ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo টঙ্গীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বেসরকারি খাতের উন্নয়ন সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক : গভর্নর Logo গণতন্ত্রের জন্য অনৈক্যই মূল চ্যালেঞ্জ : আইন উপদেষ্টা Logo বাংলাদেশের জার্সি গায়ে কি আর খেলতে পারবেন সাকিব Logo গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত ৫৫, প্রাণহানি ছাড়িয়ে গেল ৪২ হাজার ৮০০ Logo ভারতের উপকূলে আঘাত হানল করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ Logo শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই অস্ত্রসহ ১১ মামলার আসামি গ্রেফতার Logo সমাবেশ সফল করার লক্ষে শাজাহানপুরে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ Logo পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০১:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • 52

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা এদিক-ওদিক ছুটটে থাকেন। পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে নিক্ষেপ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের মোটোরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মেরুল-বাড্ডা এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ কেন্দ্র করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয় জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

আপডেট সময় ০১:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা এদিক-ওদিক ছুটটে থাকেন। পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে নিক্ষেপ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের মোটোরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মেরুল-বাড্ডা এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ কেন্দ্র করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয় জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।