ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চালুর জন্য প্রস্তুত মেট্রোরেল, সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায়সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে ‘‌সবুজ সংকেত’ দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কারিগরি কমিটি। ডিএমটিসিএলের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, কবে নাগাদ মেট্রো চলাচল শুরু হবে, তা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্স ও ফুটওভার ব্রিজে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনার পর ওইদিন বিকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। পরদিন ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং কবে নাগাদ এটি আবার চালু করা যায় তা নির্ধারণে ২২ জুলাই মেট্রোরেল লাইন-৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়াকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে দেয় ডিএমটিসিএল। কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ছয়টি টিকিট কাটার মেশিন (ভেন্ডিং মেশিন), আটটি কাউন্টার ও ১৬টি স্বয়ংক্রিয় গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে কাজীপাড়া স্টেশনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারটি ভেন্ডিং মেশিন, ছয়টি টিকিট কাটার কাউন্টার ও ছয়টি স্বয়ংক্রিয় গেট। দুই স্টেশনেই বেশকিছু সিসি ক্যামেরা ও জানালার কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ, টিকিট ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত যাত্রী পরিষেবা দেয়া সম্ভব নয়। তবে এ দুটি স্টেশন বন্ধ রেখেই ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।

কবে থেকে ট্রেন চলবে, জানা যাবে আজ। ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়েও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অধীনে। রোববার তিনি অধীনস্থ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করবেন। সেখানেই ট্রেন চালুর বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা

চালুর জন্য প্রস্তুত মেট্রোরেল, সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

আপডেট সময় ০৫:৩০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায়সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে ‘‌সবুজ সংকেত’ দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কারিগরি কমিটি। ডিএমটিসিএলের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, কবে নাগাদ মেট্রো চলাচল শুরু হবে, তা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্স ও ফুটওভার ব্রিজে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনার পর ওইদিন বিকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। পরদিন ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং কবে নাগাদ এটি আবার চালু করা যায় তা নির্ধারণে ২২ জুলাই মেট্রোরেল লাইন-৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়াকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে দেয় ডিএমটিসিএল। কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ছয়টি টিকিট কাটার মেশিন (ভেন্ডিং মেশিন), আটটি কাউন্টার ও ১৬টি স্বয়ংক্রিয় গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে কাজীপাড়া স্টেশনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারটি ভেন্ডিং মেশিন, ছয়টি টিকিট কাটার কাউন্টার ও ছয়টি স্বয়ংক্রিয় গেট। দুই স্টেশনেই বেশকিছু সিসি ক্যামেরা ও জানালার কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ, টিকিট ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত যাত্রী পরিষেবা দেয়া সম্ভব নয়। তবে এ দুটি স্টেশন বন্ধ রেখেই ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।

কবে থেকে ট্রেন চলবে, জানা যাবে আজ। ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়েও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অধীনে। রোববার তিনি অধীনস্থ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করবেন। সেখানেই ট্রেন চালুর বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হবে।