ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেকৃবি ছাত্রলীগ নেতাকে জুতার মালা পরিয়ে ক্যাম্পাস ঘোরালেন শিক্ষার্থীরা

সরকার পতনের পর থেকে কোন ছাত্রলীগ নেতাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে আলতাবুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাকে ধরে মারধর করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর মাথার চুল কেটে দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে তাকে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ঘুরানো হয়।

গত ১২ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী নেতাদের রুম থেকে তাদের বেড ও জিনিসপত্র হল থেকে বের করে দেয়। এসময় তাদের রুমে বিভিন্ন অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। কোটাবিরোধি আন্দলোনের সময় আলতাবুরকে সরাসরি অস্ত্রহাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এছাড়াও আর এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার তারিখ রহমান রুদ্রকে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বলকেও মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক তৌহিদ আহমদ আশিক বলেন, ছাত্রলীগের যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো তাদের কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়া হবে না। তাদের বেডপত্র হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোরহস্তে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ দমন করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

শেকৃবি ছাত্রলীগ নেতাকে জুতার মালা পরিয়ে ক্যাম্পাস ঘোরালেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৪:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

সরকার পতনের পর থেকে কোন ছাত্রলীগ নেতাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে আলতাবুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাকে ধরে মারধর করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর মাথার চুল কেটে দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে তাকে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ঘুরানো হয়।

গত ১২ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী নেতাদের রুম থেকে তাদের বেড ও জিনিসপত্র হল থেকে বের করে দেয়। এসময় তাদের রুমে বিভিন্ন অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। কোটাবিরোধি আন্দলোনের সময় আলতাবুরকে সরাসরি অস্ত্রহাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এছাড়াও আর এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার তারিখ রহমান রুদ্রকে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বলকেও মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক তৌহিদ আহমদ আশিক বলেন, ছাত্রলীগের যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো তাদের কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়া হবে না। তাদের বেডপত্র হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোরহস্তে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ দমন করবে।