ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা সরকারের বড় সাফল্য: প্রেস সচিব Logo সিরাজগঞ্জে ৫০০ পরিবার পেল দোস্ত এইডের খাদ্য সামগ্রী Logo ফের নাফ নদী থেকে ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Logo ডাকসু নির্বাচনে বাধা এলে সবাইকে ডেকে সবকিছু বলে দেব: ঢাবি উপাচার্য Logo কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলাতে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo বিধিমালা ভঙ্গের পরও হামীমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন: বাকের Logo জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ Logo মুন্সীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের “A+ সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা Logo এখন জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছে: নুর

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (১১ আগস্ট) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৮) বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় পাবনা সদর আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ মোট ১০৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ’র নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। বিনা উসকানিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় তার ছেলেসহ তিনজন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের নির্দেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে দুইজন গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তার ছেলেসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ খাঁন’। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা সরকারের বড় সাফল্য: প্রেস সচিব

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নামে মামলা

আপডেট সময় ০২:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ নেতাদের গুলিতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (১১ আগস্ট) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৮) বাবা মো. দুলাল উদ্দিন মাস্টার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় পাবনা সদর আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ মোট ১০৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ’র নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আসামিরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। বিনা উসকানিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় তার ছেলেসহ তিনজন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের নির্দেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে দুইজন গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তার ছেলেসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ খাঁন’। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি।