ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করছেন: রিজভী

প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করছেন: রিজভী

কোটা প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-২০১৮ সালে রাগ করে কোটা সিস্টেম বাতিল করেছি’ আপনি তো ডামি প্রধানমন্ত্রী। রাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না, আপনি শপথ নেওয়ার সময় এটা বলেছিলেন? আপনি তো শপথ ভঙ্গ করছেন। সংবিধান ভঙ্গ করছেন প্রতিনিয়ত। সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগরর যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, খন্দকার এনামের স্ত্রীর মর্মস্পর্শী কথাগুলো শুনে হৃদয়ে আলোড়ন তৈরি করেছে। এটি বিরোধী রাজনীতির সবার পরিবারের কথা। কারণ এই পরিবারগুলো বেশি সাফার করছে। আমাদের পার্মানেন্ট ঠিকানা করে দেওয়া হয়েছে কারাগার। আমাদের প্রত্যেকের বসবাস হয় নদীর ধারে, বাঁশঝাড়ে, নয় লাল দালানে।

তিনি বলেন, আমরা যতক্ষণ আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারছি, গণতন্ত্র মুক্ত করতে না পারছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আনতে পারছি ততক্ষণ আমাদের প্রেরণা দিচ্ছেন আমাদের মা, স্ত্রীরা বোনেরা। এটি সব থেকে বেশি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে তিনি একের পর এক আইন ভাঙছেন। রাগের বশবর্তী হয়ে আপনি কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছেন, প্রথমেই আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। আপনি শপথ ও আইন ভঙ্গকারী প্রধানমন্ত্রী।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ কোটা সংস্কারের জন্য উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে পরিপন্থি কথা বলেছেন। কী বলেছেন, ‘যারা আন্দোলন করেছেন তারা নাকি রাজাকারের নাতি’। ২০১৮ সালে আপনি আন্দোলনরত ছাত্রদের সান্ত্বনা দিতে কোটা বাতিল করেছিলেন। মনে আক্রোশ পুষে রেখেছিলেন, সময়মতো সেটি কাজে লাগাবেন। তাই লাগিয়েছেন।’

এনামের স্ত্রী নাজনীন আক্তার লতা তার পরিবারের দুঃস্বময়ের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, আমরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। আমার দুটি বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় আমি আমার স্বামীকে কাছে পাইনি। এরচেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে। জন্ম হওয়ার পর তার সন্তানের মুখ দেখতে পারেনি। বাবা বেঁচে থাকার পরও আমরা সন্তানেরা এতিম। শুধু মাত্র বিরোধী রাজনীতি করায় বিসিএস ভাইবা থেকে নো নো শুনে বের হয়েছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি জয়দেব জয়, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান তুষার, সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা নাহিদুর রহমান নাহিদ, মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদসহ নেতারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করছেন: রিজভী

আপডেট সময় ০৭:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

কোটা প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-২০১৮ সালে রাগ করে কোটা সিস্টেম বাতিল করেছি’ আপনি তো ডামি প্রধানমন্ত্রী। রাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না, আপনি শপথ নেওয়ার সময় এটা বলেছিলেন? আপনি তো শপথ ভঙ্গ করছেন। সংবিধান ভঙ্গ করছেন প্রতিনিয়ত। সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগরর যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামের পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, খন্দকার এনামের স্ত্রীর মর্মস্পর্শী কথাগুলো শুনে হৃদয়ে আলোড়ন তৈরি করেছে। এটি বিরোধী রাজনীতির সবার পরিবারের কথা। কারণ এই পরিবারগুলো বেশি সাফার করছে। আমাদের পার্মানেন্ট ঠিকানা করে দেওয়া হয়েছে কারাগার। আমাদের প্রত্যেকের বসবাস হয় নদীর ধারে, বাঁশঝাড়ে, নয় লাল দালানে।

তিনি বলেন, আমরা যতক্ষণ আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারছি, গণতন্ত্র মুক্ত করতে না পারছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আনতে পারছি ততক্ষণ আমাদের প্রেরণা দিচ্ছেন আমাদের মা, স্ত্রীরা বোনেরা। এটি সব থেকে বেশি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে তিনি একের পর এক আইন ভাঙছেন। রাগের বশবর্তী হয়ে আপনি কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছেন, প্রথমেই আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। আপনি শপথ ও আইন ভঙ্গকারী প্রধানমন্ত্রী।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ কোটা সংস্কারের জন্য উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে পরিপন্থি কথা বলেছেন। কী বলেছেন, ‘যারা আন্দোলন করেছেন তারা নাকি রাজাকারের নাতি’। ২০১৮ সালে আপনি আন্দোলনরত ছাত্রদের সান্ত্বনা দিতে কোটা বাতিল করেছিলেন। মনে আক্রোশ পুষে রেখেছিলেন, সময়মতো সেটি কাজে লাগাবেন। তাই লাগিয়েছেন।’

এনামের স্ত্রী নাজনীন আক্তার লতা তার পরিবারের দুঃস্বময়ের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, আমরা সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। আমার দুটি বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় আমি আমার স্বামীকে কাছে পাইনি। এরচেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে। জন্ম হওয়ার পর তার সন্তানের মুখ দেখতে পারেনি। বাবা বেঁচে থাকার পরও আমরা সন্তানেরা এতিম। শুধু মাত্র বিরোধী রাজনীতি করায় বিসিএস ভাইবা থেকে নো নো শুনে বের হয়েছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি জয়দেব জয়, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান তুষার, সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা নাহিদুর রহমান নাহিদ, মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদসহ নেতারা।