ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (১১ আগস্ট) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৮) বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় পাবনা সদর আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ মোট ১০৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ’র নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। বিনা উসকানিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় তার ছেলেসহ তিনজন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের নির্দেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে দুইজন গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তার ছেলেসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ খাঁন’। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা

আপডেট সময় ০২:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (১১ আগস্ট) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৮) বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় পাবনা সদর আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ মোট ১০৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ’র নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। বিনা উসকানিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় তার ছেলেসহ তিনজন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের নির্দেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে দুইজন গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তার ছেলেসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ খাঁন’। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি।