গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে খালেদা জিয়ার বরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এতদিন সরকার পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলা করছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। তবে দেশের যে চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন, তারা এখনো ফ্লাই করার অনুমতি দেননি। তারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। চিকিৎসকরা যখনই অনুমতি দেবেন, তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
‘কোথায় নেওয়া হবে সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, সেই কারণে বলা যাচ্ছে না,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বহুদিন পর মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দেখলাম। তিনি মানসিকভাবে ভালো আছেন, শারীরিকভাবে তাকে কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’
এই পরিবর্তিত সময় ও সরকার পরিবর্তনের ঘটনাপ্রবাহ বিএনপি চেয়ারপারসন পর্যবেক্ষণ করেছেন কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘তিনি পুরো বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি পুরো বিষয় জানেন।’
ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে, এ জন্য বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন, শান্ত থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার এত দিন ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন করলেও প্রতিশোধের মানসিকতা রাখা যাবে না। সবাই মিলে এই দেশ গড়ে তুলতে হবে।
‘দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চেয়ারপারসন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা নির্যাতনের কোনো ঘটনায় বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হবে না। বিশেষত যুবদল-ছাত্রদলকে দেশের প্রতিটি এলাকায় মন্দির-উপাসনালয় দেখে রাখার দায়িত্ব পালন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে—এটাই দলের সিদ্ধান্ত,’ জানান ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন আশা করেন, শিগগির দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় ফিরবেন। জনগণের প্রত্যাশার সরকার আসবে এবং সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা ফিরে আসবে।’