ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুন্দরবনে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম Logo বাংলাদেশে ঢুকে আম গাছ কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা Logo দেশের মানুষ চায় তরুণরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক: সারজিস Logo ইডেন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo বিএনপির ভাবনায় শুধুই ভোট Logo ‘লাল সন্ত্রাস’চায় ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা, মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস Logo ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি অনুমোদন, কার্যকরের দিন ঘোষণা Logo বিএনপির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিলেন ছাত্রহত্যা আসামি শ্রমিকলীগ নেতা, খুঁজে পায় না পুলিশ Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে : জামায়াতের আমীর

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (১১ আগস্ট) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৮) বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় পাবনা সদর আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ মোট ১০৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ’র নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। বিনা উসকানিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় তার ছেলেসহ তিনজন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের নির্দেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে দুইজন গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তার ছেলেসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ খাঁন’। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবনে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা

আপডেট সময় ০২:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (১১ আগস্ট) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৮) বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় পাবনা সদর আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ মোট ১০৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ’র নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। বিনা উসকানিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় তার ছেলেসহ তিনজন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের নির্দেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে দুইজন গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তার ছেলেসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ খাঁন’। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি।