ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৪, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্লামেন্টে ভোটে আস্থা হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • 23

পার্লামেন্টে ভোটে আস্থা হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মাওবাদী গেরিলা কমান্ডার পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড শুক্রবার সংসদীয় আস্থা ভোটে হেরেছেন। হিমালয় প্রজাতন্ত্রের অস্থিতিশীল নেতৃত্ব এখন উন্মুক্ত। তিনি মাত্র ১৮ মাস আগে কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন। নেপালে দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের সময় দহল হাজারো বিদ্রোহীর নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কিন্তু সংঘাতের শেষে সংসদীয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৬৯ বছর বয়সী এই নেতা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে জোট মিত্ররা সমর্থন প্রত্যাহার করায় তাকে এখন পদত্যাগ করতে হবে। সবচেয়ে বড় মিত্র উদারপন্থী কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টি গত সপ্তাহে প্রচণ্ডের সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে।

ফলে তিনি হয় পদত্যাগ করতে বা পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বাধ্য হন। ক্ষমতা ধরে রাখতে ২৭৫ সদস্যের পার্লামেন্টে তার পক্ষে কমপক্ষে ১৩৮ ভোট প্রয়োজন ছিল। এদিন পার্লামেন্টে উপস্থিত ২৫৮ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬৩ জন তাকে সমর্থন জানান। পার্লামেন্টের স্পিকার দেব রাজ ঘিমিরে ব্যালট গণনা করার পরে ঘোষণা করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলকে আস্থা ভোটে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

এখন প্রচণ্ড পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সংসদীয় ভোট না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পদে বহাল থাকবেন। রবিবার এ ভোট প্রত্যাশিত। যদিও নেপালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৭ সালে হওয়ার কথা।

পার্লামেন্টে ভোটে আস্থা হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মাওবাদী গেরিলা কমান্ডার পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড শুক্রবার সংসদীয় আস্থা ভোটে হেরেছেন। হিমালয় প্রজাতন্ত্রের অস্থিতিশীল নেতৃত্ব এখন উন্মুক্ত। তিনি মাত্র ১৮ মাস আগে কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন। নেপালে দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের সময় দহল হাজারো বিদ্রোহীর নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কিন্তু সংঘাতের শেষে সংসদীয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৬৯ বছর বয়সী এই নেতা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে জোট মিত্ররা সমর্থন প্রত্যাহার করায় তাকে এখন পদত্যাগ করতে হবে। সবচেয়ে বড় মিত্র উদারপন্থী কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টি গত সপ্তাহে প্রচণ্ডের সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে।

ফলে তিনি হয় পদত্যাগ করতে বা পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বাধ্য হন। ক্ষমতা ধরে রাখতে ২৭৫ সদস্যের পার্লামেন্টে তার পক্ষে কমপক্ষে ১৩৮ ভোট প্রয়োজন ছিল। এদিন পার্লামেন্টে উপস্থিত ২৫৮ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬৩ জন তাকে সমর্থন জানান। পার্লামেন্টের স্পিকার দেব রাজ ঘিমিরে ব্যালট গণনা করার পরে ঘোষণা করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলকে আস্থা ভোটে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

এখন প্রচণ্ড পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সংসদীয় ভোট না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পদে বহাল থাকবেন। রবিবার এ ভোট প্রত্যাশিত। যদিও নেপালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৭ সালে হওয়ার কথা।