ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপির অবস্থান শুরু Logo যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধের প্রহসন মানা হবে না: নাহিদ Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo রুশ বিজয় দিবসে অংশ নিতে মস্কোয় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং Logo পাবনায় বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ ঘিরে কুসংস্কারের ছড়াছড়ি Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে স্নিগ্ধর পদত্যাগ Logo মৌলভীবাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জামায়াত কর্মী Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার, পরিপক্ব হলেই তোলা যাবে আম Logo আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদে শিবিরের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিচ্ছে না মিশর-জর্ডান

হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অনবরত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে নিহতের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮০০ ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলের হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু স্থান গাজা। ঘনবসতির ছোট্ট জায়গায় সর্বোচ্চ ঘনবসতি থাকা গাজার মানুষদের অন্য প্রান্তে চলে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মরিয়া ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু কোথায় যাবে তারা। সীমান্তে কড়া পাহারা বসিয়েছে পাশের দেশ মিসর ও জর্ডান। ফিলিস্তিনিদের ঠাঁই দিতে রাজি নয় তারা।

ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে জর্ডানে জোড় দাবি উঠেছে। চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। কিন্তু বাদশাহ আবদুল্লাহ অনড়। তিনি বলেছেন, জর্ডানে কোনো শরণার্থী নয়। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিও ফিলিস্তিনিদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, হামাস যাতে শরণার্থীদের সঙ্গে মিসরে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্যই এতটা কড়াকড়ি। কারণ বাড়তি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা মিসরের নেই। এ ছাড়া নিজ দেশে হাজারো শরণার্থী চায় না মিসর। প্রবেশের সুযোগ দিলে মিসরকে স্থায়ীভাবে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।

তুরস্কের হাসান কালিয়ানচু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. মুরাত আসলান বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,‘ইসরাইলের প্রাকৃতিক গ্যাস মিসরের রিফাইনারিগুলোতে তরলীকরণ হয় যেটা পুরো বিশ্বে বাজারজাত করা হয়। নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের প্রেক্ষাপটে সেটা বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই মিসর ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাচ্ছে না।’

তেমনি জর্ডান সাহায্য-সহযোগিতার জন্য সৌদি আরব, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বিমান সেখানে অবস্থান নিয়ে আছে। মানে অনেকটা জিম্মি জর্ডান। তাই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখতে বাধ্য হচ্ছে জর্ডান। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে নতুন কোনো সংকটে জড়াতে চাচ্ছে না দেশটি।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপির অবস্থান শুরু

ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিচ্ছে না মিশর-জর্ডান

আপডেট সময় ০১:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অনবরত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে নিহতের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮০০ ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলের হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু স্থান গাজা। ঘনবসতির ছোট্ট জায়গায় সর্বোচ্চ ঘনবসতি থাকা গাজার মানুষদের অন্য প্রান্তে চলে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মরিয়া ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু কোথায় যাবে তারা। সীমান্তে কড়া পাহারা বসিয়েছে পাশের দেশ মিসর ও জর্ডান। ফিলিস্তিনিদের ঠাঁই দিতে রাজি নয় তারা।

ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে জর্ডানে জোড় দাবি উঠেছে। চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। কিন্তু বাদশাহ আবদুল্লাহ অনড়। তিনি বলেছেন, জর্ডানে কোনো শরণার্থী নয়। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিও ফিলিস্তিনিদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, হামাস যাতে শরণার্থীদের সঙ্গে মিসরে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্যই এতটা কড়াকড়ি। কারণ বাড়তি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা মিসরের নেই। এ ছাড়া নিজ দেশে হাজারো শরণার্থী চায় না মিসর। প্রবেশের সুযোগ দিলে মিসরকে স্থায়ীভাবে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।

তুরস্কের হাসান কালিয়ানচু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. মুরাত আসলান বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,‘ইসরাইলের প্রাকৃতিক গ্যাস মিসরের রিফাইনারিগুলোতে তরলীকরণ হয় যেটা পুরো বিশ্বে বাজারজাত করা হয়। নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের প্রেক্ষাপটে সেটা বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই মিসর ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাচ্ছে না।’

তেমনি জর্ডান সাহায্য-সহযোগিতার জন্য সৌদি আরব, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বিমান সেখানে অবস্থান নিয়ে আছে। মানে অনেকটা জিম্মি জর্ডান। তাই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখতে বাধ্য হচ্ছে জর্ডান। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে নতুন কোনো সংকটে জড়াতে চাচ্ছে না দেশটি।