ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা Logo এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর ছাত্র অধিকার পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান Logo বাগেরহাটে চারটি বিদেশী পিস্তলসহ ১১জন আটক Logo ২৮ জুন থেকে কমপ্লিট শাটডাউন: এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ Logo সংস্কার আলাপের চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে: সালাহউদ্দিন Logo আত্মসমর্পণ শব্দটি আমাদের শব্দভাণ্ডারে নেই: আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি Logo শেখ হাসিনার পরিবারের নামে ৯৭৭ স্থাপনা, অধিকাংশের নাম পরিবর্তন Logo এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ‘হেল্প ডেস্ক’ Logo রাবি সংস্কার ও রাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রশিবিরের ‘স্টুডেন্ট সলিডারিটি’ Logo ছাত্রলীগ পুনর্বাসনে কাজ করছে শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ: ছাত্রদল সভাপতি

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • 183

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একজনের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন (২৯), জামান মিয়া (১৭) ও সোহেল রানা (২০)। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে এ নিয়ে ২০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪১ জন, ১৯ জুলাই ৮৪ জন, ২০ জুলাই ৩৮ জন, ২১ জুলাই ২১ জন, ২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন এবং গতকাল ২৫ জুলাই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সব মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া জাকির হোসেনকে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকা থেকে আনা হয়। তাঁর ভাই মনির হোসেন ঢাকা মেডিকেলে লাশ নিতে এসে বলেন, জাকির পেশায় দরজি ছিলেন। তাঁর পেটে গুলি লেগেছিল।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া কিশোর জামান মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। সে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিল। ২১ জুলাই ময়মনসিংহে গুলিবিদ্ধ হয় জামান। সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল।

বিএসএমএমইউতে মারা যাওয়া সোহেল রানার লাশ গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। তিনি ১৯ জুলাই ঢাকার রামপুরা এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক সাহা।

সংঘর্ষে হতাহত নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সরকারের কাছ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সরকার হিসাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশের এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

নাটোরে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

আপডেট সময় ০৯:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একজনের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন (২৯), জামান মিয়া (১৭) ও সোহেল রানা (২০)। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে এ নিয়ে ২০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪১ জন, ১৯ জুলাই ৮৪ জন, ২০ জুলাই ৩৮ জন, ২১ জুলাই ২১ জন, ২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন এবং গতকাল ২৫ জুলাই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সব মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া জাকির হোসেনকে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকা থেকে আনা হয়। তাঁর ভাই মনির হোসেন ঢাকা মেডিকেলে লাশ নিতে এসে বলেন, জাকির পেশায় দরজি ছিলেন। তাঁর পেটে গুলি লেগেছিল।

ঢাকা মেডিকেলে গতকাল মারা যাওয়া কিশোর জামান মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। সে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিল। ২১ জুলাই ময়মনসিংহে গুলিবিদ্ধ হয় জামান। সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল।

বিএসএমএমইউতে মারা যাওয়া সোহেল রানার লাশ গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। তিনি ১৯ জুলাই ঢাকার রামপুরা এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক সাহা।

সংঘর্ষে হতাহত নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সরকারের কাছ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সরকার হিসাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশের এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে।