ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চাকসুতে ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয়,১টিতে ছাত্রদলের Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
‘আয়না ঘর’থেকে ৩ বছর পর জানলেন বাবা মারা গেছেন- ব্যারিস্টার আরমান

‘আয়না ঘর’থেকে ৩ বছর পর জানলেন বাবা মারা গেছেন- ব্যারিস্টার আরমান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • 417

ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের কারনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা।এর পর আয়না ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাসহ গুম হওয়া বেশ কয়েকজন। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান।

তিনি সেখানে প্রায় আট বছর আটক ছিলেন ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই বন্দিশালাকে শেখ হাসিনার ‘গোপন কারাগার’ আখ্যা দিয়েছেন আরমান বলেন, চোখ বেঁধে, হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর গোপন কারাগার থেকে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়। তবে কেন বের করা হচ্ছে তা জানতেন না তিনি, কী হয় এ নিয়ে বেশ আতঙ্কের মধ্যেই একটি পিস্তল লোড করার শব্দ শুনতে পাই।গুলি করার বদলে এদিন ঢাকার উপকণ্ঠের একটি কর্দমাক্ত জায়গায় গাড়ি থেকে জীবিত অবস্থায় ফেলে দেয় আমাকে।

আরমানকে গুম করার চার সপ্তাহ পর মীর কাশেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু সে খবর আরমান জানতে পারেন আরও তিন বছর পর। সেখানকার এক রক্ষী ভুলক্রমে তাকে জানিয়ে দেন তার বাবা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার বন্দীকালীন সময় পরিবার যেন গুমের ব্যাপারে কোনো কথা না বলে, সে ব্যাপারে প্রতি বছরই সতর্ক করে দেয়া হতো।

ব্যারিস্টার আরমানকে আটকে রাখা হয়েছিল একটি গোপন কারাগারের জানালাবিহীন একটি ঘরে। এই কারাগারে যারা থাকেন সেখানে তারা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দেখতে পান না। তিনি জানান, গোপন এ কারাগারের রক্ষীরা সারাক্ষণ উচ্চ শব্দে গান ছেড়ে রাখত। এজন্য আজান শুনা যেত না এবং কখন কোন নামাজের সময় হয়েছে তা বুঝা যেত না। এ ছাড়া কত সময় আটকে আছেন সেটিও বোঝার উপায় ছিল না। আর কারারক্ষীদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বাইরের কোনো খবরই যেন বন্দিদের কাছে না যায়। তবে গানের শব্দ বন্ধ হলে বুঝা যেত এ কারাগারে তিনি একা নন। আরও অনেকে আছেন। কারণ তিনি অন্যদের চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দ ভেসে আসতো।

তবে মুক্ত হওয়ার পর ব্যারিস্টার আরমান জানতেন না, দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। এএফপিকে ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, “আট বছরের মধ্যে সেবারই আমি প্রথম মুক্ত বাতাস পাই। আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে মেরে ফেলবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকসুতে ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয়,১টিতে ছাত্রদলের

‘আয়না ঘর’থেকে ৩ বছর পর জানলেন বাবা মারা গেছেন- ব্যারিস্টার আরমান

‘আয়না ঘর’থেকে ৩ বছর পর জানলেন বাবা মারা গেছেন- ব্যারিস্টার আরমান

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের কারনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা।এর পর আয়না ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাসহ গুম হওয়া বেশ কয়েকজন। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান।

তিনি সেখানে প্রায় আট বছর আটক ছিলেন ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই বন্দিশালাকে শেখ হাসিনার ‘গোপন কারাগার’ আখ্যা দিয়েছেন আরমান বলেন, চোখ বেঁধে, হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর গোপন কারাগার থেকে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়। তবে কেন বের করা হচ্ছে তা জানতেন না তিনি, কী হয় এ নিয়ে বেশ আতঙ্কের মধ্যেই একটি পিস্তল লোড করার শব্দ শুনতে পাই।গুলি করার বদলে এদিন ঢাকার উপকণ্ঠের একটি কর্দমাক্ত জায়গায় গাড়ি থেকে জীবিত অবস্থায় ফেলে দেয় আমাকে।

আরমানকে গুম করার চার সপ্তাহ পর মীর কাশেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু সে খবর আরমান জানতে পারেন আরও তিন বছর পর। সেখানকার এক রক্ষী ভুলক্রমে তাকে জানিয়ে দেন তার বাবা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার বন্দীকালীন সময় পরিবার যেন গুমের ব্যাপারে কোনো কথা না বলে, সে ব্যাপারে প্রতি বছরই সতর্ক করে দেয়া হতো।

ব্যারিস্টার আরমানকে আটকে রাখা হয়েছিল একটি গোপন কারাগারের জানালাবিহীন একটি ঘরে। এই কারাগারে যারা থাকেন সেখানে তারা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দেখতে পান না। তিনি জানান, গোপন এ কারাগারের রক্ষীরা সারাক্ষণ উচ্চ শব্দে গান ছেড়ে রাখত। এজন্য আজান শুনা যেত না এবং কখন কোন নামাজের সময় হয়েছে তা বুঝা যেত না। এ ছাড়া কত সময় আটকে আছেন সেটিও বোঝার উপায় ছিল না। আর কারারক্ষীদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বাইরের কোনো খবরই যেন বন্দিদের কাছে না যায়। তবে গানের শব্দ বন্ধ হলে বুঝা যেত এ কারাগারে তিনি একা নন। আরও অনেকে আছেন। কারণ তিনি অন্যদের চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দ ভেসে আসতো।

তবে মুক্ত হওয়ার পর ব্যারিস্টার আরমান জানতেন না, দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। এএফপিকে ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, “আট বছরের মধ্যে সেবারই আমি প্রথম মুক্ত বাতাস পাই। আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে মেরে ফেলবে।”