ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এস আলমের তিন প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট ফাঁকি ৩৫২১ কোটি টাকা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • 22

এস আলমের তিন প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট ফাঁকি ৩৫২১ কোটি টাকা

চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ৩৫২১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত তিন বছরে এই বিপুল পরমাণ ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

জরিমানাসহ বর্তমানে এস আলমের প্রদেয় ভ্যাটের পরিমান ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভ্যাট কাস্টমস কমিশনারেট সূত্র জানায়, বিগত তিন অর্থ বছরে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ১ হাজার ৬২২ কোটি টাকা এবং চেমন ইস্পাত ১৪০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। বর্তমানে এনবিআর-এর জরিমানাসহ এস আলমের প্রদেয় ভ্যাটের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

মূলত পণ্য বিক্রির তথ্য গোপন করে বা রিটার্নে কম বিক্রি দেখিয়ে তারা এই বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে ভ্যাট কমিশনারেট তথ্য পেয়েছে। তিন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদঘাটিত ভ্যাট ফাঁকির এই তথ্য ছাড়াও একই গ্রুপের অন্তত আরও ১২টি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির তদন্ত শুরু হয়েছে।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট ফাঁকি তদন্ত করতে এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করা হবে। নিরীক্ষার মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা থাকলে তা বেরিয়ে আসবে। এ ছাড়া ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট আদায়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ভ্যাট কমিশনার।

জনপ্রিয় সংবাদ

জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

এস আলমের তিন প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট ফাঁকি ৩৫২১ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ৩৫২১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত তিন বছরে এই বিপুল পরমাণ ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

জরিমানাসহ বর্তমানে এস আলমের প্রদেয় ভ্যাটের পরিমান ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভ্যাট কাস্টমস কমিশনারেট সূত্র জানায়, বিগত তিন অর্থ বছরে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ১ হাজার ৬২২ কোটি টাকা এবং চেমন ইস্পাত ১৪০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। বর্তমানে এনবিআর-এর জরিমানাসহ এস আলমের প্রদেয় ভ্যাটের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

মূলত পণ্য বিক্রির তথ্য গোপন করে বা রিটার্নে কম বিক্রি দেখিয়ে তারা এই বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে ভ্যাট কমিশনারেট তথ্য পেয়েছে। তিন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদঘাটিত ভ্যাট ফাঁকির এই তথ্য ছাড়াও একই গ্রুপের অন্তত আরও ১২টি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির তদন্ত শুরু হয়েছে।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট ফাঁকি তদন্ত করতে এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করা হবে। নিরীক্ষার মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা থাকলে তা বেরিয়ে আসবে। এ ছাড়া ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট আদায়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ভ্যাট কমিশনার।