ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাফিয়ায় ছিন্নভিন্ন আর্থিক খাত

১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার
সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরের বেশি সময়ে দেদার ঋণ নিয়েছে। এ ঋণের বড় অংশই নেওয়া হয়েছে দেশি উৎস থেকে। এর মধ্যে আবার বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে পাওয়া দেশি-বিদেশি ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পদত্যাগের সময় শেখ হাসিনার সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ঋণ পরিশোধে এখন ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাবেক সরকারের যথাযথ ঋণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেশি উৎস থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশি ঋণ নেওয়াকে সব সময় স্বাগত জানান অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। গত ১৫ বছরে অনেক বিদেশি ঋণও নেওয়া হয়েছে। তবে এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর–কষাকষি ও বাছবিচারহীনভাবে; যা সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।

অর্থ বিভাগ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ঋণের প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। তাতে মোট ঋণের স্থিতি দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ঋণের হিসাব হালনাগাদ করা হয় তিন মাস পরপর। মার্চ ও জুনের হিসাব আরও কিছুদিন পর তৈরি করা হবে। অর্থ বিভাগ ধারণা করছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশি-বিদেশি ঋণ স্থিতি দাঁড়াবে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে দেশি অংশ হবে ১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা আর বিদেশি অংশ ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, জুন মাস শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৯০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১১৮ টাকা দরে হিসাব করলে তা ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের যে স্থিতি ছিল, তা দেশের তিনটি বাজেটের মোট অর্থ বরাদ্দের সমান।

কালবেলা:

মাফিয়ায় ছিন্নভিন্ন আর্থিক খাত
মাফিয়া চক্রের ভয়াল থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে দেশের আর্থিক খাত। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার—সর্বত্র দেদার চলেছে লুটপাট। দফায় দফায় লুটে নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ। প্রতিটি ক্ষেত্রে লুটপাটকারীদের চেহারা উন্মোচিত হলেও বলতে গেলে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার। কারণ তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্ষমতা কাঠামোর শক্তিশালী অংশীদার।

বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের কারণে দীর্ঘকাল ধরেই দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল। এই খাত সমস্যামুক্ত করতে ঋণ আদায়ে খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল। তা না করে বিগত সরকার লুটপাটের বহুমুখী সুযোগ তৈরি করে। পুরোনো ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা দূর না করে নতুন নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূল যোগ্যতা ছিল দলীয় লোক হওয়া। মূলত অবৈধ উপায়ে আয় করা বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরির জন্য অনেকে ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়েছেন। সরকারও এসব অর্থের উৎস জানতে চায়নি। কালো টাকায় ব্যাংকের মালিক হয়ে পুরো ব্যাংকই

গ্রাস করে ফেলে কেউ কেউ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড বা হার্ট হলো আর্থিক খাত। হৃৎপিণ্ড যেমন রক্ত পরিশোধন করে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সরবরাহের মাধ্যমে মানবদেহকে সচল রাখে, তেমনি আর্থিক খাতও বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিয়ে অর্থনীতিকে সচল রাখে। হৃৎপিণ্ডে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক থাকলে যেমন শরীর ভালো থাকে, তেমনি ব্যাংক খাত ভালো থাকলে অর্থনীতিও ভালো থাকে। কিন্তু দেড় দশকের সীমাহীন লুটপাট দেশের আর্থিক খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মঈনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আর্থিক খাতে লুটপাটের দৃষ্টিভঙ্গি আগাগোড়াই ছিল। এস আলমের ছয়টি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সালমান এফ রহমানের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে তুলে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো এখন খেলাপি হয়ে গেছে। এই রকম আরও অনেক নজির আছে, যেখানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেক অত্যন্ত কঠোরভাবে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সর্বত্র বিরাজমান সালমান:

আর্থিক খাতে মাফিয়াতন্ত্রের মূলহোতা সালমান এফ রহমান। ব্যাংক, পুঁজিবাজার, বন্ড মার্কেট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প-বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল তার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই আর্থিক খাতে যে কোনো নীতি প্রণয়নে হস্তক্ষেপ করতেন ‘দরবেশ’ অভিধায় পরিচিত সালমান। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের এবং সহযোগীদের সুবিধামতো আইন ও বিধিবিধান তৈরি করাতেন

কালের কন্ঠ:

এক দিনেই ১২ সিটি মেয়রসহ ১৮৭৬ জনপ্রতিনিধি অপসারণ

সারা দেশে ১২টি সিটি করপোরেশন এবং ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব মিলিয়ে এক হাজার ৮৭৬ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে এসব পদে প্রশাসক হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া গতকাল সোমবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করেছে সরকার।

৬০ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৪৯৩ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। সারা দেশের উপজেলা পরিষদের ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৪৯৪ জন পুরুষ এবং ৪৯৪ জন নারী। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্থলে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।

এতে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

নয়াদিগন্ত:

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকের করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রিট করেন। অন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ব্যাসিক স্ট্রাকচার হচ্ছে- গণতন্ত্র, রুল অফ ল’ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট অব জুডিশিয়ারি। তিনি বলেন, ব্যাসিক স্ট্রাকচারে হিট (আঘাত) করেছে পঞ্চদশ সংশোধনী। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোটা পরিবর্তন করে দিয়েছে। এই সংশোধনীর মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রহীনতার দিকে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। সংশোধনীর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এক ধরনের হস্তক্ষেপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই জায়গাগুলো থেকে আবেদনকারীরা সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের ভয়েস রেইজ করেছেন। সেই জায়গা থেকে তারা এই আবেদন করেছেন। এই ব্যাপারে আমরা গ্রাউন্ড ইকজামিন করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের ব্যাসিক স্ট্রাকচারের সাথে সাংঘর্ষিক। প্রাথমিক পর্যায়ে এই স্টেজে এসে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেছি। তিনি বলেন, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাধ্যাধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায়। এটা যাতে না হয়, এ জন্য আমরা এই মামলা করেছি। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, কারসাজির মাধ্যমে বর্তমান এই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনে ত্রুটি আছে। পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। আমাদের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দলীয়করণের প্রশ্ন রয়েছে। আমরা যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে পারি সে জন্য এই রিট করেছি।

এ বিষয়ে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে আছে একসঙ্গে অনেকগুলো অনুচ্ছেদে পরিবর্তন বা সংশোধনী আনতে হলে গণভোট করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু কোনো গণভোট করা হয়নি। গণভোট না করে সংশোধনী পাস করা সংবিধান পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার লিখিত সংক্ষিপ্ত আদেশে আপিল বিভাগ বলেছিলেন পরবর্তী দুটি (দশম ও একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। কিন্তু সেই আদেশকে অমান্য করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হয়। ফলে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না করে দলীয় সরকারের অধীনে করা হয়। যে কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী আপিল বিভাগের আদেশের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থী।

যুগান্তর:

৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

অবিশ্বাস্য। অকল্পনীয়। শতাংশের হারে শত থেকে সহস্রাধিক গুণ সম্পদ বেড়েছে। এমনকি কারও বেড়েছে লাখ গুণ। বক্তৃতা-বিবৃতিতে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও বাস্তবে মন্ত্রী-এমপিরা নিজেকে বিত্তশালী করতেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। গত ১৫ বছরে তাদের প্রায় সবাই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়ে শীর্ষে থাকা ৪১ জন সাবেক মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পর্যায়ক্রমে এদের সবার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করবে সংস্থাটি। এরই মধ্যে তিনজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়ের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘দেরিতে হলেও মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের অনুসন্ধান করার উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মনে আশা জাগাবে। কিন্তু দুদকের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে তা এই উদ্যোগে দূর হবে না।

কারণ অনেক আগে থেকেই মন্ত্রী-এমপিদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচিত ছিল। গণমাধ্যমে তা প্রচার-প্রকাশও হয়েছে। আমরাও এ নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা বলেছি, কিন্তু দুদক থেকে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একযোগে ক্ষমতাচ্যুত এত সংখ্যক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে এটা করা হলে দুদক সাধুবাদ পেত। এখন এটা যেন আগের মতো লোক দেখানো না হয়। মানুষ দেখতে চায় দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় দুদক ঢেলে সাজানোর যে দাবি উঠেছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে তা যেন আড়াল না হয়। দুদক ঢেলে সাজানো অপরিহার্য।

জানা গেছে, গত ১৫ বছরে রেকর্ড পরিমাণ ২,৪৩,৫১৩% অস্থাবর সম্পদ বাড়িয়ে শীর্ষস্থানে আছেন রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুলক হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩২৪% সম্পদ বাড়িয়েছেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। এরপর যথাক্রমে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির ৭৬৯২%, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৬৩৫০%, আইন ও খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কামরুল ইসলামের ৫৩৯০%, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ৪৭২৩%, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ৪৬৮৩%, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি জিয়াউর রহমানের ৪৬৮২% ও ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজীর আহমেদের ৮১৯৭% সম্পদ বেড়েছে।

আরও জানা গেছে, আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ মন্ত্রী-এমপি আছেন দুদকের তালিকায়। এদের মধ্যে পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ৭১১৬%, মাদারীপুর-১ আসনের নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের ৫৬৯৬%, মাদারীপুর-২ আসনের শাজাহান খানের ৪৬৯৭%, নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৪১৩১%, জয়পুরহাট-২ আসনের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের ২৮৯৫%, বাগেরহাট-১ আসনের হেলাল উদ্দিনের ২৭৬৭%, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের ২৭৫৬% ও গাজীপুর-২ আসনের জাহিদ আহসান রাসেলের ২৫৪৫% আয় বেড়েছে।

দৈনিক সংগ্রাম:

আগামীতে দেশ পরিচালনায় যারা আসবেন তারা যেন জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হন -ডা. শফিকুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তারা যেন জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয়। একই পথ অনুসরণ না করেন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নেয়া উচিত- যে মানুষের সাথে জুলুমের আচরণ করলে পরিণতি কী ভোগ করতে হয়, এখান থেকে সবার শিক্ষা নেয়া উচিত। এই শিক্ষা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়, এই শিক্ষা জামায়াতকেও নিতে হবে, বিএনপিকেও নিতে হবে। যারাই মানুষের জন্য কাজ করতে আসবে তাদের সবাইকে নিতে হবে এই শিক্ষা-যাতে একই গর্তে জাতির পা বার বার না পড়ে।

গতকাল সোমবার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল)-নিটোর চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিং-এ তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, জামায়াত নেতা জিয়াউল হাসান প্রমুখ।

এর আগে হাসপাতালে পৌছলে নিটোর পরিচালক ডা. অধ্যাপক কাজী শামিমুর রহমান আমীরে জামায়াতকে স্বাগত জানান। এ সময় ডা. জহিরুল ইসলাম, ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল, ডা, মতিউর রহমান সরকার, ডা. শাহিদুর রহমান আকন্দ, ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, ডা. রতন, ডা. মালেকসহ কর্মকর্তা, নার্সসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি হাসপতালের ক্যাজুয়েলিটি-২ যান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজ খবর নেন। তিনি তাদেরকে জামায়াতের পক্ষ থেকে উপহার প্রদান করেন। তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

বনিকবার্তা:
মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্দশা
কর্ণফুলী টানেলে দিনে গাড়ি চলার প্রক্ষেপণ ছিল ১৭ হাজার, চলে ৪ হাজার
সাড়ে ১০ হাজার কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর যানবাহন চলাচল শুরুর পর থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ৮২টি যানবাহন এ টানেল পারাপার হয়েছে। যদিও টানেল নির্মাণের আগে করা সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, চালুর প্রথম বছরে প্রতিদিন গড়ে যানবাহন চলবে ১৭ হাজারের বেশি।

প্রত্যাশিত পরিমাণে যানবাহন না চলায় লাভ হওয়া দূরের কথা, টানেলের দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় তুলে আনাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টানেল নির্মাণের জন্য নেয়া চীনা ঋণ। গ্রেস পিরিয়ড শেষে এরই মধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন টানেলটি নির্মাণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয়ের হিসাবে পদ্মা সেতুর চেয়ে দেড় গুণ খরচ হয়েছে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে। অন্যদিকে পদ্মা সেতুর তুলনায় কর্ণফুলী টানেলের পরিচালন ব্যয় সাড়ে তিন গুণ। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কর্ণফুলী নদীতে টানেল বানিয়ে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা অপচয় করা হয়েছে বলে অভিমত তাদের।

‘‌কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কতটা দূরদর্শী সিদ্ধান্ত?’ শিরোনামে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক। গবেষণায় অদূরদর্শী পরিকল্পনা ও টানেলটির বিভিন্ন দুর্বলতা তুলে ধরেছেন তিনি।

টানেল পরিচালনা পদ্ধতিটিকে হাসপাতালের আইসিইউর সঙ্গে তুলনা করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনো টানেলে কৃত্রিম অক্সিজেন ও আলো সরবরাহ, সামগ্রিক নিরাপত্তা ও জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কর্ণফুলী টানেলও এর ব্যতিক্রম নয়। দ্বিতল পদ্মা সেতু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে যেখানে পাঁচ বছরে ৬৯৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, সেখানে একই সময়ের জন্য কর্ণফুলী টানেল পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হচ্ছে ৯৮৪ কোটি টাকা। কিলোমিটারপ্রতি পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে পদ্মা সেতুর চেয়ে সাড়ে তিন গুণ অর্থ খরচ হচ্ছে কর্ণফুলী টানেলে।

কর্ণফুলী টানেলের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত সেতু। এ সেতুর তুলনায় কর্ণফুলী টানেলের টোল হার যানবাহনভেদে আড়াই থেকে ছয় গুণ পর্যন্ত বেশি। টোল হারের এ পার্থক্য টানেলে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

মানবজমিন:

দুদকের নজরে অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের ক্ষমতার মেয়াদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন পুলিশের অনেক কর্মকর্তা। তারা বিরোধী দলগুলোর উপর নানা দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকারের আস্থা অর্জন করেন। আর এই আস্থাকে পুঁজি করে অবৈধ উপায়ে দেশে-বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করা পুলিশের অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ইতিমধ্যে কমিশন তাদের নজরে এনেছে। শিগগিরই এসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা ঘুষ বাণিজ্য থেকে শুরু করে পুলিশের নিয়োগ, পদায়ন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলায় হস্তক্ষেপ, গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে, মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ী বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগও আছে অনেকের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের এসব কর্মকর্তারা নির্মম কায়দায় বল প্রয়োগ করেছেন। তাদের নির্দেশে অধস্তন অনেকে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ধুলিস্যাৎ করার জন্য তারা ৫ই আগস্ট দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ চেষ্টা করেছেন।

দ্য ডেইলি স্টার:

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইইউ সহযোগিতা করবে: আমীর খসরু
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সহযোগিতা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ সোমবার সকালে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নাড স্পানিয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান।

ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, রাজনীতি ও অর্থনীতি—সব কিছু মিলিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে পারে, সহযোগিতা করতে পারে, কোথায় কোথায় সমর্থন দিলে আমাদের দেশ যে একটা গর্তের মধ্যে পড়েছে, সেখান থেকে দেশটাকে তুলে আনা যাবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে ফিরে আসতে হলে নির্বাচন ছাড়া তো সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছে

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

মাফিয়ায় ছিন্নভিন্ন আর্থিক খাত

১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার

আপডেট সময় ০৭:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার
সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরের বেশি সময়ে দেদার ঋণ নিয়েছে। এ ঋণের বড় অংশই নেওয়া হয়েছে দেশি উৎস থেকে। এর মধ্যে আবার বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে পাওয়া দেশি-বিদেশি ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পদত্যাগের সময় শেখ হাসিনার সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ঋণ পরিশোধে এখন ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাবেক সরকারের যথাযথ ঋণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেশি উৎস থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশি ঋণ নেওয়াকে সব সময় স্বাগত জানান অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। গত ১৫ বছরে অনেক বিদেশি ঋণও নেওয়া হয়েছে। তবে এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর–কষাকষি ও বাছবিচারহীনভাবে; যা সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।

অর্থ বিভাগ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ঋণের প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। তাতে মোট ঋণের স্থিতি দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ঋণের হিসাব হালনাগাদ করা হয় তিন মাস পরপর। মার্চ ও জুনের হিসাব আরও কিছুদিন পর তৈরি করা হবে। অর্থ বিভাগ ধারণা করছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশি-বিদেশি ঋণ স্থিতি দাঁড়াবে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে দেশি অংশ হবে ১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা আর বিদেশি অংশ ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, জুন মাস শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৯০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১১৮ টাকা দরে হিসাব করলে তা ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের যে স্থিতি ছিল, তা দেশের তিনটি বাজেটের মোট অর্থ বরাদ্দের সমান।

কালবেলা:

মাফিয়ায় ছিন্নভিন্ন আর্থিক খাত
মাফিয়া চক্রের ভয়াল থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে দেশের আর্থিক খাত। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার—সর্বত্র দেদার চলেছে লুটপাট। দফায় দফায় লুটে নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ। প্রতিটি ক্ষেত্রে লুটপাটকারীদের চেহারা উন্মোচিত হলেও বলতে গেলে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার। কারণ তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্ষমতা কাঠামোর শক্তিশালী অংশীদার।

বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের কারণে দীর্ঘকাল ধরেই দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল। এই খাত সমস্যামুক্ত করতে ঋণ আদায়ে খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল। তা না করে বিগত সরকার লুটপাটের বহুমুখী সুযোগ তৈরি করে। পুরোনো ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা দূর না করে নতুন নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূল যোগ্যতা ছিল দলীয় লোক হওয়া। মূলত অবৈধ উপায়ে আয় করা বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরির জন্য অনেকে ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়েছেন। সরকারও এসব অর্থের উৎস জানতে চায়নি। কালো টাকায় ব্যাংকের মালিক হয়ে পুরো ব্যাংকই

গ্রাস করে ফেলে কেউ কেউ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড বা হার্ট হলো আর্থিক খাত। হৃৎপিণ্ড যেমন রক্ত পরিশোধন করে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সরবরাহের মাধ্যমে মানবদেহকে সচল রাখে, তেমনি আর্থিক খাতও বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিয়ে অর্থনীতিকে সচল রাখে। হৃৎপিণ্ডে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক থাকলে যেমন শরীর ভালো থাকে, তেমনি ব্যাংক খাত ভালো থাকলে অর্থনীতিও ভালো থাকে। কিন্তু দেড় দশকের সীমাহীন লুটপাট দেশের আর্থিক খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মঈনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আর্থিক খাতে লুটপাটের দৃষ্টিভঙ্গি আগাগোড়াই ছিল। এস আলমের ছয়টি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সালমান এফ রহমানের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে তুলে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো এখন খেলাপি হয়ে গেছে। এই রকম আরও অনেক নজির আছে, যেখানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেক অত্যন্ত কঠোরভাবে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সর্বত্র বিরাজমান সালমান:

আর্থিক খাতে মাফিয়াতন্ত্রের মূলহোতা সালমান এফ রহমান। ব্যাংক, পুঁজিবাজার, বন্ড মার্কেট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প-বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল তার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই আর্থিক খাতে যে কোনো নীতি প্রণয়নে হস্তক্ষেপ করতেন ‘দরবেশ’ অভিধায় পরিচিত সালমান। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের এবং সহযোগীদের সুবিধামতো আইন ও বিধিবিধান তৈরি করাতেন

কালের কন্ঠ:

এক দিনেই ১২ সিটি মেয়রসহ ১৮৭৬ জনপ্রতিনিধি অপসারণ

সারা দেশে ১২টি সিটি করপোরেশন এবং ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব মিলিয়ে এক হাজার ৮৭৬ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে এসব পদে প্রশাসক হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া গতকাল সোমবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করেছে সরকার।

৬০ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৪৯৩ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। সারা দেশের উপজেলা পরিষদের ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৪৯৪ জন পুরুষ এবং ৪৯৪ জন নারী। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্থলে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।

এতে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

নয়াদিগন্ত:

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকের করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রিট করেন। অন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ব্যাসিক স্ট্রাকচার হচ্ছে- গণতন্ত্র, রুল অফ ল’ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট অব জুডিশিয়ারি। তিনি বলেন, ব্যাসিক স্ট্রাকচারে হিট (আঘাত) করেছে পঞ্চদশ সংশোধনী। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোটা পরিবর্তন করে দিয়েছে। এই সংশোধনীর মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রহীনতার দিকে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। সংশোধনীর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এক ধরনের হস্তক্ষেপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই জায়গাগুলো থেকে আবেদনকারীরা সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের ভয়েস রেইজ করেছেন। সেই জায়গা থেকে তারা এই আবেদন করেছেন। এই ব্যাপারে আমরা গ্রাউন্ড ইকজামিন করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের ব্যাসিক স্ট্রাকচারের সাথে সাংঘর্ষিক। প্রাথমিক পর্যায়ে এই স্টেজে এসে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেছি। তিনি বলেন, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাধ্যাধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায়। এটা যাতে না হয়, এ জন্য আমরা এই মামলা করেছি। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, কারসাজির মাধ্যমে বর্তমান এই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনে ত্রুটি আছে। পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। আমাদের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দলীয়করণের প্রশ্ন রয়েছে। আমরা যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে পারি সে জন্য এই রিট করেছি।

এ বিষয়ে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে আছে একসঙ্গে অনেকগুলো অনুচ্ছেদে পরিবর্তন বা সংশোধনী আনতে হলে গণভোট করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু কোনো গণভোট করা হয়নি। গণভোট না করে সংশোধনী পাস করা সংবিধান পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার লিখিত সংক্ষিপ্ত আদেশে আপিল বিভাগ বলেছিলেন পরবর্তী দুটি (দশম ও একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। কিন্তু সেই আদেশকে অমান্য করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হয়। ফলে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না করে দলীয় সরকারের অধীনে করা হয়। যে কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী আপিল বিভাগের আদেশের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থী।

যুগান্তর:

৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

অবিশ্বাস্য। অকল্পনীয়। শতাংশের হারে শত থেকে সহস্রাধিক গুণ সম্পদ বেড়েছে। এমনকি কারও বেড়েছে লাখ গুণ। বক্তৃতা-বিবৃতিতে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও বাস্তবে মন্ত্রী-এমপিরা নিজেকে বিত্তশালী করতেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। গত ১৫ বছরে তাদের প্রায় সবাই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়ে শীর্ষে থাকা ৪১ জন সাবেক মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পর্যায়ক্রমে এদের সবার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করবে সংস্থাটি। এরই মধ্যে তিনজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়ের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘দেরিতে হলেও মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের অনুসন্ধান করার উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মনে আশা জাগাবে। কিন্তু দুদকের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে তা এই উদ্যোগে দূর হবে না।

কারণ অনেক আগে থেকেই মন্ত্রী-এমপিদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচিত ছিল। গণমাধ্যমে তা প্রচার-প্রকাশও হয়েছে। আমরাও এ নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা বলেছি, কিন্তু দুদক থেকে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একযোগে ক্ষমতাচ্যুত এত সংখ্যক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে এটা করা হলে দুদক সাধুবাদ পেত। এখন এটা যেন আগের মতো লোক দেখানো না হয়। মানুষ দেখতে চায় দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় দুদক ঢেলে সাজানোর যে দাবি উঠেছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে তা যেন আড়াল না হয়। দুদক ঢেলে সাজানো অপরিহার্য।

জানা গেছে, গত ১৫ বছরে রেকর্ড পরিমাণ ২,৪৩,৫১৩% অস্থাবর সম্পদ বাড়িয়ে শীর্ষস্থানে আছেন রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুলক হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩২৪% সম্পদ বাড়িয়েছেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। এরপর যথাক্রমে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির ৭৬৯২%, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৬৩৫০%, আইন ও খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কামরুল ইসলামের ৫৩৯০%, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ৪৭২৩%, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ৪৬৮৩%, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি জিয়াউর রহমানের ৪৬৮২% ও ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজীর আহমেদের ৮১৯৭% সম্পদ বেড়েছে।

আরও জানা গেছে, আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ মন্ত্রী-এমপি আছেন দুদকের তালিকায়। এদের মধ্যে পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ৭১১৬%, মাদারীপুর-১ আসনের নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের ৫৬৯৬%, মাদারীপুর-২ আসনের শাজাহান খানের ৪৬৯৭%, নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৪১৩১%, জয়পুরহাট-২ আসনের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের ২৮৯৫%, বাগেরহাট-১ আসনের হেলাল উদ্দিনের ২৭৬৭%, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের ২৭৫৬% ও গাজীপুর-২ আসনের জাহিদ আহসান রাসেলের ২৫৪৫% আয় বেড়েছে।

দৈনিক সংগ্রাম:

আগামীতে দেশ পরিচালনায় যারা আসবেন তারা যেন জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হন -ডা. শফিকুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তারা যেন জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয়। একই পথ অনুসরণ না করেন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নেয়া উচিত- যে মানুষের সাথে জুলুমের আচরণ করলে পরিণতি কী ভোগ করতে হয়, এখান থেকে সবার শিক্ষা নেয়া উচিত। এই শিক্ষা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়, এই শিক্ষা জামায়াতকেও নিতে হবে, বিএনপিকেও নিতে হবে। যারাই মানুষের জন্য কাজ করতে আসবে তাদের সবাইকে নিতে হবে এই শিক্ষা-যাতে একই গর্তে জাতির পা বার বার না পড়ে।

গতকাল সোমবার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল)-নিটোর চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিং-এ তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত আর্থিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, জামায়াত নেতা জিয়াউল হাসান প্রমুখ।

এর আগে হাসপাতালে পৌছলে নিটোর পরিচালক ডা. অধ্যাপক কাজী শামিমুর রহমান আমীরে জামায়াতকে স্বাগত জানান। এ সময় ডা. জহিরুল ইসলাম, ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল, ডা, মতিউর রহমান সরকার, ডা. শাহিদুর রহমান আকন্দ, ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, ডা. রতন, ডা. মালেকসহ কর্মকর্তা, নার্সসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি হাসপতালের ক্যাজুয়েলিটি-২ যান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজ খবর নেন। তিনি তাদেরকে জামায়াতের পক্ষ থেকে উপহার প্রদান করেন। তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

বনিকবার্তা:
মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্দশা
কর্ণফুলী টানেলে দিনে গাড়ি চলার প্রক্ষেপণ ছিল ১৭ হাজার, চলে ৪ হাজার
সাড়ে ১০ হাজার কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর যানবাহন চলাচল শুরুর পর থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ৮২টি যানবাহন এ টানেল পারাপার হয়েছে। যদিও টানেল নির্মাণের আগে করা সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, চালুর প্রথম বছরে প্রতিদিন গড়ে যানবাহন চলবে ১৭ হাজারের বেশি।

প্রত্যাশিত পরিমাণে যানবাহন না চলায় লাভ হওয়া দূরের কথা, টানেলের দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় তুলে আনাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টানেল নির্মাণের জন্য নেয়া চীনা ঋণ। গ্রেস পিরিয়ড শেষে এরই মধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন টানেলটি নির্মাণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয়ের হিসাবে পদ্মা সেতুর চেয়ে দেড় গুণ খরচ হয়েছে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে। অন্যদিকে পদ্মা সেতুর তুলনায় কর্ণফুলী টানেলের পরিচালন ব্যয় সাড়ে তিন গুণ। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কর্ণফুলী নদীতে টানেল বানিয়ে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা অপচয় করা হয়েছে বলে অভিমত তাদের।

‘‌কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কতটা দূরদর্শী সিদ্ধান্ত?’ শিরোনামে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক। গবেষণায় অদূরদর্শী পরিকল্পনা ও টানেলটির বিভিন্ন দুর্বলতা তুলে ধরেছেন তিনি।

টানেল পরিচালনা পদ্ধতিটিকে হাসপাতালের আইসিইউর সঙ্গে তুলনা করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনো টানেলে কৃত্রিম অক্সিজেন ও আলো সরবরাহ, সামগ্রিক নিরাপত্তা ও জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কর্ণফুলী টানেলও এর ব্যতিক্রম নয়। দ্বিতল পদ্মা সেতু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে যেখানে পাঁচ বছরে ৬৯৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, সেখানে একই সময়ের জন্য কর্ণফুলী টানেল পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হচ্ছে ৯৮৪ কোটি টাকা। কিলোমিটারপ্রতি পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে পদ্মা সেতুর চেয়ে সাড়ে তিন গুণ অর্থ খরচ হচ্ছে কর্ণফুলী টানেলে।

কর্ণফুলী টানেলের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত সেতু। এ সেতুর তুলনায় কর্ণফুলী টানেলের টোল হার যানবাহনভেদে আড়াই থেকে ছয় গুণ পর্যন্ত বেশি। টোল হারের এ পার্থক্য টানেলে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

মানবজমিন:

দুদকের নজরে অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের ক্ষমতার মেয়াদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন পুলিশের অনেক কর্মকর্তা। তারা বিরোধী দলগুলোর উপর নানা দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকারের আস্থা অর্জন করেন। আর এই আস্থাকে পুঁজি করে অবৈধ উপায়ে দেশে-বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করা পুলিশের অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ইতিমধ্যে কমিশন তাদের নজরে এনেছে। শিগগিরই এসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা ঘুষ বাণিজ্য থেকে শুরু করে পুলিশের নিয়োগ, পদায়ন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলায় হস্তক্ষেপ, গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে, মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ী বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগও আছে অনেকের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের এসব কর্মকর্তারা নির্মম কায়দায় বল প্রয়োগ করেছেন। তাদের নির্দেশে অধস্তন অনেকে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ধুলিস্যাৎ করার জন্য তারা ৫ই আগস্ট দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ চেষ্টা করেছেন।

দ্য ডেইলি স্টার:

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইইউ সহযোগিতা করবে: আমীর খসরু
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সহযোগিতা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ সোমবার সকালে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নাড স্পানিয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান।

ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, রাজনীতি ও অর্থনীতি—সব কিছু মিলিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে পারে, সহযোগিতা করতে পারে, কোথায় কোথায় সমর্থন দিলে আমাদের দেশ যে একটা গর্তের মধ্যে পড়েছে, সেখান থেকে দেশটাকে তুলে আনা যাবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে ফিরে আসতে হলে নির্বাচন ছাড়া তো সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছে