গাজীপুরে মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি, রাস্তার উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকার শত শত মানুষ।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর পেপসি গেট এলাকায় ঢাকা-কাপাসিয়া সড়কের দুইপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় তারা বন বিভাগের অসাধু কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন। মানববন্ধনে এলাকার শিক্ষক, চাকরিজীবী, কৃষকসহ কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ যোগ দেন। এ সময় ঢাকা-কাপাসিয়া সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ পুরনো রাস্তাঘাট সংস্কার বন্ধের অভিযোগ করেন।
এ সময় ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ মাহমুদ, আবিদ হোসেন বাবুল, শাহজাহান মিয়া, আজগর আলী, তারিকুল ইসলাম রিপন, যুবলীগ নেতা লিটন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য শাহিদা আক্তার জসুদা প্রমুখ।
সম্প্রতি ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সেনা চেকপোস্ট থেকে দিঘলাপাড়া অভিমুখী রাস্তার সংস্কার করতে গেলে বাধা দেন বারুইপাড়া বিট অফিসের কর্মকর্তারা। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির সংস্কার বন্ধ করে দেওয়ায় ফুঁসে ওঠে স্থানীয় জনসাধারণ।
বক্তারা বলেন, বন বিভাগ যদি তাদের জমিতে চলাচলে নিষেধ করে তাহলে তাদেরকেও এলাকার সাধারণ মানুষের জমি ও রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় পূর্ব নরায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের অভিযোগ করেন, বাপ-দাদার জমির ওপরের বাড়ি ঘরের একটি টিন বদলাতে এবং গোসলখানা ও টয়লেট নির্মাণ করতে গেলেও বন বিভাগের লোকদের টাকা দিতে হয়। টাকা দিলে সব অবৈধ কাজ বৈধ। আর টাকা না দিলে বৈধ কাজেও বাধা প্রদান করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বক্তরা বলেন, সরকারের শেষ সময়ে এলাকায় যেসব উন্নয়ন কাজ হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে বন বিভাগের লোকজন সেসব উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান এমনকি এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের বাউপাড়া বিটের বিট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের আনা সব অভিযোগ অসত্য। বন বিভাগ বনের জমি রক্ষা করছে। বন বিভাগের জমি ব্যবহার করতে হলে সরকারি একটি নিয়ম, আইন ও বিধিবিধান রয়েছে। সেভাবে গেলে একটি সুরাহা হতো।
ঢাকা ভয়েস/টিআই