ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যোগ দিলেন শিক্ষক-অভিভাবকরা

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যোগ দিলেন শিক্ষক -অভিভাবকরা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া সকল শিক্ষার্থীর মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রংপুর মহানগরীর পার্ক মোড়ে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রার ব্যানার নিয়ে একত্রিত হন। এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কিভাবে সহিংস হলো? আমরা তো শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরেছিলাম। সরকারে থাকা দায়িত্বশীলদের মদদে আমাদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ-পুলিশ সদস্যরা হামলা করে, মারধর করে, ভয়ভীতি সৃষ্টি করে। তারাই আমাদের ওপর গুলি চালায়। আমাদের ভাইকে কেন হত্যা করা হয়েছে, কী কারণে ছাত্রদের হত্যা করা হলো? এখন আমাদের কেন নিরাপত্তা নেই? আমরা সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা চাই। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।”
এ সময় আবু সাঈদসহ সারা দেশে চলমান এই ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে সংহতি প্রকাশ করে  শিক্ষকরা বলেন, “আমাদের ছাত্র আবু সাঈদসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিরে আনার জন্য সরকারকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে। আমরা শিক্ষকরা সব সময় ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত ছিলাম, তাদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি।”
অভিভাবকরা বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। অনেকে হত্যার শিকার হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে-বাড়িতে কাতরাচ্ছে। অনেকে আতঙ্কে দিনানিপাত করছে। আমরা অভিভাবক হয়ে বাড়িতে বসে থাকতে পারি না। তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমরাও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।”
সমাবেশ শেষে পার্ক মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হইয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা বৃষ্টিতে ভিজে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যোগ দিলেন শিক্ষক-অভিভাবকরা

আপডেট সময় ০৮:১০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া সকল শিক্ষার্থীর মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রংপুর মহানগরীর পার্ক মোড়ে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও পদযাত্রার ব্যানার নিয়ে একত্রিত হন। এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কিভাবে সহিংস হলো? আমরা তো শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরেছিলাম। সরকারে থাকা দায়িত্বশীলদের মদদে আমাদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ-পুলিশ সদস্যরা হামলা করে, মারধর করে, ভয়ভীতি সৃষ্টি করে। তারাই আমাদের ওপর গুলি চালায়। আমাদের ভাইকে কেন হত্যা করা হয়েছে, কী কারণে ছাত্রদের হত্যা করা হলো? এখন আমাদের কেন নিরাপত্তা নেই? আমরা সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা চাই। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।”
এ সময় আবু সাঈদসহ সারা দেশে চলমান এই ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে সংহতি প্রকাশ করে  শিক্ষকরা বলেন, “আমাদের ছাত্র আবু সাঈদসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিরে আনার জন্য সরকারকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে। আমরা শিক্ষকরা সব সময় ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত ছিলাম, তাদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি।”
অভিভাবকরা বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। অনেকে হত্যার শিকার হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে-বাড়িতে কাতরাচ্ছে। অনেকে আতঙ্কে দিনানিপাত করছে। আমরা অভিভাবক হয়ে বাড়িতে বসে থাকতে পারি না। তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমরাও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।”
সমাবেশ শেষে পার্ক মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হইয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা বৃষ্টিতে ভিজে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।