২৯ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি অফিস থেকে মুক্তির দাবিতে একটি রিট করা হয়।
বুধবার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টে এসে গণমাধ্যমে কথা বলেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী মানজুর আল মতিন।
এই সময় জানান, আমরা আইনজীবীরা যখন এজলাসে উপস্থিত হই তখন একজন এজলাসের কর্মকর্তা আমাদের বলেন আজকে শুনানি হবে না একজন বিচারপতি অসুস্থ রয়েছেন।
এর আগে ৩০ জুলাই আদালত আজ (৩১ জুলাই) এই রিটের শুনানির দিন ধার্য করে।
পরবতীতে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাল শুনানি হবে বলে আমরা আশাকরি। যদি শুনানির আগে বেঞ্চ ভেঙ্গে যায় তাহলে আমরা পরবর্তী প্রদক্ষেপ নিবো। এখনো পর্যন্ত বেঞ্চ ভেঙ্গে যায়নি।
এইসময় তিনি আরো বলেন, ‘এটি অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে, যাদের কাজ তদন্ত করা, তাদের কাছে কেন নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয় চাইবে। কেন নিকস্থ থানায় নয়? আর আমাদের দেশের নাগরিক যদি সেখানে নিরাপদ থাকতে সেচ্ছায় যান তাহলে কেন তাদেরকে পরিবার এবং শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরকে গণমাধ্যমে কথা বলতে না দিয়ে ভিডিও করে গণমাধ্যমে প্রেরণ করা হচ্ছে।
যদি তারা সেখানে সেচ্ছায় থাকতেন তাহলে তো তাদেরকে দেখা করতে দিতেন, গণমাধ্যমে কথা বলতে দিতেন, আলাদা করে ভিডিও ছাড়া হতো না। কিন্তু তারা তা করছেন না। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, তারা ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।
আমি জানিনা আমরা আরো অনেকে যারা নিরাপত্তায় সমস্যা বোধ করি তারাও কি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারবে।’
অন্য দিকে সরকার পক্ষের তিনজন এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তারা নিরাপাত্তাহীনতা ভোগ করায় তারা ডিবি কার্যলয়ে আশ্রয়ে রয়েছেন।’ গুলি চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ আন্দোলনকারীদের মধ্য হতে বাসার জানালা লক্ষ্য করে গুলি করে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে।’ কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কোন তথ্য-প্রমান উপস্থাপন করতে পারেননি।