ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আরাফাতের জন্য ডিম ও জুতার মালা নিয়ে আদালতে হিরো আলম অনিয়ম খুঁজতে ৩ অডিটর নিয়োগ দেবে ইসলামী ব্যাংক টিআইবির সুপারিশ: এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এস আলম গ্রুপের সম্পদ না কেনার আহ্বান গভর্নরের হাতিরঝিলে নারী সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার, জয়ের উস্কানিমূলক পোস্ট জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বাতিল, অর্থ বন্যার্তদের দেবে বিএনপি জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে পুনরায় আবেদন করা হবে: শিশির মনির শাহবাগের নাম পাল্টে মামাবাড়ির আবদারবাগ রাখা হোক: কুদ্দুস বয়াতি রাতভর বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
অপরাধ

বাগেরহাটে দুদকের করা  মামলায় পৌরসভার ১৫ কর্মচারী কারাগারে

অবৈধভাবে নিয়োগের  অভিযোগে  দুদকের করা মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ জন  কর্মচারীকে  কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। রবিবার (৭জলাই) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন-অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী)। দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), তারা সবাই পৌরসভার কর্মী ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীদের যোগশাযোগে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তরা ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত বেতনভাতা-বাবদ সরকারের এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তসরুপ করেন। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বাগেরহাট পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। আদালত ২৬ জুন চার্জশীট অনুমোদন করেন।

এই মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, পৌরসভার টাকা মানে সরকারের টাকা। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীরা যোগশাযগে নিয়োগ নিয়ে অবৈধভাবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তছরুপ করেছেন। যা অনুযায়ী অবৈধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসামিরা হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

ট্যাগস :

আরাফাতের জন্য ডিম ও জুতার মালা নিয়ে আদালতে হিরো আলম

অপরাধ

বাগেরহাটে দুদকের করা  মামলায় পৌরসভার ১৫ কর্মচারী কারাগারে

আপডেট সময় ১০:২৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

অবৈধভাবে নিয়োগের  অভিযোগে  দুদকের করা মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ জন  কর্মচারীকে  কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। রবিবার (৭জলাই) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন-অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী)। দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), তারা সবাই পৌরসভার কর্মী ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীদের যোগশাযোগে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তরা ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত বেতনভাতা-বাবদ সরকারের এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তসরুপ করেন। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বাগেরহাট পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। আদালত ২৬ জুন চার্জশীট অনুমোদন করেন।

এই মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, পৌরসভার টাকা মানে সরকারের টাকা। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীরা যোগশাযগে নিয়োগ নিয়ে অবৈধভাবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তছরুপ করেছেন। যা অনুযায়ী অবৈধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসামিরা হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।