বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে দ্বিমত প্রকাশ করে ক্রিকেটারদের নিরুৎসাহিত করেছেন।
আশরাফ মনে করেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা উচিত। কারণ খেলোয়াড়রা যখন তাদের মনোযোগ ক্রিকেট এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিভক্ত করে তখন সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান একই মনোভাব পোষণ করে বলেছেন, খেলোয়ার জীবনে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়।
আশরাফ জানায়, ‘যেসব সংস্কার হয়েছে তাতে আমি বিশ্বাস করি, জাতীয় দলে থেকে কেউ রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে কিনা সে বিষয়ে অবশ্যই একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত।’
সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আশরাফ স্বীকার করেছেন সমাধানের সম্ভাবনার কথা।
তিনি আরো বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে। সেগুলো সংশোধনেরও সুযোগ রয়েছে। সাকিব যদি তার এই যাত্রায় ভুল করে থাকে, সেটা সে নিজে বুঝে নিজেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সুযোগ পাবে।’
আসন্ন সফরে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জাতীয় দলের সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তার আগে জাতীয় নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মর্তুজা।
সাকিব ও মাশরাফী দু’জনই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।