ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

গাজায় নিহত ৩৫, জ্বালানি সংকটে বন্ধের শঙ্কায় অনেক হাসপাতাল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও নিহত হয়েছেন ৩৫ জন। এতে করে নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।তাছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায় ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে গাজার হাসপাতালগুলো সতর্ক করে বলেছে, হাসপাতালে জ্বালানির ঘাটতির কারণে শিশুরা মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সোমবার হতাহতদের মধ্যে গাজা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন ১৩ জন।

আল জাজিরা আরবি জানায়, পশ্চিম গাজা শহরের জাতিসংঘ পরিচালিত শাতি শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হলে অন্তত নয়জন নিহত হন।

অন্য দিকে আগের দিন উত্তর গাজা শহরের আজ-জারকা এলাকায় একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র (প্যালিনফো) জানিয়েছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণ গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় আবাসিক বাড়িগুলোতে গোলাবর্ষণ করছে।

এর আগে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯২ হাজার ৭৪৩ জন মানুষ আহত হয়েছেন।

উত্তর গাজায় পৃথকভাবে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরাকে বলেন, ‘নার্সারি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ১১ অসুস্থ শিশু জ্বালানির ঘাটতির কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে’। মূলত জ্বালানির ঘাটতির কারণে হাসপাতালটি বন্ধের হুমকিতে রয়েছে।

আল জাজিরার হিন্দ খুদারি গাজা থেকে জানান, নার্সারি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা শিশুদের মধ্যে কিছু শিশু যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তর গাজায় জ্বালানি প্রবেশ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে আবু সাফিয়া সতর্ক করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্বালানি ও ওষুধ ভর্তি একটি কনভয় রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই কনভয়টি এখনও চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সুতরাং সেই কনভয় কখন হাসপাতালে পৌঁছাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।’

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

গাজায় নিহত ৩৫, জ্বালানি সংকটে বন্ধের শঙ্কায় অনেক হাসপাতাল

আপডেট সময় ০৮:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও নিহত হয়েছেন ৩৫ জন। এতে করে নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।তাছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায় ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে গাজার হাসপাতালগুলো সতর্ক করে বলেছে, হাসপাতালে জ্বালানির ঘাটতির কারণে শিশুরা মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সোমবার হতাহতদের মধ্যে গাজা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন ১৩ জন।

আল জাজিরা আরবি জানায়, পশ্চিম গাজা শহরের জাতিসংঘ পরিচালিত শাতি শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হলে অন্তত নয়জন নিহত হন।

অন্য দিকে আগের দিন উত্তর গাজা শহরের আজ-জারকা এলাকায় একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র (প্যালিনফো) জানিয়েছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণ গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় আবাসিক বাড়িগুলোতে গোলাবর্ষণ করছে।

এর আগে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯২ হাজার ৭৪৩ জন মানুষ আহত হয়েছেন।

উত্তর গাজায় পৃথকভাবে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া আল জাজিরাকে বলেন, ‘নার্সারি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ১১ অসুস্থ শিশু জ্বালানির ঘাটতির কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে’। মূলত জ্বালানির ঘাটতির কারণে হাসপাতালটি বন্ধের হুমকিতে রয়েছে।

আল জাজিরার হিন্দ খুদারি গাজা থেকে জানান, নার্সারি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা শিশুদের মধ্যে কিছু শিশু যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তর গাজায় জ্বালানি প্রবেশ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে আবু সাফিয়া সতর্ক করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্বালানি ও ওষুধ ভর্তি একটি কনভয় রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই কনভয়টি এখনও চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সুতরাং সেই কনভয় কখন হাসপাতালে পৌঁছাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।’