ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচি পালন Logo অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল Logo লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ভাই হিসেবে মেরেছি Logo ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ Logo ভারতে ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ Logo মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ঢাকায় আটক

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বার বার চেষ্টা করেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে, এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামানো সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের জন্য আগামী ১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হবে। আগামী ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মুদ্রানীতি পাস হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও গত জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এদিকে, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। জুনে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

আপডেট সময় ০২:৩১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বার বার চেষ্টা করেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে, এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামানো সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের জন্য আগামী ১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হবে। আগামী ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মুদ্রানীতি পাস হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও গত জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এদিকে, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। জুনে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।