ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান Logo ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৭৭ Logo দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকার বৃত্তি পরিক্ষা’২৪ অনুষ্ঠিত Logo  নোয়াখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ অনুষ্ঠিত Logo প্রশিক্ষণরত ৫৯ এসআইকে একাডেমিতে শোকজ Logo সিরাজগঞ্জে ২৮ অক্টোবর শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo টঙ্গীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বেসরকারি খাতের উন্নয়ন সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক : গভর্নর Logo গণতন্ত্রের জন্য অনৈক্যই মূল চ্যালেঞ্জ : আইন উপদেষ্টা

চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন পাবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক

চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন পাবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিপীড়ন, হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষকেরা। এতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৩ জন শিক্ষক অংশ নেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন তারা। এ সময় তাঁরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফ ওবায়দুল্লাহ বলেন, দেশে বর্তমানে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে আমরা শিক্ষক হিসেবে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানাই।

ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাবো সারাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের পথে-ঘাটে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং গনগ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা দ্রুত বন্ধ করুন। অতিদ্রুত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো অনুধাবন করে এবং গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন। এছাড়াও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলুন।

স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অদিতি বিশ্বাস অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন, এতো ছাত্র কেন মারা যাবে? একজন মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্র কেন থামলোনা? বর্তমানে শিক্ষকতা করলেও একসময় আমি ছাত্র ছিলাম। এজন্য ছাত্রদের দুঃসময়ে আমি আর না এসে থাকতে পারলাম না।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাব্বা রুহী, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তানভীর হায়দার, গণিত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. উদয় সংকর বসাক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতিন ইশরাক, স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অদিতি বিশ্বাস, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের প্রভাষক ইমরান হোসেন, গণিত বিভাগের প্রভাষক আসলাম হোসেন, নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের প্রভাষক সায়মন নাহার রিতু এবং লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক তাসনিম তাবাসুম।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান

চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন পাবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক

আপডেট সময় ০৩:২৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিপীড়ন, হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষকেরা। এতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৩ জন শিক্ষক অংশ নেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন তারা। এ সময় তাঁরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফ ওবায়দুল্লাহ বলেন, দেশে বর্তমানে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে আমরা শিক্ষক হিসেবে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানাই।

ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাবো সারাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের পথে-ঘাটে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং গনগ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা দ্রুত বন্ধ করুন। অতিদ্রুত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো অনুধাবন করে এবং গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন। এছাড়াও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলুন।

স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অদিতি বিশ্বাস অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন, এতো ছাত্র কেন মারা যাবে? একজন মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্র কেন থামলোনা? বর্তমানে শিক্ষকতা করলেও একসময় আমি ছাত্র ছিলাম। এজন্য ছাত্রদের দুঃসময়ে আমি আর না এসে থাকতে পারলাম না।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাব্বা রুহী, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তানভীর হায়দার, গণিত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. উদয় সংকর বসাক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতিন ইশরাক, স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অদিতি বিশ্বাস, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের প্রভাষক ইমরান হোসেন, গণিত বিভাগের প্রভাষক আসলাম হোসেন, নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের প্রভাষক সায়মন নাহার রিতু এবং লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক তাসনিম তাবাসুম।