ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাজাহানপুরে অসহায় রঞ্জিতা’র পরিবারের পাশে ইউএনও

বগুড়ায় রথযাত্রা নিহত শাজাহানপুর উপজেলার রঞ্জিতার রাণীর স্বামী ও ছেলে অসহায়ত্বের খবর পেয়ে পরিবারটির খোঁজ খবর নিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহসিয়া তাবাসসুম।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের চেলো গ্রামের হিন্দুপড়ায় রঞ্জিতার বাড়িতে যান ইউএনও। তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। দাদন ব্যবসায়ীদের চাপে বাড়ি ছাড়া রঞ্জিতার স্বামী ও ছেলেকে নিজ বাড়িতে থাকতে অভয় দেন এবং দাদন ব্যবসায়ীরা কোন ঝামেলা করলে সাথে সাথে তাকে (ইউএনও’কে) জানাতে বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে ঢেউটিন দেওয়ার আশ্বস্ত করেন ইউএনও।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীতে রথযাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় মারা যান চার সন্তানের জননী ৬০ বছর বয়সী গৃহবধূ রঞ্জিতা রাণী। এসময় সাথে থাকা তার বড় মেয়ে চন্দনা রাণীও (৩৫) আহত হন। সামান্য দেড় শতক জমিতে একটি জীর্ণশীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করে রঞ্জিতার ৭ সদস্যের পরিবার। ওই বসত ভিটা ছাড়া ফসলী কোন জমি নাই। একমাত্র কর্মকারের কাজ করে অর্ধাহারে অনাহারে চলতো তাদের জীবন। ৩ মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণের চাপে পড়ে পরিবারটি। একপর্যায়ে দাদন ব্যবসায়ীদের চাপে গত ৭ মাস যাবত বাড়ি ছাড়া হয়েছে রঞ্জিতার স্বামী ও ছেলে । এমতাবস্থায় রঞ্জিতার আশ্রয়েই ওই বাড়িতে থাকতো ছেলের বউ ও ২ নাতি। কিন্তু রঞ্জিতার মৃত্যুর পর ছেলের বউ ও ২ নাতি অভিভাবক হারা হয়ে পড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান চলছেই ,নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

শাজাহানপুরে অসহায় রঞ্জিতা’র পরিবারের পাশে ইউএনও

আপডেট সময় ১১:২৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

বগুড়ায় রথযাত্রা নিহত শাজাহানপুর উপজেলার রঞ্জিতার রাণীর স্বামী ও ছেলে অসহায়ত্বের খবর পেয়ে পরিবারটির খোঁজ খবর নিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহসিয়া তাবাসসুম।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের চেলো গ্রামের হিন্দুপড়ায় রঞ্জিতার বাড়িতে যান ইউএনও। তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। দাদন ব্যবসায়ীদের চাপে বাড়ি ছাড়া রঞ্জিতার স্বামী ও ছেলেকে নিজ বাড়িতে থাকতে অভয় দেন এবং দাদন ব্যবসায়ীরা কোন ঝামেলা করলে সাথে সাথে তাকে (ইউএনও’কে) জানাতে বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে ঢেউটিন দেওয়ার আশ্বস্ত করেন ইউএনও।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীতে রথযাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় মারা যান চার সন্তানের জননী ৬০ বছর বয়সী গৃহবধূ রঞ্জিতা রাণী। এসময় সাথে থাকা তার বড় মেয়ে চন্দনা রাণীও (৩৫) আহত হন। সামান্য দেড় শতক জমিতে একটি জীর্ণশীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করে রঞ্জিতার ৭ সদস্যের পরিবার। ওই বসত ভিটা ছাড়া ফসলী কোন জমি নাই। একমাত্র কর্মকারের কাজ করে অর্ধাহারে অনাহারে চলতো তাদের জীবন। ৩ মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণের চাপে পড়ে পরিবারটি। একপর্যায়ে দাদন ব্যবসায়ীদের চাপে গত ৭ মাস যাবত বাড়ি ছাড়া হয়েছে রঞ্জিতার স্বামী ও ছেলে । এমতাবস্থায় রঞ্জিতার আশ্রয়েই ওই বাড়িতে থাকতো ছেলের বউ ও ২ নাতি। কিন্তু রঞ্জিতার মৃত্যুর পর ছেলের বউ ও ২ নাতি অভিভাবক হারা হয়ে পড়েছে।