ধানমন্ডির-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ছাড়া, ধানমন্ডি ৩/এ-তে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়েও আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একদল মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এর আগে, শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সময় গণভবনে ঢুকেও লুটপাট করা হয়।
এদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসঙ্গে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়ব।
কোন কোন রাজনৈতিক দল সঙ্গে বৈঠক করেছেন- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আফিস নজরুল ও জোনায়েদ সাকিও বৈঠকে ছিলেন।