ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের

রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি, রইচ কমান্ডারের লোকজন এই ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে।

তাই বলে ফসল নষ্ট করবে। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুগীপাড়া গ্রামের সামাজিক মাতুব্বর আব্দুল হান্নানের সাথে রইচ উদ্দিন কমান্ডারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গত ভোরে রইচ কমান্ডারের লোকজনেরা আব্দুল হান্নানের অনুসারী শাহিন আলম, রেজাউল করিম, কামরুল ইসলামসহ ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহীন আলম, রেজাউল করিম ও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাঠে এসে দেখি আমাদের জমির কলাগাছ কেটে ফেলে রেখে গেছে। গাছে কাদি আসা শুরু করেছিল। আমাদের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দিয়েছে। সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমরা সবকিছু হারিয়ে ফেললাম।

আমরা এর বিচার চাই। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সামাজিক মাতুব্বর রইচ উদ্দিন কমান্ডারের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি সরেজমিন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেও যুগিপাড়া গ্রামের সামাজিক দ্বন্দ্ব মেটাতে পারি নাই। একের পর এক কৃষকের বিভিন্ন ফসল কেটে বিনষ্ট করছে তারা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগি কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিলে দায়ীদেও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শৈলকুপার সামাজিক সহিংসতা নিরসনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি, রইচ কমান্ডারের লোকজন এই ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে।

তাই বলে ফসল নষ্ট করবে। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুগীপাড়া গ্রামের সামাজিক মাতুব্বর আব্দুল হান্নানের সাথে রইচ উদ্দিন কমান্ডারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গত ভোরে রইচ কমান্ডারের লোকজনেরা আব্দুল হান্নানের অনুসারী শাহিন আলম, রেজাউল করিম, কামরুল ইসলামসহ ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহীন আলম, রেজাউল করিম ও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাঠে এসে দেখি আমাদের জমির কলাগাছ কেটে ফেলে রেখে গেছে। গাছে কাদি আসা শুরু করেছিল। আমাদের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দিয়েছে। সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমরা সবকিছু হারিয়ে ফেললাম।

আমরা এর বিচার চাই। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সামাজিক মাতুব্বর রইচ উদ্দিন কমান্ডারের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি সরেজমিন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেও যুগিপাড়া গ্রামের সামাজিক দ্বন্দ্ব মেটাতে পারি নাই। একের পর এক কৃষকের বিভিন্ন ফসল কেটে বিনষ্ট করছে তারা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগি কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিলে দায়ীদেও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শৈলকুপার সামাজিক সহিংসতা নিরসনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি।