অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং আহতদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশন গঠনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে যারা চিকিৎসাব্যয় বহন করেছেন, তাদের ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান দেওয়া হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ইতোমধ্যে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র-জনতা এবং হাসপাতালের পরিচালক এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখা বন্ধ করা, অবৈধ দোকান তুলে দেওয়া, প্রয়োজন ছাড়া যত্রতত্র মানুষের ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করা, সংক্রমণ রোধ এবং যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিরন্তর কাজ করছে। স্বাস্থ্যসেবা ক্রান্ত যে কোনো জরুরি প্রয়োজন বা অভিযোগের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য বাতায়ন নাম্বার (১৬২৬৩) এবং হেলথ ইমার্জেন্সি (০১৭৫৯১১৪৪৮৮ এবং ০১৭৬৯৯৫৪১৯২) হটলাইন নাম্বার খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের অনেকের চোখের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। অনেকেই আংশিক বা পূর্ণাঙ্গভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। পঙ্গুত্ববরণের ঝুঁকিতে আছেন বহু মানুষ। এমতাবস্থায় অনেক দেশীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ২০ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক মতবিনিময় সভায় চিকিৎসাধীন ছাত্র- জনতার জন্য বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ এবং খুলনায় আহত এক ছাত্রের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে। আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেবা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বিশেষজ্ঞ বিদেশি চিকিৎসক আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করা হচ্ছে যে, এ বিষয়ে শিগগিরই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।