ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০১:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • 190

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা এদিক-ওদিক ছুটটে থাকেন। পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে নিক্ষেপ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের মোটোরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মেরুল-বাড্ডা এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ কেন্দ্র করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয় জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

আপডেট সময় ০১:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা এদিক-ওদিক ছুটটে থাকেন। পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে নিক্ষেপ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের মোটোরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মেরুল-বাড্ডা এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ কেন্দ্র করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয় জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।