জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন সিন্ডিকেট সভা করে শিক্ষা কার্যক্রম ও একমাত্র ছাত্রী হল বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে হল খোলাসহ তিন দফা দাবিতে প্রাধ্যক্ষসহ আবাসিক শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা। পরে বাধ্য হয়ে হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তালা খুলে দেন ছাত্রী।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একমাত্র ছাত্রী হল খোলা রাখার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে ছাত্রীদের বিকেল ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে দুপুর ১২টা থেকে হল প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা প্রত্যাহার এবং বাস, বিদ্যুৎ ও ওয়াইফাই সেবা আগের মতো রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আবাসিক ছাত্রীরা। এছাড়া তারা হল খোলা রাখা এবং যাবতীয় সুবিধাসহ নিরাপত্তার দাবিও জানান। পরে বেলা সোয়া ২টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে প্রাধ্যক্ষসহ আবাসিক শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করেন ছাত্রীরা।
এদিকে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দীপিকা রানী সরকার আবাসিক ছাত্রীদের দাবি মেনে নিয়ে তার স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরপরই ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, তাদের সকল দাবি (গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, লিফট, ইন্টারনেট, ক্যানটিনসহ পূর্বের ন্যায় নিরাপত্তা) মেনে নেওয়া হলো এবং তাদের হলে অবস্থান করার পূর্ণ অনুমতি দেওয়া হলো।’
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে হল প্রভোস্ট দীপিকা রানি সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আমি বলেছি, যারা হলে থাকার তাঁরা থাকবে, যারা চলে যাওয়ার, যাবে।’