ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯ ঘণ্টা থানায় থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করলেন রাবি শিক্ষকরা

থানায় নয় ঘণ্টা অবস্থান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলার সময় আটক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করেছেন শিক্ষকরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ১টার দিকে নগরীর মতিহার থানা থেকে আটক তিন শিক্ষার্থীকে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ছাড়াতে সক্ষম হন শিক্ষকরা।

জানা গেছে, আন্দোলনের সময় ওই ছাত্রদের আটক করে নগরীর দুই থানার পুলিশ। শিক্ষার্থী আটকের খবর জানাজানি হলে বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা থানায় যান। থানায় আটকদের না ছাড়া পর্যন্ত ফিরে যাবেন না বলে ঘোষণা দেন তারা। শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর রাত ১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ সময় বাকিদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে রাজশাহীর সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কোর্টের মেইন গেইটের সামনে থেকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির ডাক দেয়। তবে, পথে পুলিশের বাধার কথা চিন্তা করে তারা কর্মসূচি পরিবর্তন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দেয়। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে থেকে ও একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ।

এ দিকে, শিক্ষার্থীদের রাজশাহী কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে ডাকা কর্মসূচির কারণে ওই এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়। ফলে, আন্দোলনকারীরা নির্ধারিত স্থানে ভিড়তে পারেননি। দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহী কোর্ট এলাকার রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার গলিতে ১২ থেকে ১৫ জন যুবক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে, পুলিশ একটি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এলোমেলোভাবে কয়েকজন কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের আটক করে পুলিশ।

নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ ওই এলাকা থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করেন। এদের মধ্যে দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকা থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান এবং আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যয়কে আটক করা হয়। এদের মধ্যে, প্রত্যয়কে রাজপাড়া থানা পুলিশ রিফাত হাসানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। এদের ছাড়াতেও শিক্ষকরা বিকেলে থানায় উপস্থিত হন। তবে, আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাদের ছাড়া হয়নি।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজন ছাত্রকে থানায় আনা হয়। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর রাত ১টার দিকে তিন শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

৯ ঘণ্টা থানায় থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করলেন রাবি শিক্ষকরা

আপডেট সময় ১২:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

থানায় নয় ঘণ্টা অবস্থান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলার সময় আটক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করেছেন শিক্ষকরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ১টার দিকে নগরীর মতিহার থানা থেকে আটক তিন শিক্ষার্থীকে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ছাড়াতে সক্ষম হন শিক্ষকরা।

জানা গেছে, আন্দোলনের সময় ওই ছাত্রদের আটক করে নগরীর দুই থানার পুলিশ। শিক্ষার্থী আটকের খবর জানাজানি হলে বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা থানায় যান। থানায় আটকদের না ছাড়া পর্যন্ত ফিরে যাবেন না বলে ঘোষণা দেন তারা। শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর রাত ১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ সময় বাকিদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে রাজশাহীর সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কোর্টের মেইন গেইটের সামনে থেকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির ডাক দেয়। তবে, পথে পুলিশের বাধার কথা চিন্তা করে তারা কর্মসূচি পরিবর্তন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দেয়। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে থেকে ও একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ।

এ দিকে, শিক্ষার্থীদের রাজশাহী কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে ডাকা কর্মসূচির কারণে ওই এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়। ফলে, আন্দোলনকারীরা নির্ধারিত স্থানে ভিড়তে পারেননি। দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহী কোর্ট এলাকার রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার গলিতে ১২ থেকে ১৫ জন যুবক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে, পুলিশ একটি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এলোমেলোভাবে কয়েকজন কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের আটক করে পুলিশ।

নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ ওই এলাকা থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করেন। এদের মধ্যে দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকা থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান এবং আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যয়কে আটক করা হয়। এদের মধ্যে, প্রত্যয়কে রাজপাড়া থানা পুলিশ রিফাত হাসানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। এদের ছাড়াতেও শিক্ষকরা বিকেলে থানায় উপস্থিত হন। তবে, আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাদের ছাড়া হয়নি।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজন ছাত্রকে থানায় আনা হয়। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর রাত ১টার দিকে তিন শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।