ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সেনাবাহিনী নিয়োগ ২০২৫ সার্কুলার,কাল থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু Logo ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডার Logo দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে Logo কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে কালু বাহিনীর সদস্য মুকুল গ্রেফতার Logo ৩১ জুলাই ২০২৪। ‘মার্চ ফর জাস্টিস’: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশ Logo আজ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক Logo টিভিতে যা দেখবে আজ Logo শিশু আছিয়ার পরিবারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করল জামায়াত Logo ৫ আগস্টের আগে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা দেওয়া ছাত্রী পেলেন ছাত্রদলে পদ Logo সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ

রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন নিয়ে বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১১:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • 194

রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন নিয়ে বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা

জলের গানের দলনেতা রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে— এ খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম যেমন প্রকাশ করেছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভেসে বেড়াচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে গত ৯ আগস্ট রাহুল আনন্দের ব্যান্ড ‘জলের গান’-এর অফিশিয়াল পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এ পোস্টে ফ্যাশন হাউজ খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফারহানা হামিদের একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে লেখা হয়েছে— ‘প্লিজ, লেখাটা পড়ুন ও সত্যটা জানুন।’ ফারহানা হামিদের লেখায় কী সত্য লুকিয়ে আছে?

শুরুতে ফারহানা হামিদ লেখেন, “রাহুল আনন্দের বাসা উদ্দেশ্য করে আগুন দেয়া, লুটপাট বা ভাংচুর করা হয়নি। আগুন দেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল ৩২-এর বর্তমান ‘বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ’।”

রাহুল আনন্দের বাসার অবস্থান বর্ণনা করে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘রাহুলদা একটা একতলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। একপাশে তাদের সংসার, অন্যপাশে জলের গানের স্টুডিও (অনেকের ভিডিওতে এই বাসাটা নিয়ে ভুলভাল কথা বলতে দেখেছি)। সেই বাড়িটা ব্যক্তিমালিকানায় ছিল। ৩২-এর সেখানে আরো অনেক এমন বাসা আছে। রাহুলদা ও তার পরিবারের দুর্ভাগ্য এই মায়াময় বাসাটা নতুন মিউজিয়ামের দেয়াল ঘেষে এবং সান্তুরের পিছনে ছিল, তাই তার বাসাতেও আগুন দেয়া হয়।’

রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। এ দাবি করে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘রাহুলদাকে উদ্দেশ্য করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতো না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুলদার বাসায় আগুনের সাথে রাহুলদার ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।’

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফারহানা হামিদ। তার ভাষায়, “দেশের এই পরিস্থিতিতে যেকোনো গুজব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমরা সচেতন হই। একটা সংসার, একটা দলের বহুদিনের সাধনা, একজন বাচ্চার শৈশবের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আর কারো কোনো কিছু পুড়ে না যাক। ভালোবাসা নেমে আসুক মানুষের মনে, আপনারা তাদের পাশে থাকলে আবার ‘জলের গান’-এর সাথে গলা মিলিয়ে গান গাইব— ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।”

‘জলের গান’-এর বাদ্যযন্ত্র কেউ খুঁজে পেলে তা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘জলের গানের প্রতিটা বাদ্যযন্ত্র দীর্ঘ সময় নিয়ে হাতে বানানো এবং প্রায় সকলের চেনা। কোথাও কেউ কোনো কারণে খুঁজে পেলে তা ফেরত দেয়ার অনুরোধ করছি।

ব্যক্তিগত ভাবনার কথা উল্লেখ করে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোথাও আগুন দেয়ার পক্ষেই না। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের মতো দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে আগুন দেয়ার পক্ষে তো অবশ্যই না। এই সময়ে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণের বিষয় আমি অবগত এবং এর ঘোর বিপক্ষে। কিন্তু তার মানে এই না-যে বাসা ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কারণে আক্রমণ করা হয় নাই। কিন্তু কোনো কারণে গুজব ছড়াচ্ছে আর সেই গুজবকে গুজব বলা যাবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাবাহিনী নিয়োগ ২০২৫ সার্কুলার,কাল থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু

রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন নিয়ে বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা

আপডেট সময় ১১:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

জলের গানের দলনেতা রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে— এ খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম যেমন প্রকাশ করেছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভেসে বেড়াচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে গত ৯ আগস্ট রাহুল আনন্দের ব্যান্ড ‘জলের গান’-এর অফিশিয়াল পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এ পোস্টে ফ্যাশন হাউজ খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফারহানা হামিদের একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে লেখা হয়েছে— ‘প্লিজ, লেখাটা পড়ুন ও সত্যটা জানুন।’ ফারহানা হামিদের লেখায় কী সত্য লুকিয়ে আছে?

শুরুতে ফারহানা হামিদ লেখেন, “রাহুল আনন্দের বাসা উদ্দেশ্য করে আগুন দেয়া, লুটপাট বা ভাংচুর করা হয়নি। আগুন দেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল ৩২-এর বর্তমান ‘বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ’।”

রাহুল আনন্দের বাসার অবস্থান বর্ণনা করে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘রাহুলদা একটা একতলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। একপাশে তাদের সংসার, অন্যপাশে জলের গানের স্টুডিও (অনেকের ভিডিওতে এই বাসাটা নিয়ে ভুলভাল কথা বলতে দেখেছি)। সেই বাড়িটা ব্যক্তিমালিকানায় ছিল। ৩২-এর সেখানে আরো অনেক এমন বাসা আছে। রাহুলদা ও তার পরিবারের দুর্ভাগ্য এই মায়াময় বাসাটা নতুন মিউজিয়ামের দেয়াল ঘেষে এবং সান্তুরের পিছনে ছিল, তাই তার বাসাতেও আগুন দেয়া হয়।’

রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। এ দাবি করে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘রাহুলদাকে উদ্দেশ্য করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতো না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুলদার বাসায় আগুনের সাথে রাহুলদার ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।’

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফারহানা হামিদ। তার ভাষায়, “দেশের এই পরিস্থিতিতে যেকোনো গুজব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমরা সচেতন হই। একটা সংসার, একটা দলের বহুদিনের সাধনা, একজন বাচ্চার শৈশবের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আর কারো কোনো কিছু পুড়ে না যাক। ভালোবাসা নেমে আসুক মানুষের মনে, আপনারা তাদের পাশে থাকলে আবার ‘জলের গান’-এর সাথে গলা মিলিয়ে গান গাইব— ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।”

‘জলের গান’-এর বাদ্যযন্ত্র কেউ খুঁজে পেলে তা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘জলের গানের প্রতিটা বাদ্যযন্ত্র দীর্ঘ সময় নিয়ে হাতে বানানো এবং প্রায় সকলের চেনা। কোথাও কেউ কোনো কারণে খুঁজে পেলে তা ফেরত দেয়ার অনুরোধ করছি।

ব্যক্তিগত ভাবনার কথা উল্লেখ করে ফারহানা হামিদ লেখেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোথাও আগুন দেয়ার পক্ষেই না। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের মতো দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে আগুন দেয়ার পক্ষে তো অবশ্যই না। এই সময়ে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণের বিষয় আমি অবগত এবং এর ঘোর বিপক্ষে। কিন্তু তার মানে এই না-যে বাসা ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কারণে আক্রমণ করা হয় নাই। কিন্তু কোনো কারণে গুজব ছড়াচ্ছে আর সেই গুজবকে গুজব বলা যাবে না।