ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ হাসিনার বিজয় মিছিলে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মায়েদের ছবি ভাইরাল Logo মুন্সিগঞ্জে কার্টুন খুলে মিললো নবজাতকের মরদেহ Logo গাজীপুরে ব্যবসায়ীকে আটকের পর র‌্যাবের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ Logo ক‍্যান্টিন বয় দিয়ে হলে হলে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ বাকেরের বিরুদ্ধে Logo সংসদ ভবন এলাকায় আ.লীগের মিছিল, আটক ১ Logo ডাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo নির্বাচন নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল Logo অবশেষে ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন Logo তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে Logo রাকসু নির্বাচন: সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • 249

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একজনের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন (২৯), জামান মিয়া (১৭) ও সোহেল রানা (২০)। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে এ নিয়ে ২০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪১ জন, ১৯ জুলাই ৮৪ জন, ২০ জুলাই ৩৮ জন, ২১ জুলাই ২১ জন, ২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন এবং গতকাল ২৫ জুলাই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সব মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া জাকির হোসেনকে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকা থেকে আনা হয়। তাঁর ভাই মনির হোসেন ঢাকা মেডিকেলে লাশ নিতে এসে বলেন, জাকির পেশায় দরজি ছিলেন। তাঁর পেটে গুলি লেগেছিল।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া কিশোর জামান মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। সে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিল। ২১ জুলাই ময়মনসিংহে গুলিবিদ্ধ হয় জামান। সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল।

বিএসএমএমইউতে মারা যাওয়া সোহেল রানার লাশ গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। তিনি ১৯ জুলাই ঢাকার রামপুরা এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক সাহা।

সংঘর্ষে হতাহত নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সরকারের কাছ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সরকার হিসাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশের এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার বিজয় মিছিলে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মায়েদের ছবি ভাইরাল

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

আপডেট সময় ০৯:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একজনের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন (২৯), জামান মিয়া (১৭) ও সোহেল রানা (২০)। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে এ নিয়ে ২০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪১ জন, ১৯ জুলাই ৮৪ জন, ২০ জুলাই ৩৮ জন, ২১ জুলাই ২১ জন, ২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন এবং গতকাল ২৫ জুলাই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সব মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া জাকির হোসেনকে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকা থেকে আনা হয়। তাঁর ভাই মনির হোসেন ঢাকা মেডিকেলে লাশ নিতে এসে বলেন, জাকির পেশায় দরজি ছিলেন। তাঁর পেটে গুলি লেগেছিল।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া কিশোর জামান মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। সে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিল। ২১ জুলাই ময়মনসিংহে গুলিবিদ্ধ হয় জামান। সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল।

বিএসএমএমইউতে মারা যাওয়া সোহেল রানার লাশ গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। তিনি ১৯ জুলাই ঢাকার রামপুরা এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক সাহা।

সংঘর্ষে হতাহত নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সরকারের কাছ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সরকার হিসাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশের এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে।