয়েকটি অঞ্চলেও বন্যার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত আমাদের ওপর আবারো রাজনৈতিক বন্যা চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা অবশ্যই ভারতের এই অনাচারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব ইনশা আল্লাহ। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে উজানের দেশ কখনো অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীতে এমন কোনো বাঁধ দিতে পারে না, যা ভাটির দেশের নদী ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিন্তু ভারত এ ক্ষেত্রে আমাদের সাথে সবসময় আগ্রাসী আচরণ করেছে। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে আমাদের নদীব্যবস্থা ও কৃষিব্যবস্থা দুটোরই ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। প্রয়োজনের সময় পানি দেয় না, কিন্তু প্রতি বছরই ভারী বর্ষায় নিজের স্বার্থে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোকে বন্যায় ভাসিয়ে মানবিক বিপর্যয় তৈরি করছে। এসব বাঁধ ও বন্যা সৃষ্টি ভারতের আন্তর্জাতিক অপরাধ। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হলে ভারতকে এসবের জবাব দিতে হবে।

তারা আরো বলেন, বাঁধ না দিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে অভিন্ন নদীগুলোকে চলতে দিলে উভয় দেশই উপকৃত হতো। উভয় দিকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা কমে যেত। কিন্তু ভারত অন্যায্য বাঁধ বসিয়ে সব পানি একাই ভোগ করতে চায়। এটি প্রকৃতিবিরুদ্ধ অন্যায়। এসব বন্যা ভারতেরই সৃষ্টি। বন্যায় নিহত প্রতিটি লাশের চড়া মাশুল ভারতকে এবার দিতে হবে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনার মতো একটি পুতুল ফ্যাসিবাদী সরকারকে আমাদের ওপর চাপিয়ে বন্ধুরাষ্ট্রের নামে ভারত এ দেশে যেসব অনাচার করেছিল, আমরা তার কিছুই ভুলিনি। ভারত সেসবের দায় এড়াতে পারে না। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট দানবকে এ দেশের তরুণ শক্তি উৎখাত করতে পেরেছে। তারুণ্যের এই শক্তির মর্ম ভারত যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল।

মানবজমিন:

হত্যা মামলার আসামী করা হলো ক্রিকেটার সাকিবকে
হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। গত ৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। এতে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর থেকে দেশ জুড়ে চলা গণ হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দলীয় সংসদদের নামে লাগাতার মামলা হচ্ছে। এবার এমনই একটা হত্যা মামলায় আসামীদের তালিকায় আছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিবের নাম।

প্রায় দেড় মাস ধরে চলা আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলায় প্রান হারান হাজারো মানুষ। এর মধ্যে ৫ই আগস্ট সকালে ঢাকাস্থ আদাবর থানার রিং রোডে সকাল বেলা পুলিশের গুলিতে মারা যান মো: রুবেল নামের একজন গার্মেন্টস কর্মী। এই হত্যায় আদাবর থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম। যেখানে হত্যায় মদদ ও ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ২৮ নম্বর আসামী করা হয়েছে সাকিবকে। এছাড়া ১ নম্বর আসামী শেখ হাসিনা ও ২ নম্বর আসামী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আরও ১৫৩জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে, ওইদিন মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে একটি বুকের বা পাশে ও আরেকটি পেটের বা পাশে লাগে রুবেলের।

এরপর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হলে রুবেলকে পাঠানো হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। সেখানে সার্জারি করা হলে পরে আইসিউ স্বল্পতায় ভর্তি করা হয় কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুবেল।
সাকিব আল হাসান গত সংসদ নির্বাচনে মাগুরা ১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কালবেলা:

কারাগারে বন্দি কমেছে সাড়ে ২২ হাজার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কারামুক্ত হয়েছেন রাজনৈতিক কারণে আটক বিপুলসংখ্যক মানুষ। এর প্রভাবে গত তিন সপ্তাহে দেশে কারাবন্দির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কমে গেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২ হাজার বন্দিও আছেন।

কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই সারা দেশে ৬৮টি কারাগারে মোট বন্দি ছিলেন ৭৯ হাজার ৪৮ জন। এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কারণে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে গণগ্রেপ্তারের শিকার ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আটক বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। বিপুলসংখ্যক মানুষ কারামুক্ত হওয়ায় গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দেশের সব কারাগারে বন্দির সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪২৭ জনে দাঁড়ায়। সেই হিসাবে তিন সপ্তাহে কারামুক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬২১ জন।

কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক যেসব মামলা হয়েছে, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার এবং বন্দিদের জামিনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের জামিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারের এই উদ্যোগগুলোর কারণে জামিনের আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে বন্দিরা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে বেশ কয়েকটি কারাগারে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৮টি কারাগার ভেঙে বন্দিরা পালিয়ে যান। কারা অধিদপ্তর থেকে সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগার ভেঙে ৮২৫ বন্দি পালিয়ে যান। অস্ত্র ও গুলি লুট হয়। ওই সময় কারাগারের ভেতরে অগ্নিসংযোগও করা হয়।

এরপর সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভেঙে ৫৮০ জন বন্দি বেরিয়ে যান। একইদিন শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুব্ধ লোকজন ভাঙচুর করে আগুন দেয়। সুযোগ পেয়ে কারাগারে থাকা ৫১৮ বন্দির সবাই বের হয়ে যান। সেই সময় কারাগারের অস্ত্র ও মূল্যবান সামগ্রী লুটের ঘটনা ঘটে।

সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান ২০৯ জন বন্দি। এর মধ্যে জঙ্গিবাদে অভিযুক্তরাও ছিল। ৭ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান ৫৫ জন। এ ছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, জামালপুর জেলা কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসব ঘটনায় কারারক্ষীদের গুলিতে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ছয়জন এবং জামালপুরে সাতজন নিহত হন।

বনিক বার্তা:

অপরিবর্তিত রিজার্ভ বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি আগস্টের প্রথম ২০ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৩ কোটি বা ১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২৩ সালের এ সময়ে প্রবাসীরা ১১২ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন। সে হিসাবে চলতি আগস্টে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ শতাংশেরও বেশি। দেশে ২০ আগস্ট একদিনেই এসেছে প্রায় ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। চলতি মাসে দেশের রিজার্ভ অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২১ আগস্টে এসেও তা একই অবস্থায় রয়েছে। অথচ জুলাইয়ে রিজার্ভ থেকে ১৩০ কোটি বা ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয় হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গভর্নর হিসেবে ড. আহসান এইচ মনসুর যোগদানের পর ডলারের বিনিময় হার বাড়ানো হয়েছে। এখন ব্যাংক খাতে প্রতি ডলার ১২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এ কারণে রিজার্ভের ক্ষয় আপাতত বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। তাছাড়া প্রবাসীরাও আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি আগস্টের প্রথম তিনদিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ ওই সময় প্রতিদিন মাত্র ৩ কোটি ডলার করে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ৪ থেকে ১০ আগস্ট প্রবাসীরা ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আর ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে পাঠান ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট একদিনেই প্রবাসীরা ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।

দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। গত অক্টোবর থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রবৃদ্ধির ধরায় ছিল। এর মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু জুলাইয়ে এসে সে প্রবাহে বড় ধরনের ধাক্কা খায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ জুলাই দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আন্দোলন দমাতে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি, দেখামাত্র গুলির মতো নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালানো হয়। দেশে সংঘটিত সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকার কয়েক দেশে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন। এসব সমাবেশ থেকে রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে মাত্র ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ৬৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার কম আসে। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্স কমে যায় প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারো তা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লম্ফন হওয়ায় দেশের খুচরা বাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলারের দর স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। ব্যাংকে প্রতি ডলার ১২০ টাকায় লেনদেন হলেও কার্ব মার্কেটে ডলার মিলছে ১২১-১২২ টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২ হাজার ৩৯১ কোটি বা ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন।

দেশ রুপান্তর:

ডলারে ঘুষ দিয়ে পালান বেনজীর
গণমাধ্যমে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের পর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সপরিবারে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান। গত ৪ মে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রী ও দলটির নেতা। এর জন্য বেনজীরকে খরচ করতে হয়েছে সোয়া লাখ ডলার। এ ছাড়া পুলিশে উচ্চপদস্থ অন্তত ১০ কর্মকর্তাও বেনজীরকে সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তায় সিঙ্গাপুরে বসেই বাংলাদেশের দূতাবাস থেকেই তুরস্কের ভিসা করে ফেলেন। তিনি এখন সেখানেই আছেন। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ যা করেছেন, তা ছিল কল্পনাতীত। তার নানা অপকর্মে পুলিশের অন্তত ১০ শীর্ষ কর্তা সহায়তা করেছেন। তারা অতিরিক্ত আইজিপি, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার (এসপি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা। আইজিপি
থাকাকালে তারা নানাভাবে বেনজীর আহমেদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছিলেন। দেশ ছেড়ে পালানোর সময় তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করেন। ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাব মহাপরিচালক ও আইজপি

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

তাপসের তুঘলকি কাণ্ড
সিটি করপোরেশনের কয়েক হাজার কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে, দুই মামার হাতে ছিল দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদ্যবিদায়ী মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সম্পর্কিত দুই মামা ফারুক ও মাসুদ সেরনিয়াবাত করপোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাপসের ধানমন্ডির বাসায় বসে ইজারা, টেন্ডারসহ সব কার্যক্রমের ঠিকাদার তারাই নিয়োগ দিতেন। এ কাজের সব তথ্য সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করতেন মেয়রের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) নাসিরুল হাসান সজীব। এরাই ঠিকাদার নির্দিষ্ট করতেন। এদের মধ্যে যেসব ঠিকাদার কমিশন বেশি দিতেন তাদের কাজ দেওয়া হতো। এদিকে সিটি করপোরেশনের কয়েক হাজার কোটি টাকা মেয়র রেখেছেন নিজের মালিকানাধীন ব্যাংকে। বিদায়ী মেয়র ব্যারিস্টার তাপসের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের তিনি একজন উদ্যোক্তা পরিচালক। তিনি দক্ষিণ সিটির এফডিআর, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ফি মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন। শুধু এ ব্যাংকেই করপোরেশনের স্থায়ী আমানত ৫০০ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। এ ছাড়া চার খাল সংস্কার প্রকল্পের ৮৭৬ কোটি, শাহবাগ শিশু পার্কের উন্নয়নকাজের ৬০৩ কোটিসহ কয়েকটি প্রকল্পের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা এ ব্যাংকে জমা রয়েছে।

সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়র লাভজনক কোনো প্রতিষ্ঠানের পদে থাকতে পারবেন না। তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাপস মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ১২ মে মধুমতি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এরপর সিটি করপোরেশনের আর্থিক ফান্ড, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সব ধরনের লেনদেন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করে সংস্থাটি। এর মধ্যে ডিএসসিসির স্থায়ী আমানত ৫০০ কোটি টাকা এফডিআর হিসেবে মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন। এ ছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকাও সংগ্রহ করে ব্যাংকটি। নতুন করে চলতি অর্থবছরে ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়ন ফি সংগ্রহের দায়িত্ব পায় ব্যাংকটি। হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা চুক্তি অনুযায়ী সাত দিন জমা থাকার কথা থাকলেও পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৫ দিন ধার্য করে। সেটিও মানে না মধুমতি ব্যাংক। ট্রেড লাইসেন্স ও ট্যাক্সের জমা করা এ টাকা নির্দিষ্ট সময় ব্যাংকটি নিজস্ব কাজে ব্যবহার করে। এর লভ্যাংশ সিটি করপোরেশন পায় না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আসে মধুমতি ব্যাংকে। এ ছাড়া ব্যাংকটির একটি বুথ করপোরেশনের আট তলায় রয়েছে। এ বুথের জন্য রুম ছেড়ে দিলেও আর্থিক কোনো চুক্তি হয়নি। মেয়রের মৌখিক নির্দেশে নগর ভবনে বুথ বসিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে ব্যাংকটি। দক্ষিণ সিটির সব টেন্ডার ও ইজারার গডফাদার ছিলেন ফারুক ও মাসুদ সেরনিয়াবাত নামে মেয়রের দুই আত্মীয়। এ দুজনই ইজারা কাকে দেবেন নির্দিষ্ট করতেন। বাছাই করা ঠিকাদারদের মধ্যে যারা কমিশন বেশি দিতেন তাদের ইজারা দেওয়া হতো। জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহ. শের আলী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে কল দিলে সাড়া দেননি।

সমকাল:

কোনো ব্যাংকে টাকা নেই, কোথাও উপচে পড়ছে ভল্ট
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এরই মধ্যে অনেক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো এখন আর বিশেষ ধার না পাওয়ায় অনেক আমানতকারীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। অবশ্য দিনে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমার কারণে এসব ব্যাংকের খারাপ অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই। সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে অনেক শাখা। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত। সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়। সরকার পতনের পর কয়েকদিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল ব্যাংকগুলো। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি।

গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা হয় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত ১৮ আগস্ট তা ছিল ১০ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে নোটস ইন সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ কমে গতকাল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ কোটিতে নেমেছে। গত ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৬১ কোটি টাকা।
এর আগে সরকার পতনের পরদিন গত ৬ আগস্ট কারেন্সি ইন সার্কুলেশন ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। আর সরকার পরিবর্তনের পর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায় ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সার্কুলেশনে থাকা নোটের মধ্যে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সারাদেশে ১১ হাজারের মতো ব্যাংক শাখার ভল্টে ১৬ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো জমা থাকে। সার্কুলেশনে থাকা বাকি টাকা রয়েছে নাগরিকদের পকেট, ঘরের আলমারি, সিন্দুক কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

 

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ১২ জেলা, মৃত্যু ৮

এ কেমন বন্ধু ভারত, প্রশ্ন আমীরে জামায়াতের

আপডেট সময় ০৮:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান সংবাদ

দৈনিক সংগ্রাম:

এ কেমন বন্ধু ভারত, প্রশ্ন আমীরে জামায়াতের

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ শুকনা মৌসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় সময় একসাথে সব গেট খুলে দেয়। এ কেমন বন্ধু ভারত?’

বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দী দুর্গত বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা শুনে আসছি, প্রতিবেশী ওই দেশ আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। গ্রীষ্মে যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমাদেরকে পানি না দিয়ে পিপাসার্ত করে দেয়। গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দেয়। আমরা অবাক।’

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটা সরকার ছিল সাড়ে ১৫ বছর। তারা বলতো, আমাদের দেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে ছাড়ছে। এ হলো সিঙ্গাপুরের দৃশ্য। তারা বলত, এটা কানাডা। এ হলো কানাডার দৃশ্য। এগুলো সব ছিল মিথ্যা এবং ভোগাছ। তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ তার নিজের বাসায় একটা পর্দা টানালে বলত, এ ঘরে জঙ্গি আছে। ওদের মাথায়, ওদের মগজে সব সময় জঙ্গি জঙ্গি ভাব ছিল। আসল জঙ্গি তারা। তারা মাথায় হেলমেট নিয়ে, হাতে মুগুর নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। এরা আসল জঙ্গি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র, তরুণ, যুব সমাজ তাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে, বুকের মধ্যে গুলি নিয়ে তাদেরকে তাড়িয়েছে বাংলার বুক থেকে। একটা শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করল, তাকে পালাতে হবে কেন? তারা বলত, আমাদেরকে নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠাইছে।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের থেকে জালিম বিদায় করেছেন। চিরতরে যেন এ জালিমের বিদায় হয়। আর কোনো জালিমের আগমন না ঘটে। দেশ যেন সুবিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক মা-বোন, ভাইয়েরা যাতে সন্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। ইজ্জত, দ্বীন, ইমান, ধর্ম নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। আফসোস বাংলাদেশের বেশিভাগ মানুষ মুসলমান, তার জন্য একমাত্র সংখ্যালঘু মুসলমান হচ্ছে বাংলাদেশে। সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে, তাতে বাধা নেই। কিন্তু একজন খতিবকে মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছেমতো বক্তব্য দিতে দেবে না। ওয়াজ মাহফিলের মাইক কেড়ে নেবে। তফসির মাহফিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ১৪৪ ধারা জারি করবে। পুলিশ পাঠিয়ে দেবে, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে। বাংলার মানুষ আর ভবিষ্যতে তা হতে দেবে না। ১৮ কোটি মানুষে ৩৬ কোটি হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেব। এ জন্য আপনাদের, দোয়া, সাহায্য ও ভালোবাসা চাই।’

প্রথম আলো:

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ১২ জেলা, মৃত্যু ৮

● চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ।
● ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অনেক স্থানে পানি।
● সরকারের তথ্য, প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত।
● ফেনী ও খাগড়াছড়ির অর্ধেক মোবাইল টাওয়ার অচল।

ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যা।

উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে দেশের ১০ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। তবে বন্যাকবলিত আরও দুই জেলার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত দুই দিনে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

 

কালের কন্ঠ:

হঠাৎ বন্যায় বিপদে ৩৬ লাখ মানুষ
আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলার ৬৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এসব জেলায় পানিবন্দি পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৪০টি পরিবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫২ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চলমান বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে এসব তথ্য জানানো হয়।

বন্যার পানিতে ডুবে ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে স্থানীয় সূত্রে কুমিল্লা ও কক্সবাজারে আরো পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার ৬৫ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এসব এলাকায় তিন কোটি ৩২ লাখ টাকাসহ পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল এবং ১৫ হাজার বস্তা শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানিবন্দি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুই হাজার ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৬৯৪ জন আশ্রয় নিয়েছে।

সাত হাজার ৭৫৫টি গবাদি পশুকেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১০ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায় ৪৯২টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বন্যাকবলিত বিভিন্ন জেলার আট লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুত্হীন অবস্থায় রয়েছে। এসব জেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

বিতরণকারী সংস্থা দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার কারণে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুরের বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজকের প্রত্রিকা গুলোর সংবাদ

যুগান্তর:

ঘুসের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন দীপু মনি
আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের তিনবারের মন্ত্রী ও একবার সংসদ-সদস্য ডা. দীপু মনি গ্রেফতারের পর ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুস-দুর্নীতির নানা তথ্য বের হতে শুরু করেছে। বিগত সরকারের প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তৃতীয় মেয়াদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চতুর্থ মেয়াদে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। এসব পদ-পদবি পেয়ে গত প্রায় ১৬ বছর তিনি বেশ বেপরোয়া ছিলেন। তার হাত থেকে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও রেহাই পাননি। তারা ছিলেন অনেকটা সংখ্যালঘুর মতো। দীপু মনির দুর্নীতি ও অপকর্মের মূল সহযোগী ছিলেন তার ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপু। এ টিপুর নেতৃত্বে প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। চক্রে চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারও ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন রিমান্ডে আছেন। তবে তার ভাই টিপু ও রতন কুমার এখন পলাতক। দীপু মনির টাকার মেশিন ছিলেন চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম খান ওরফে চোরা সেলিম। তার মাধ্যমে চাঁদপুরে বালুমহাল থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন দীপু মনি ও তার ভাই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চোরা সেলিম ও তার ছেলে শান্ত খান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার গণপিটুনিতে মারা যান। চোরা সেলিমের মৃত্যু নিয়েও চাঁদপুরে নানা আলোচনা আছে। অনেকেই ইঙ্গিত করেছেন-দুর্নীতির পার্টনার চোরা সেলিমকে কৌশলে উত্তেজিত লোকজনকে উসকে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যাতে দীপু মনি বা তার ভাইয়ের অবৈধ টাকার সাক্ষী না থাকে। এদিকে দীপু মনির অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীপু মনি পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কুক্ষিগত করেন। ওই সময় তদবিরের জন্য চাঁদপুরেও চলে আসতে দেখা গেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের। শিক্ষা খাতে ঘুস-দুর্নীতির বিষয় টিপু ছাড়াও স্থানীয়ভাবে দেখতেন চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করে রতন কুমার মজুমদারকে পুনঃপুনঃ পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ চলমান রাখতেন। যদিও সর্বশেষ মহিবুল হাসান নওফেল শিক্ষামন্ত্রী হয়েই ওই পরিপত্রটি বাতিল করে দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু না হয়েও অঘোষিতভাবে দীপু মনির ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপু ও রতন কুমার মজুমদার মিলে সব বদলি, নিয়োগসহ মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনেও বিশাল ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন এ দুজন। এদের ভয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা তটস্থ থাকতেন-জানান একজন কলেজশিক্ষক।

 

নয়াদিগন্ত:

বাঁধ ও বন্যা সৃষ্টি ভারতের আন্তর্জাতিক অপরাধ : হেফাজত
বন্যাকবলিত ফেনী ও নোয়াখালীতে সবাইকে জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতের ছেড়ে দেয়া পানিতে ফেনী ও নোয়াখালী বন্যায় ডুবে গেছে। পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ভারত বাঁধ খুলে দেয়ায় সেখানে নজিরবিহীন মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে তাদের হেলিকপ্টার ও শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত বোটসহ জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। দেশের আরো কয়েকটি অঞ্চলেও বন্যার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত আমাদের ওপর আবারো রাজনৈতিক বন্যা চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা অবশ্যই ভারতের এই অনাচারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব ইনশা আল্লাহ। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে উজানের দেশ কখনো অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীতে এমন কোনো বাঁধ দিতে পারে না, যা ভাটির দেশের নদী ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিন্তু ভারত এ ক্ষেত্রে আমাদের সাথে সবসময় আগ্রাসী আচরণ করেছে। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে আমাদের নদীব্যবস্থা ও কৃষিব্যবস্থা দুটোরই ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। প্রয়োজনের সময় পানি দেয় না, কিন্তু প্রতি বছরই ভারী বর্ষায় নিজের স্বার্থে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোকে বন্যায় ভাসিয়ে মানবিক বিপর্যয় তৈরি করছে। এসব বাঁধ ও বন্যা সৃষ্টি ভারতের আন্তর্জাতিক অপরাধ। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হলে ভারতকে এসবের জবাব দিতে হবে।

তারা আরো বলেন, বাঁধ না দিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে অভিন্ন নদীগুলোকে চলতে দিলে উভয় দেশই উপকৃত হতো। উভয় দিকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা কমে যেত। কিন্তু ভারত অন্যায্য বাঁধ বসিয়ে সব পানি একাই ভোগ করতে চায়। এটি প্রকৃতিবিরুদ্ধ অন্যায়। এসব বন্যা ভারতেরই সৃষ্টি। বন্যায় নিহত প্রতিটি লাশের চড়া মাশুল ভারতকে এবার দিতে হবে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনার মতো একটি পুতুল ফ্যাসিবাদী সরকারকে আমাদের ওপর চাপিয়ে বন্ধুরাষ্ট্রের নামে ভারত এ দেশে যেসব অনাচার করেছিল, আমরা তার কিছুই ভুলিনি। ভারত সেসবের দায় এড়াতে পারে না। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট দানবকে এ দেশের তরুণ শক্তি উৎখাত করতে পেরেছে। তারুণ্যের এই শক্তির মর্ম ভারত যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল।

মানবজমিন:

হত্যা মামলার আসামী করা হলো ক্রিকেটার সাকিবকে
হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। গত ৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। এতে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর থেকে দেশ জুড়ে চলা গণ হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দলীয় সংসদদের নামে লাগাতার মামলা হচ্ছে। এবার এমনই একটা হত্যা মামলায় আসামীদের তালিকায় আছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিবের নাম।

প্রায় দেড় মাস ধরে চলা আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলায় প্রান হারান হাজারো মানুষ। এর মধ্যে ৫ই আগস্ট সকালে ঢাকাস্থ আদাবর থানার রিং রোডে সকাল বেলা পুলিশের গুলিতে মারা যান মো: রুবেল নামের একজন গার্মেন্টস কর্মী। এই হত্যায় আদাবর থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম। যেখানে হত্যায় মদদ ও ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ২৮ নম্বর আসামী করা হয়েছে সাকিবকে। এছাড়া ১ নম্বর আসামী শেখ হাসিনা ও ২ নম্বর আসামী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আরও ১৫৩জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে, ওইদিন মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে একটি বুকের বা পাশে ও আরেকটি পেটের বা পাশে লাগে রুবেলের।

এরপর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হলে রুবেলকে পাঠানো হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। সেখানে সার্জারি করা হলে পরে আইসিউ স্বল্পতায় ভর্তি করা হয় কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুবেল।
সাকিব আল হাসান গত সংসদ নির্বাচনে মাগুরা ১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কালবেলা:

কারাগারে বন্দি কমেছে সাড়ে ২২ হাজার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কারামুক্ত হয়েছেন রাজনৈতিক কারণে আটক বিপুলসংখ্যক মানুষ। এর প্রভাবে গত তিন সপ্তাহে দেশে কারাবন্দির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কমে গেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২ হাজার বন্দিও আছেন।

কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই সারা দেশে ৬৮টি কারাগারে মোট বন্দি ছিলেন ৭৯ হাজার ৪৮ জন। এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কারণে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে গণগ্রেপ্তারের শিকার ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আটক বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। বিপুলসংখ্যক মানুষ কারামুক্ত হওয়ায় গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দেশের সব কারাগারে বন্দির সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪২৭ জনে দাঁড়ায়। সেই হিসাবে তিন সপ্তাহে কারামুক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬২১ জন।

কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক যেসব মামলা হয়েছে, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার এবং বন্দিদের জামিনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের জামিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারের এই উদ্যোগগুলোর কারণে জামিনের আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে বন্দিরা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে বেশ কয়েকটি কারাগারে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৮টি কারাগার ভেঙে বন্দিরা পালিয়ে যান। কারা অধিদপ্তর থেকে সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগার ভেঙে ৮২৫ বন্দি পালিয়ে যান। অস্ত্র ও গুলি লুট হয়। ওই সময় কারাগারের ভেতরে অগ্নিসংযোগও করা হয়।

এরপর সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভেঙে ৫৮০ জন বন্দি বেরিয়ে যান। একইদিন শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুব্ধ লোকজন ভাঙচুর করে আগুন দেয়। সুযোগ পেয়ে কারাগারে থাকা ৫১৮ বন্দির সবাই বের হয়ে যান। সেই সময় কারাগারের অস্ত্র ও মূল্যবান সামগ্রী লুটের ঘটনা ঘটে।

সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান ২০৯ জন বন্দি। এর মধ্যে জঙ্গিবাদে অভিযুক্তরাও ছিল। ৭ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান ৫৫ জন। এ ছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, জামালপুর জেলা কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসব ঘটনায় কারারক্ষীদের গুলিতে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ছয়জন এবং জামালপুরে সাতজন নিহত হন।

বনিক বার্তা:

অপরিবর্তিত রিজার্ভ বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি আগস্টের প্রথম ২০ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৩ কোটি বা ১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২৩ সালের এ সময়ে প্রবাসীরা ১১২ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন। সে হিসাবে চলতি আগস্টে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ শতাংশেরও বেশি। দেশে ২০ আগস্ট একদিনেই এসেছে প্রায় ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। চলতি মাসে দেশের রিজার্ভ অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২১ আগস্টে এসেও তা একই অবস্থায় রয়েছে। অথচ জুলাইয়ে রিজার্ভ থেকে ১৩০ কোটি বা ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয় হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গভর্নর হিসেবে ড. আহসান এইচ মনসুর যোগদানের পর ডলারের বিনিময় হার বাড়ানো হয়েছে। এখন ব্যাংক খাতে প্রতি ডলার ১২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এ কারণে রিজার্ভের ক্ষয় আপাতত বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না। তাছাড়া প্রবাসীরাও আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি আগস্টের প্রথম তিনদিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ ওই সময় প্রতিদিন মাত্র ৩ কোটি ডলার করে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ৪ থেকে ১০ আগস্ট প্রবাসীরা ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আর ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে পাঠান ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট একদিনেই প্রবাসীরা ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।

দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। গত অক্টোবর থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রবৃদ্ধির ধরায় ছিল। এর মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু জুলাইয়ে এসে সে প্রবাহে বড় ধরনের ধাক্কা খায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ জুলাই দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আন্দোলন দমাতে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি, দেখামাত্র গুলির মতো নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালানো হয়। দেশে সংঘটিত সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকার কয়েক দেশে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন। এসব সমাবেশ থেকে রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা দেয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে মাত্র ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ৬৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার কম আসে। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্স কমে যায় প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারো তা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লম্ফন হওয়ায় দেশের খুচরা বাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলারের দর স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। ব্যাংকে প্রতি ডলার ১২০ টাকায় লেনদেন হলেও কার্ব মার্কেটে ডলার মিলছে ১২১-১২২ টাকায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২ হাজার ৩৯১ কোটি বা ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন।

দেশ রুপান্তর:

ডলারে ঘুষ দিয়ে পালান বেনজীর
গণমাধ্যমে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের পর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সপরিবারে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান। গত ৪ মে তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রী ও দলটির নেতা। এর জন্য বেনজীরকে খরচ করতে হয়েছে সোয়া লাখ ডলার। এ ছাড়া পুলিশে উচ্চপদস্থ অন্তত ১০ কর্মকর্তাও বেনজীরকে সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তায় সিঙ্গাপুরে বসেই বাংলাদেশের দূতাবাস থেকেই তুরস্কের ভিসা করে ফেলেন। তিনি এখন সেখানেই আছেন। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ যা করেছেন, তা ছিল কল্পনাতীত। তার নানা অপকর্মে পুলিশের অন্তত ১০ শীর্ষ কর্তা সহায়তা করেছেন। তারা অতিরিক্ত আইজিপি, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার (এসপি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা। আইজিপি
থাকাকালে তারা নানাভাবে বেনজীর আহমেদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছিলেন। দেশ ছেড়ে পালানোর সময় তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করেন। ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাব মহাপরিচালক ও আইজপি

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

তাপসের তুঘলকি কাণ্ড
সিটি করপোরেশনের কয়েক হাজার কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে, দুই মামার হাতে ছিল দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদ্যবিদায়ী মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সম্পর্কিত দুই মামা ফারুক ও মাসুদ সেরনিয়াবাত করপোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাপসের ধানমন্ডির বাসায় বসে ইজারা, টেন্ডারসহ সব কার্যক্রমের ঠিকাদার তারাই নিয়োগ দিতেন। এ কাজের সব তথ্য সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করতেন মেয়রের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) নাসিরুল হাসান সজীব। এরাই ঠিকাদার নির্দিষ্ট করতেন। এদের মধ্যে যেসব ঠিকাদার কমিশন বেশি দিতেন তাদের কাজ দেওয়া হতো। এদিকে সিটি করপোরেশনের কয়েক হাজার কোটি টাকা মেয়র রেখেছেন নিজের মালিকানাধীন ব্যাংকে। বিদায়ী মেয়র ব্যারিস্টার তাপসের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের তিনি একজন উদ্যোক্তা পরিচালক। তিনি দক্ষিণ সিটির এফডিআর, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ফি মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন। শুধু এ ব্যাংকেই করপোরেশনের স্থায়ী আমানত ৫০০ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। এ ছাড়া চার খাল সংস্কার প্রকল্পের ৮৭৬ কোটি, শাহবাগ শিশু পার্কের উন্নয়নকাজের ৬০৩ কোটিসহ কয়েকটি প্রকল্পের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা এ ব্যাংকে জমা রয়েছে।

সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়র লাভজনক কোনো প্রতিষ্ঠানের পদে থাকতে পারবেন না। তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাপস মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ১২ মে মধুমতি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এরপর সিটি করপোরেশনের আর্থিক ফান্ড, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সব ধরনের লেনদেন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করে সংস্থাটি। এর মধ্যে ডিএসসিসির স্থায়ী আমানত ৫০০ কোটি টাকা এফডিআর হিসেবে মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন। এ ছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকাও সংগ্রহ করে ব্যাংকটি। নতুন করে চলতি অর্থবছরে ট্রেড লাইসেন্স ও নবায়ন ফি সংগ্রহের দায়িত্ব পায় ব্যাংকটি। হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা চুক্তি অনুযায়ী সাত দিন জমা থাকার কথা থাকলেও পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৫ দিন ধার্য করে। সেটিও মানে না মধুমতি ব্যাংক। ট্রেড লাইসেন্স ও ট্যাক্সের জমা করা এ টাকা নির্দিষ্ট সময় ব্যাংকটি নিজস্ব কাজে ব্যবহার করে। এর লভ্যাংশ সিটি করপোরেশন পায় না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আসে মধুমতি ব্যাংকে। এ ছাড়া ব্যাংকটির একটি বুথ করপোরেশনের আট তলায় রয়েছে। এ বুথের জন্য রুম ছেড়ে দিলেও আর্থিক কোনো চুক্তি হয়নি। মেয়রের মৌখিক নির্দেশে নগর ভবনে বুথ বসিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে ব্যাংকটি। দক্ষিণ সিটির সব টেন্ডার ও ইজারার গডফাদার ছিলেন ফারুক ও মাসুদ সেরনিয়াবাত নামে মেয়রের দুই আত্মীয়। এ দুজনই ইজারা কাকে দেবেন নির্দিষ্ট করতেন। বাছাই করা ঠিকাদারদের মধ্যে যারা কমিশন বেশি দিতেন তাদের ইজারা দেওয়া হতো। জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহ. শের আলী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে কল দিলে সাড়া দেননি।

সমকাল:

কোনো ব্যাংকে টাকা নেই, কোথাও উপচে পড়ছে ভল্ট
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এরই মধ্যে অনেক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো এখন আর বিশেষ ধার না পাওয়ায় অনেক আমানতকারীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। অবশ্য দিনে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমার কারণে এসব ব্যাংকের খারাপ অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই। সীমার বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে অনেক শাখা। গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত। সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়। সরকার পতনের পর কয়েকদিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল ব্যাংকগুলো। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি।

গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা হয় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত ১৮ আগস্ট তা ছিল ১০ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে নোটস ইন সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ কমে গতকাল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ কোটিতে নেমেছে। গত ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৬১ কোটি টাকা।
এর আগে সরকার পতনের পরদিন গত ৬ আগস্ট কারেন্সি ইন সার্কুলেশন ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। আর সরকার পরিবর্তনের পর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায় ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সার্কুলেশনে থাকা নোটের মধ্যে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সারাদেশে ১১ হাজারের মতো ব্যাংক শাখার ভল্টে ১৬ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো জমা থাকে। সার্কুলেশনে থাকা বাকি টাকা রয়েছে নাগরিকদের পকেট, ঘরের আলমারি, সিন্দুক কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।