জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় রিশাদ হোসেন এক বছর আগে বিয়ের কাবিনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন। সে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে। কনের বাড়ির আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ১১টি গাড়িবহরে পরিবারের সদস্য আর বরযাত্রীসহ বউ নিয়ে ফিরেন জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের শাহপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী ইটাখোলা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইলিয়াস প্রামাণিক জুয়েলের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহার সঙ্গে রিশাদের বিয়ের কাবিননামা হয় গত বছরের ১৩ জুলাই। আর সেটি হয় পারিবারিক আয়োজনে। কনে রিশাদের মামাতো বোন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিয়ের খবরে অযাচিতভাবে উপস্থিত হন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়িার বেশ কিছু সাংবাদিক। তাদের সামনে বিয়ের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ছিল অনেকটাই লুকোচুরি।
বিয়ের কাজির নাম জানা না গেলেও ১০১ টাকা দেনমোহরের কথা জানান নিকটাত্মীয়রা। আর ওই কাবিননামায় কনেপক্ষের আত্মীয় কলেজ শিক্ষক আব্দুল হাকিম শাহ স্বাক্ষর করেছেন উকিল হিসেবে। কাবিননামায় কনে পক্ষের সাক্ষী হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য দেওয়ান বিপ্লব এবং শাহানুর আলম শানু। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য দেওয়ান বিপ্লব ওই বিয়েতে কনে পক্ষের সাক্ষীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘১০১ টাকা দেনমোহরে ওই কাবিননামা সম্পন্ন হয়।
ধার্যকৃত দেনমোহর নগদ পরিশোধ হয়েছে। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে কনে বিদায় হলো। কাবিনবন্দি হওয়ার পর থেকে ক্রিকেটীয় ব্যস্ততায় সময় কেটেছে রিশাদের। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সারলেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ১১টি মাইক্রো বাস বহরে নিজ পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের নিয়ে কনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন রিশাদ।
ধীরগতিতে প্রায় চার কিলোমিটারের পথ অতিক্রমে সময় লাগায় প্রায় ৪০ মিনিট। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে রওনা হন সোয়া ৬টার দিকে।
বিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে অনীহা ছিল দুই পরিবারের মধ্যে। এমনকি ছবি তোলায়ও ছিল বাধা। রিশাদও বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাননি সাংবাদিকদের সঙ্গে। কেন আড়ালে রাখার চেষ্টা বিয়ের বিষয়টি, সেটিও জানা যায়নি। তবে কনে সিদরাতুল মুনতাহা ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
কনের বাবা ইলিয়াস প্রামাণিক জুয়েল তার মেয়ের ২০২৩ সালে এসএসসি পাস করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এক বছর আগে কাবিননামা, এরপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি স্বীকার করে রিশাদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা সকলে দোয়া করবেন আমার এবং আমার স্ত্রীর জন্য।’ পাশাপাশি নবদম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন রিশাদের বাবা মো. নূর আলম ও কনের বাবা ইলিয়াস প্রামাণিক জুয়েল।