ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ২০১৬ সালে জয় পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর আর কখনো জয় পাওয়া হয়নি সিকান্দার রাজাদের। অবশেষে দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে তাদের।
সবশেষ যে মাঠে জয় পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে সেই হারারেতে আজ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া জিম্বাবুয়ের ১৩ রানের জয়টি ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় জয়। ২০১৫ সালে প্রথম জয় পেয়েছিল তারা। টি-টোয়েন্টির এই যুগে ১১৬ রানের লক্ষ্য ভারতের জন্য সহজই ছিল। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই বিপদে পড়তে থাকে ভারত।
অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অভিষেক শর্মা শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে। তার মতো এ ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া রিয়ান পরাগ (২) ও ধ্রুব জুরেলও (৬) ব্যাটিংটা রাঙাতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় একটা সময় ৪৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় হারের শঙ্কায় ছিল ভারত। তবে সাতে নামে এক প্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে ম্যাচ জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
কিন্তু শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণ আর মেলাতে পারেননি তিনি। উল্টো টেন্ডাই চাতারার পঞ্চম বলে তার ২৭ রানের ইনিংস থেমে গেলে ১৩ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে। অলরাউন্ডার ওয়াশিংটনের আগে ৩১ রানের ইনিংস খেলে শুরুর দিকের কিছুটা ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন অধিনায়ক শুবমান গিলও। তবে দুজনের কারো ইনিংসই কাজে আসেনি ভারতের। বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মূল দলকে বিশ্রাম দিয়েছে ভারত।
কিন্তু বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার উত্তরসূরিরা দলকে হতাশাই উপহার দিলেন। সেটিও আবার বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
আজ ভারতের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সব বোলারই কমপক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে ৩ টি করে উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের কাজটা করেছেন চাতারা ও অধনিায়ক সিকান্দার রাজা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের অল্প রানে আটকাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রবি বিষ্ণুই। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। ২ ওভার আবার মেডেনও দিয়েছেন তিনি। তবে রানে হারায় তাঁর দুর্দান্ত বোলিং কোনো কাজে আসেনি ভারতের। জিম্বাবুয়ের হয়ে চার ব্যাটার বিশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেও কেউই ফিফটি করতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন সাতে নামা ক্লাইভ মাদান্দে।