ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণ হতে শঙ্কা Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

আইয়ুব বাচ্চুর আজ জন্মদিন

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 206

আইয়ুব বাচ্চুর আজ জন্মদিন

বরেণ্য সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর পরপারে পাড়ি জমান এই শিল্পী। তার চলে কেউ-ই মেনে নিতে পারেননি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তার জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে ভক্তদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হতেন। নগরীর এবি কিচেন স্টুডিও হয়তো মুখর হয়ে উঠতো প্রিয় মানুষদের উপস্থিতিতে। আইয়ুব বাচ্চু বেঁচে না থাকলেও তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মরণ করছেন প্রিয় শিল্পীকে।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। তার বাবা ইশহাক চোধুরী। মা নুরজাহান বেগম। তার বেড়ে উঠা একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কেউ সংগীতের সঙ্গে কেউ যুক্ত ছিলেন না। এমনকি তার ভাই-বোনদের মধ্যেও কেউ না। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু ছোটবেলা থেকেই গিটার বাজানোর নেশায় মাতেন।

যতটা জানা যায়, জিমি হেনড্রিক্সকে দেখার পর গিটারের বিষয়টা প্রথম সংক্রমিত করে আইয়ুব বাচ্চুকে। তার সংগীত জীবন শুরু হয় মূলত ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৮ সালে তিনি ব্যান্ড ফিলিংসে যোগ দেন। তার প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী পুরো এক দশকে ব্যান্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।

সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। এ নামে অস্ট্রেলিয়াতে আরেকটি ব্যান্ড থাকায় পরে বদল করে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড।

বাংলা গানের নতুন ধারার এই অনন্য শিল্পী অনেকগুলো চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেমন: ১৯৯৯ সালে ‘লাল বাদশা’ ও ‘আম্মাজান’, ২০০০ সালে ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’, ২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ও ‘রং নাম্বার’, ২০০৯ সালে ‘চাঁদের মতো বউ’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’, ২০১৩ সালে ‘টেলিভিশন’ এবং ২০১৪ সালে ‘এক কাপ চা’ প্রভৃতি। তার গাওয়া ‘আম্মাজান’ গানটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রোতাপ্রিয় গান।

তার প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে ‘রক্তগোলাপ নামে’। আর এলআরবির প্রথম অ্যালবাম হলো ‘এলআরবি’ (১৯৯২)। এরপর ‘ব্যান্ডের সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারী মন’, ‘স্বপ্ন’ (১৯৯৬), ‘আমাদের বিস্ময়’ (১৯৯৮), ‘মন চাইলে মন পাবে’ (২০০০), ‘অচেনা জীবন’ (২০০৩), ‘মনে আছে নাকি নেই’ (২০০৫), ‘স্পর্শ’ (২০০৮), ‘যুদ্ধ’ (২০১২) প্রকাশিত হয়।

একক অ্যালবামের মধ্যে রক্তগোলাপের পর রয়েছে ‘ময়না’ (১৯৮৮), ‘কষ্ট’ (১৯৯৫), ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি!’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘প্রেম প্রেমের মতো’ (২০০৩), ‘পথের গান’ (২০০৪), ‘ভাটির টানে মাটির গানে’ (২০০৬), ‘জীবন’ (২০০৬), ‘সাউন্ড অব সাইলেন্স’ (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯), ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)।

তা ছাড়াও অনেক মিশ্র অ্যালবামে কাজ করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ড এলআরবি ও ফিলিংস নব্বইয়ের দশকে যৌথভাবে ‘ক্যাপসুল’ ও ‘স্ক্রু ড্রাইভার’ নামে অসম্ভব শ্রোতাপ্রিয় দুটি অ্যালবাম উপহার দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন

আইয়ুব বাচ্চুর আজ জন্মদিন

আপডেট সময় ০৯:০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

বরেণ্য সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর পরপারে পাড়ি জমান এই শিল্পী। তার চলে কেউ-ই মেনে নিতে পারেননি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তার জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে ভক্তদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হতেন। নগরীর এবি কিচেন স্টুডিও হয়তো মুখর হয়ে উঠতো প্রিয় মানুষদের উপস্থিতিতে। আইয়ুব বাচ্চু বেঁচে না থাকলেও তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মরণ করছেন প্রিয় শিল্পীকে।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। তার বাবা ইশহাক চোধুরী। মা নুরজাহান বেগম। তার বেড়ে উঠা একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কেউ সংগীতের সঙ্গে কেউ যুক্ত ছিলেন না। এমনকি তার ভাই-বোনদের মধ্যেও কেউ না। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু ছোটবেলা থেকেই গিটার বাজানোর নেশায় মাতেন।

যতটা জানা যায়, জিমি হেনড্রিক্সকে দেখার পর গিটারের বিষয়টা প্রথম সংক্রমিত করে আইয়ুব বাচ্চুকে। তার সংগীত জীবন শুরু হয় মূলত ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৮ সালে তিনি ব্যান্ড ফিলিংসে যোগ দেন। তার প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী পুরো এক দশকে ব্যান্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।

সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। এ নামে অস্ট্রেলিয়াতে আরেকটি ব্যান্ড থাকায় পরে বদল করে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড।

বাংলা গানের নতুন ধারার এই অনন্য শিল্পী অনেকগুলো চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেমন: ১৯৯৯ সালে ‘লাল বাদশা’ ও ‘আম্মাজান’, ২০০০ সালে ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’, ২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ও ‘রং নাম্বার’, ২০০৯ সালে ‘চাঁদের মতো বউ’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’, ২০১৩ সালে ‘টেলিভিশন’ এবং ২০১৪ সালে ‘এক কাপ চা’ প্রভৃতি। তার গাওয়া ‘আম্মাজান’ গানটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রোতাপ্রিয় গান।

তার প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে ‘রক্তগোলাপ নামে’। আর এলআরবির প্রথম অ্যালবাম হলো ‘এলআরবি’ (১৯৯২)। এরপর ‘ব্যান্ডের সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারী মন’, ‘স্বপ্ন’ (১৯৯৬), ‘আমাদের বিস্ময়’ (১৯৯৮), ‘মন চাইলে মন পাবে’ (২০০০), ‘অচেনা জীবন’ (২০০৩), ‘মনে আছে নাকি নেই’ (২০০৫), ‘স্পর্শ’ (২০০৮), ‘যুদ্ধ’ (২০১২) প্রকাশিত হয়।

একক অ্যালবামের মধ্যে রক্তগোলাপের পর রয়েছে ‘ময়না’ (১৯৮৮), ‘কষ্ট’ (১৯৯৫), ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি!’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘প্রেম প্রেমের মতো’ (২০০৩), ‘পথের গান’ (২০০৪), ‘ভাটির টানে মাটির গানে’ (২০০৬), ‘জীবন’ (২০০৬), ‘সাউন্ড অব সাইলেন্স’ (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯), ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)।

তা ছাড়াও অনেক মিশ্র অ্যালবামে কাজ করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ড এলআরবি ও ফিলিংস নব্বইয়ের দশকে যৌথভাবে ‘ক্যাপসুল’ ও ‘স্ক্রু ড্রাইভার’ নামে অসম্ভব শ্রোতাপ্রিয় দুটি অ্যালবাম উপহার দেন।