ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা Logo ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে সালাহউদ্দিনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo ‘শহীদ মুগ্ধের বাবা ও আতিকুলকে চেনেন না, তিনি শুধু চিনেন এস আলমের গাড়ি Logo “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পাকিস্তানের সব উপকার ভুলে গেছে আফগানিস্তান” Logo বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সকল ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা Logo ‘শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে’

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বার বার চেষ্টা করেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে, এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামানো সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের জন্য আগামী ১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হবে। আগামী ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মুদ্রানীতি পাস হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও গত জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এদিকে, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। জুনে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল

১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা

আপডেট সময় ০২:৩১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বার বার চেষ্টা করেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে, এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নামানো সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের জন্য আগামী ১৮ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা-সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হবে। আগামী ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় মুদ্রানীতি পাস হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত বছর ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও গত জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এদিকে, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। জুনে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।