ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষ: ২০০ তালেবান সদস্য নিহতের দাবি পাকিস্তানের Logo শহীদ মিনারেই রাত কাটাবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা Logo রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo চবি শিবিরের এজিএস প্রার্থীকে নিয়ে সহপাঠীর স্ট্যাটাস ‘মুন্নার মতো ছেলে শিবিরের তৈরি?’ Logo কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না: দুলু Logo ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ Logo নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জামায়াতে ইসলামী Logo চবি ছাত্রদলের ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ শিবিরের Logo সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে Logo চবির আবাসিক হলে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষে দুই বহিরাগত সনাক্ত

দাাবি মানেনি রাবি প্রশাসন, সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

দাাবি মানেনি রাবি প্রশাসন, সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে লিখিতভাবে দুটি দাবি বাড়িয়ে পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। তবে সেই দাবিগুলো মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তাই আবারও বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এসময় উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাসের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দুপুর ১টার দিকে লিখিতভাবে ৫ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টার মধ্যে এসব দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে সময় বেধে দেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের ৫ দফা দাবির একটিও মেনে নেয়নি প্রশাসন। এজন্য প্রশাসনকে নতুন করে আরও এক ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো-
১. ক্যাম্পাসে আজীবন সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। লিখিতভাবে আজ ২টার মধ্যে প্রভোস্ট স্যারদের সই করা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে কোনো সন্ত্রাসী যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. হল ভ্যাকান্সি এবং ক্যাম্পাস ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মেস মালিকদের চিঠি দিয়ে মেসগুলো খোলা রাখতে হবে। হলের সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষ প্রভোস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিট বরাদ্দ দেবেন।

৩. চলমান আন্দোলন নিয়ে যাতে কোনো মামলা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. দুপুর ১টার মধ্যে প্রশাসনিকভাবে মিডিয়ার উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পাসকে নিরস্ত্রমুক্ত করতে হবে।

৫. ছাত্রলীগের দখলকৃত রুমগুলোকে গণরুমে পরিণত করতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষ: ২০০ তালেবান সদস্য নিহতের দাবি পাকিস্তানের

দাাবি মানেনি রাবি প্রশাসন, সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারীরা

আপডেট সময় ০৫:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে লিখিতভাবে দুটি দাবি বাড়িয়ে পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। তবে সেই দাবিগুলো মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তাই আবারও বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এসময় উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাসের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দুপুর ১টার দিকে লিখিতভাবে ৫ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টার মধ্যে এসব দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে সময় বেধে দেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দীর্ঘ আলোচনা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের ৫ দফা দাবির একটিও মেনে নেয়নি প্রশাসন। এজন্য প্রশাসনকে নতুন করে আরও এক ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো-
১. ক্যাম্পাসে আজীবন সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। লিখিতভাবে আজ ২টার মধ্যে প্রভোস্ট স্যারদের সই করা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে কোনো সন্ত্রাসী যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. হল ভ্যাকান্সি এবং ক্যাম্পাস ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মেস মালিকদের চিঠি দিয়ে মেসগুলো খোলা রাখতে হবে। হলের সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষ প্রভোস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিট বরাদ্দ দেবেন।

৩. চলমান আন্দোলন নিয়ে যাতে কোনো মামলা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. দুপুর ১টার মধ্যে প্রশাসনিকভাবে মিডিয়ার উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পাসকে নিরস্ত্রমুক্ত করতে হবে।

৫. ছাত্রলীগের দখলকৃত রুমগুলোকে গণরুমে পরিণত করতে হবে।