ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দেশে ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশে ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশে ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

১৭ কোটির বাংলাদেশে ৪ কোটি রয়েছে, যাদের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের মানুষের সমান উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন, তা এর আগেই অর্জিত হবে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত ‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা-২০২৩’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর নিকট উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে গেলেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনা যায়, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। তিনি বলেন, ফার্নিচার শিল্পসহ যে কোনো টেকসই শিল্পের উন্নয়নের জন্য দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনবলের তৈরি দেশীয় ফার্নিচার বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক অর্জন করা সম্ভব।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি শক্তিশালী খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন, আধুনিকতা; তা বিশ্বের যে কোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং নিতে আগ্রহী হবে।

টিপু মুনশি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাত আজকে যে অবস্থানে এসেছে, এটি একদিনে হয়নি। বর্তমানে ফার্নিচার থেকে ১১০-১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে বলে যে তথ্য দিচ্ছেন, তা এই অবস্থায় থাকবে না। এই খাতে বিগত ১০-১২ বছরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, তাতে খুব শিগগিরই রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।

মন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, টেকসই ফার্নিচার শিল্প গড়ে তুলতে পারলে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। যে পরিমাণ শ্রমিক এই শিল্পের সাথে জড়িত, তা দ্বিগুণ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয়, সেগুলো দেশেই উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ফার্নিচার শিল্পের সাথে জড়িত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শতভাগ রপ্তানিমুখী করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই খাত অনেক বেশি সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান, মাহবুবুল আলম, সভাপতি, এফবিসিসিআই এবং কে এম আকতারুজ্জামান, সভাপতি, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পরিচালক এফবিসিসিআই। উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই মেলা চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশে ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:৩৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

১৭ কোটির বাংলাদেশে ৪ কোটি রয়েছে, যাদের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের মানুষের সমান উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন, তা এর আগেই অর্জিত হবে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত ‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা-২০২৩’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর নিকট উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে গেলেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনা যায়, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। তিনি বলেন, ফার্নিচার শিল্পসহ যে কোনো টেকসই শিল্পের উন্নয়নের জন্য দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনবলের তৈরি দেশীয় ফার্নিচার বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক অর্জন করা সম্ভব।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি শক্তিশালী খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন, আধুনিকতা; তা বিশ্বের যে কোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং নিতে আগ্রহী হবে।

টিপু মুনশি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাত আজকে যে অবস্থানে এসেছে, এটি একদিনে হয়নি। বর্তমানে ফার্নিচার থেকে ১১০-১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে বলে যে তথ্য দিচ্ছেন, তা এই অবস্থায় থাকবে না। এই খাতে বিগত ১০-১২ বছরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, তাতে খুব শিগগিরই রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।

মন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, টেকসই ফার্নিচার শিল্প গড়ে তুলতে পারলে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। যে পরিমাণ শ্রমিক এই শিল্পের সাথে জড়িত, তা দ্বিগুণ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয়, সেগুলো দেশেই উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ফার্নিচার শিল্পের সাথে জড়িত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শতভাগ রপ্তানিমুখী করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই খাত অনেক বেশি সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান, মাহবুবুল আলম, সভাপতি, এফবিসিসিআই এবং কে এম আকতারুজ্জামান, সভাপতি, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পরিচালক এফবিসিসিআই। উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই মেলা চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল রয়েছে।