ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম এবং থাকব : প্রধানমন্ত্রী

হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম এবং থাকব : প্রধানমন্ত্রী

অতীতের মতো আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ সব সময় আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) পাশে ছিলাম এবং থাকব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২২ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীর দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনকালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ভাষণে এ কথা বলেন। দেশ-বিদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই পূজা সম্পন্ন হোক সেটাই আমরা চাই।

আমরা পাশে আছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকেই পাশে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধ করেই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, ’৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে আমরা দেখেছি ’৯২ সালের পর এবং ২০০১ সালে এবং এর পরেও বারবার আঘাত এসেছে। আমরা আওয়ামী লীগ সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি।’
তিনি বলেন, আমাদের স্লোগান- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

ঠিক এইভাবেই আমরা সবাই উৎসব পালন করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যেহেতু উৎসবের দিন তাই কী দিলাম, কী করলাম বা কী পেলাম, কী পেলাম না সে কথায় আমি যাব না। আমরা এই মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে আপনারা বসবাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন।

তাই এখানে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ ও সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সব সময় সেই চেষ্টাই করি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। সুরা কাফেরুনের আয়াত ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদীন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোরআন শরিফেই সবাইকে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। কাজেই কেউ কারো ওপর হস্তক্ষেপ করবে না।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোমেন মণ্ডল। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম এবং থাকব : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:১৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

অতীতের মতো আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ সব সময় আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) পাশে ছিলাম এবং থাকব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২২ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীর দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনকালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ভাষণে এ কথা বলেন। দেশ-বিদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই পূজা সম্পন্ন হোক সেটাই আমরা চাই।

আমরা পাশে আছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকেই পাশে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধ করেই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, ’৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে আমরা দেখেছি ’৯২ সালের পর এবং ২০০১ সালে এবং এর পরেও বারবার আঘাত এসেছে। আমরা আওয়ামী লীগ সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি।’
তিনি বলেন, আমাদের স্লোগান- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

ঠিক এইভাবেই আমরা সবাই উৎসব পালন করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যেহেতু উৎসবের দিন তাই কী দিলাম, কী করলাম বা কী পেলাম, কী পেলাম না সে কথায় আমি যাব না। আমরা এই মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে আপনারা বসবাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন।

তাই এখানে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ ও সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সব সময় সেই চেষ্টাই করি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। সুরা কাফেরুনের আয়াত ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদীন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোরআন শরিফেই সবাইকে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। কাজেই কেউ কারো ওপর হস্তক্ষেপ করবে না।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোমেন মণ্ডল। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম উপস্থিত ছিলেন।