জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে রিমান্ড শুনানিতে এজলাসে নির্ধারিত খাঁচায় তোলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ৩টা ২০ মিনিটে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে তাদের একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের কোর্ট হাজতে রাখা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর হেলমেট পরিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সিএমএ আদালতের দোতলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালতে তোলা হয়। পলক, টুকু ও সৈকতকে পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসের একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ সময় তাদের খাঁচায় নিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচই করেন। তবে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে বিচারক তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিকে শুনানি শেষে আবার কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়। তবে বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার আদালতে আসামিদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পলক, টুকু ও সৈকতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষে একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায় ডিএমপি।
এর আগে ৬ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিল্লি যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পলককে আটকে দেওয়া হয়।
এছাড়া জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।