ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ দখলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • 192

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ দখলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ছাত্ররা শাহবাগ দখল করে নেয়। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘গো ব্যাক গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, আজ আন্দোলনকারীরা শুধু বক্তব্য দেবে, সড়ক অবরোধ করবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডগামী, বাংলা মোটরগামী, মৎস্য ভবনগামী ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলনস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো

সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। এদিকে সারা দেশের চলমান কোটা আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় পুলিশ ও ডিবির প্রায় শতাধিক সদস্য শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গেলে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আবাসিক হল ও মেসের প্রায় সাত-আটশ শিক্ষার্থী এসে যুক্ত হয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এরপর শটগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদেরও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ দখলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৫:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ছাত্ররা শাহবাগ দখল করে নেয়। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘গো ব্যাক গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, আজ আন্দোলনকারীরা শুধু বক্তব্য দেবে, সড়ক অবরোধ করবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডগামী, বাংলা মোটরগামী, মৎস্য ভবনগামী ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলনস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো

সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। এদিকে সারা দেশের চলমান কোটা আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় পুলিশ ও ডিবির প্রায় শতাধিক সদস্য শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গেলে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আবাসিক হল ও মেসের প্রায় সাত-আটশ শিক্ষার্থী এসে যুক্ত হয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এরপর শটগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদেরও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।