দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। আসন্ন দুর্গা পূজার পর ঢাকায় বড় ধরনের একটি মহাসমাবেশ ডেকে সেখান থেকে ঘোষণা করবে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মধ্যে থাকছে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জড়ো করে রাজধানী ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ভেতরে ভেতরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। কর্মসূচি সফল করতে রাজধানীতে ১০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র পৌনে ৩ মাস বাকি। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুসারে জানুয়ারির প্রথম ভাগেই অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। তার আগে নভেম্বরের প্রথম ভাগে ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল। তাই সরকারকে আর সময় না দিয়ে আগেই রাজপথ দখলের চিন্তা করছে বিএনপি। নভেম্বরের শুরু থেকেই সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করে রাজপথ দখলের চেষ্টা করছে বিএনপি। এদিকে পূর্বঘোষিত বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচি শেষ হচ্ছে ১৮ অক্টোবর। তারপর দুর্গাপূজার জন্য কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এই কর্মসূচি পালনের পর চলতি মাসের একেবারে শেষদিকে অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে ঢাকায় একটি বড় মহাসমাবেশ করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ওই মহাসমাবেশে সারাদেশের সকল জেলা-উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি ঘটিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করবে। বিএনপির সমমনা দলগুলোও যুগপৎ আন্দোলনের এ কর্মসূচি পালন করবে। এ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকতে পারে।
সূত্র মতে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যেভাবে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি ঘোষণা করে সারাদেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ‘চলো চলো ঢাকা ঢাকা চলো, স্লোগান দিয়ে রাজধানীতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবারও ঢাকা অবরোধের ডাক দিয়ে সেভাবে সবাইকে আসতে বলা হবে। এভাবে দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু রাজধানী ঢাকায় একটি বড় ধরনের গেদারিং করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দাবি আদায়ের শেষ চেষ্টা করা হবে। তারপর পরিবেশ অনুকূল মনে করলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তা না হলে নির্বাচন বর্জনও করতে পারে। তবে নির্বাচনে অংশ নেবে এমনটি ধরে নিয়েই ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলের নেতারা। দলীয় হাইকমান্ড থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও রাখতে বলা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে হাইকমান্ডের নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে।