ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক

যুক্তরাষ্ট্রে শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

দেশের অন্যতম পপসংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ শনিবার (২৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা। ভার্জিনিয়ার একটি মসজিদে স্থানীয় সময় বাদ জুমা এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ। জানাজার পর শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সেখানকার স্থানীয় বাঙালিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাফিন আহমেদের স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শাফিন আহমেদের পরিবার।

শাফিন আহমেদের ছেলে আজরাফ আহমেদ বলেন, ‘বাবার প্রথম জানাজা যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাকে আনতে মা সেখানে গেছেন। অনেক ধরনের প্রসেস আছে, সে প্রসেসগুলো সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিল্পীর মরদেহ দেশে আনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পরিবার।

দাফনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বনানীতে দ্বিতীয় জানাজার পর বনানী কবরস্থানে বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে শাফিনকে দাফন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। শাফিন আহমেদকে আনতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল বড় ভাই হামিনের। কিন্তু শাফিনের দাফন, কবরস্থানের জায়গা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে দেশে থাকতে হয়েছে তাকে। গত (২৫ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ।

গত ২০ জুলাই তার ভার্জিনিয়ায় একটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শো বাতিল করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। পরে আবারও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শাফিন আহমেদ বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী এবং সুরকার। তিনি মাইলস ব্যান্ডের সদস্য। বর্তমানে তিনি মাইলসের বেজ গিটারিস্ট এবং প্রধান গায়ক। ব্যান্ডের বাইরে তিনি সলো ক্যারিয়ারে সুনাম অর্জন করেছেন। এ ছাড়া বেশ কিছু সলো কিংবা মিক্সড অ্যালবামে তার গান রয়েছে।

১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন শাফিন আহমেদ। তার মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন। বাবার কাছে মাঝে মাঝে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলগীতি। এরপর বড়ভাই হামিন আহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ড সংগীত শুরু করেন এবং মাইলস ব্যান্ড গড়ে তোলেন, যা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অগ্রগামী ব্যান্ডদলগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি সেই সময় প্রচারিত বিটিভির নিয়মিত মাইলসকে নিয়ে করা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। শাফিন আহমেদের জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

যুক্তরাষ্ট্রে শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৯:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দেশের অন্যতম পপসংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ মারা গেছেন বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ শনিবার (২৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা। ভার্জিনিয়ার একটি মসজিদে স্থানীয় সময় বাদ জুমা এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ। জানাজার পর শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সেখানকার স্থানীয় বাঙালিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাফিন আহমেদের স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শাফিন আহমেদের পরিবার।

শাফিন আহমেদের ছেলে আজরাফ আহমেদ বলেন, ‘বাবার প্রথম জানাজা যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাকে আনতে মা সেখানে গেছেন। অনেক ধরনের প্রসেস আছে, সে প্রসেসগুলো সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিল্পীর মরদেহ দেশে আনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পরিবার।

দাফনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বনানীতে দ্বিতীয় জানাজার পর বনানী কবরস্থানে বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে শাফিনকে দাফন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। শাফিন আহমেদকে আনতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল বড় ভাই হামিনের। কিন্তু শাফিনের দাফন, কবরস্থানের জায়গা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে দেশে থাকতে হয়েছে তাকে। গত (২৫ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ।

গত ২০ জুলাই তার ভার্জিনিয়ায় একটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শো বাতিল করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। পরে আবারও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শাফিন আহমেদ বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী এবং সুরকার। তিনি মাইলস ব্যান্ডের সদস্য। বর্তমানে তিনি মাইলসের বেজ গিটারিস্ট এবং প্রধান গায়ক। ব্যান্ডের বাইরে তিনি সলো ক্যারিয়ারে সুনাম অর্জন করেছেন। এ ছাড়া বেশ কিছু সলো কিংবা মিক্সড অ্যালবামে তার গান রয়েছে।

১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন শাফিন আহমেদ। তার মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন। বাবার কাছে মাঝে মাঝে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলগীতি। এরপর বড়ভাই হামিন আহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ড সংগীত শুরু করেন এবং মাইলস ব্যান্ড গড়ে তোলেন, যা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অগ্রগামী ব্যান্ডদলগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি সেই সময় প্রচারিত বিটিভির নিয়মিত মাইলসকে নিয়ে করা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। শাফিন আহমেদের জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’।