দীর্ঘ ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা যুক্তরাজ্যের মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি অবশেষে ক্ষমতায় আসলো। সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে দলটি।শুক্রবার নির্বাচনে জয় নিশ্চিতের পর বিশ্বনেতারা অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছে একসঙ্গে কাজ করার। কিয়ার স্টারমারকে চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘আপনার যোগ্য নেতৃত্বে লেবার পার্টির সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক স্বার্থে দীর্ঘ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ও কৌশলগত অংশীদারীত্বকে আরো শক্তিশালী করার প্রতীক্ষায় আছি আমরা। বার্তা পাঠিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে জানিয়েছেন, ‘সাধারণ নির্বাচনে অসাধারণ জয়ের জন্য কিয়ার স্টারমারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। সবক্ষেত্রে আমি পারস্পরিক উন্নতি ও সমৃদ্ধিকে উৎসাহিত করি। ভারত-ইউকে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। এখনই সেই সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সময়। আমাদের শান্তি প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার জন্য আমি কিয়ার স্টারমারের প্রতিশ্রুতি ও উদ্যমের সঙ্গে মিলে কাজ করব। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এক্সে লিখেছেন, ‘নির্বাচনে জয় লাভ করায় কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন।
দ্বিপাক্ষীয় সহযোগিতা, ইউরোপের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করে যাব। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমি কিয়ার স্টারমারসহ লেবার পার্টির অন্যদের সঙ্গে বেশ পরিচিত। তাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই। আমি নিশ্চিত, এইউকেইউএসের (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্সে লিখেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে জয় লাভে কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন। আটলান্টিকের উভয় তীরের মানুষের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সামনে অনেক কাজ রয়েছে। চলো, শুরু করা যাক। এছাড়া অভিনন্দন জানিয়েছেন, ইউক্রেন, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, মাল্টাসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা।
এর আগে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। পরাজয় মেনে নিয়েছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি পেয়েছে ৪১২টি আসন, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩২৬টি। সে হিসেবে লেবার পার্টি বিপুল আসন পেয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।