যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এক পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির ইরানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। অভিযুক্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিকের নাম আসিফ মার্চেন্ট।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, ওই পাকিস্তানি নাগরিকই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন বড় রাজনীতিককে হত্যার ছক কষেছিল। তার সঙ্গে ইরানেরও যোগ রয়েছে। আসিফ মার্চেন্টের পুরো নাম আসিফ রাজা মার্চেন্ট। তিনি জন্মসূত্রে পাকিস্তানের নাগরিক। তার দুজন স্ত্রী রয়েছেন।
যার ভেতরে একজন পাকিস্তানে এবং আরেকজন ইরানে থাকেন। দুই দেশে তার সন্তান রয়েছে বলেও জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
মার্কিন বিচার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন আসিফ। এর আগে তিনি ইরানে ছিলেন।
সরাসরি হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত একজনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরপরই যোগাযোগ করেছিলেন আসিফ। পরে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির সঙ্গে আসিফের যোগাযোগের বিষয়টি পুলিশ জেনে যায়। গত জুলাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বর্তমানে নিউ ইয়র্কে হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গরাল্যান্ড দাবি করেছেন, আমেরিকার বেশ কয়েকজন নেতাকে হত্যার ছক কষেছিল আসিফ।
মনে করা হচ্ছে, বড় রাজনীতিকদের তালিকার মধ্যে ট্রাম্পও থাকতে পারেন। এফবিআইয়ের পরিচালক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী নাগরিকদের হত্যায় বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসিফ ভাড়া করা এজেন্টদের বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করতে চান তিনি এবং রাজনৈতিক সমাবেশে বিক্ষোভ করার মাধ্যমে একজন রাজনীতিবিদকে হত্যা করতে চান। আগস্টের শেষ সপ্তাহ বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই অজ্ঞাত রাজনীতিবিদের নাম প্রকাশের কথা ছিল। এই হত্যাকাণ্ড আসিফ দেশ ছাড়ার পর হওয়ার কথা ছিল।
এই কাজের জন্য ২১ জুন আসিফ অগ্রিম পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করেন হিটম্যানদের। টাকা দেওয়ার পরপরই তিনি দেশ ছাড়ার প্লান করেন এবং ২২ জুলাই দেশ ছাড়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।