দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে তাকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে, সকালে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির পদত্যাগের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরেই পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
এটা নিয়ে আপত্তি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এমনকি, মো. আশফাকুল ইসলামের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। একইসঙ্গে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তারা। তাদের প্রতিবাদের মুখে আইন মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয়, ‘এখনও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
অবশেষে রাতে রাষ্ট্রপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। এদিকে, আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতির পর পদত্যাগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতি।
শনিবার বিকেলে প্রথমে দুইজন এবং সন্ধ্যায় আরও তিনজনসহ মোট পাঁচজন বিচারপতি পদত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের পদত্যাগ দাবি করে আল্টিমেটাম দিয়েছিল।
পদত্যাগকারী পাঁচ বিচারপতি হলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।