ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাফ নদীতে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত ২ জেলে Logo ঈদে ২০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বাস মালিকদের Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব Logo অবশেষে চলতি মাসেই ব্রাজিলের দায়িত্ব নিচ্ছেন আনচেলত্তি Logo এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার দাবি Logo লক্ষ্মীপুরে ১২ দেশের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আটক ২ Logo “মুন্সীগঞ্জ ছাত্র আন্দোলন হত্যাকাণ্ড সহ ১৪ মামলার আসামী চাক্কু মিলন গ্রেফতার” Logo পাবনায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবি এবং আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বয়কটের ডাক Logo রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর Logo র‍্যাব পুনর্গঠনে কমিটি গঠন করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইমামের মৃত্যু

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন (৬৪) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। জানা গেছে, গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদর উপজেলার কানাইকাটা তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ পড়ে সাইকেলযোগে কানাইকাটা তেঁতুলতলা ঘুন্টিরপাড়ে মক্তবে পড়াতে যান আবুল হোসেন। হরতকিতলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে এসে কে বা কারা তার চোখে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সটকে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আবুল হোসেনের ছোট ছেলে গোলাম মোস্তাফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নীলফামারী হাসপাতালে যাই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বাবার অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। আজ শনিবার ভোরে মারা যান তিনি। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে জানি না। তিনি তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা বাবা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

নাফ নদীতে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত ২ জেলে

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইমামের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৩:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন (৬৪) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। জানা গেছে, গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদর উপজেলার কানাইকাটা তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ পড়ে সাইকেলযোগে কানাইকাটা তেঁতুলতলা ঘুন্টিরপাড়ে মক্তবে পড়াতে যান আবুল হোসেন। হরতকিতলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে এসে কে বা কারা তার চোখে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সটকে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আবুল হোসেনের ছোট ছেলে গোলাম মোস্তাফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নীলফামারী হাসপাতালে যাই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বাবার অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। আজ শনিবার ভোরে মারা যান তিনি। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে জানি না। তিনি তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা বাবা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’