প্রাক বাছাইপর্বের ম্যাচের ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপের মাঠে প্রথম লেগের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে (দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে রাকিব-ফয়সালরা। যেখানে ‘আই’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিনের মতো বড় দলের বিপক্ষে।
এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচের ১১ মিনিটেই লিড নেয় বাংলাদেশ। এ সময় সাদ উদ্দিনের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে যান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তিনি সেখান থেকে রাকিব হোসেনকে বাড়িয়ে দেন কাটব্যাক করে। রাকিব দুর্দান্ত প্লেসিং শটে গোল করে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। এটা ছিল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে রাকিবের চতুর্থ গোল। এরপর ২৯ মিনিটে আরও একটি গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রাকিব। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু মালদ্বীপের গোলরক্ষক হোসাইন শারীফ তার ডান পা বাড়িয়ে দিয়ে রুখে দেন বল। রাকিব হন গোল বঞ্চিত।
অবশ্য ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরায় মালদ্বীপ। এ সময় কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড নিয়ে জালে জড়ান ইব্রাহিম হাইসাম।এরপর উভয় দল আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু গোল আদায় করে নিতে পারেনি। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটের সময় মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল ডি বক্সের সামনে পান ফাহিম। তিনি সেটা সাদকে বাড়িয়ে দেন। বল নিয়ে সাদ বামদিক দিয়ে আক্রমণে উঠেন। এরপর লম্বা শট নেন গোলপোস্ট বরাবর। মালদ্বীপের গোলরক্ষক শারীফ সেটা ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন। সামনে সেই বল পেয়ে যান রাকিব। তিনি শট নিতে গিয়েও নেন না। বাড়িয়ে দেন একটু সামনে থাকা ফাহিমকে। তিনি বাম পায়ের জোরালো শটে জালে পাঠান। ফাহিমের গোলের পর ৫৮ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এ সময় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মো. সোহেল রানা। দশজন হলেও বাংলাদেশের আক্রমণের ধার কমেনি। তবে দশজনের সুযোগ নিয়ে পিছিয়ে পড়া মালদ্বীপ মুহূর্মুহ আক্রমণ চালাতে থাকে। মিস করতে থাকে গোলের সুযোগও।
শেষ মুহূর্তে গিয়ে মালদ্বীপও দশজনের দলে পরিণত হয়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই রেফারি বাঁশি বাজান। দুই লেগ মিলিয়ে মালদ্বীপকে ৩-২ গোলে হারিয়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা পৌঁছে যায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে। যেখানে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে ছয়-ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।