ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে চবি ছাত্রশিবিরের বিবৃতি Logo আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে মরক্কো Logo যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ Logo ছাত্রদলের আবিদ ভারতপন্থী ভিপি প্রার্থী:ইলিয়াস হোসাইন Logo মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয় : রুহুল কবির রিজভী Logo শিখা সংসদ ঘিরে তীব্র অসন্তোষ: রাজনৈতিক প্রভাব ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীর Logo মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Logo নুরাল পাগলার দরবারে পু‌লি‌শের ওপর হামলায় মামলা, আসামি ৩৫০০ Logo জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিএনপির গভীর উদ্বেগ Logo নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খালে, নিহত ১

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বার বার চেষ্টা করেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে, এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামানো সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের জন্য আগামী ১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হবে। আগামী ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মুদ্রানীতি পাস হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও গত জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এদিকে, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। জুনে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে চবি ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

আপডেট সময় ০২:৩১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বার বার চেষ্টা করেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে, এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামানো সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের জন্য আগামী ১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হবে। আগামী ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মুদ্রানীতি পাস হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও গত জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এদিকে, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। জুনে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।